হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে অমুসলিম ঘোষণা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু ছাত্র-শিক্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শাহ আহমদ শফী নারীদের নিয়ে সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নোংরা, কুরুচিপূর্ণ ও জঘন্য। এতে তার বিকৃত মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
মাওলানা শফী নারী অগ্রগতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিনত করার অপচেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মধ্যে নারী অগ্রগতিতে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে; ঠিক তখনই শফীর এ বক্তব্য আমাদের সমগ্র নারী জাতীকে শুধু অপমানই করে নাই বরং নারী অগ্রগতিতে বাধারও সৃষ্টি করে। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে প্রমান করেছেন, তিনি নারী জাতিকে শুধুই কামের দৃষ্টিতে দেখেন যা ইসলাম বিরুদ্ধ এবং নারীদের সম্পর্কে এ ধরনের কুরআন বিরোধী কথা বলে তিনি প্রমান করেছেন যে তিনি ইসলাম সম্পর্কে যা জানেন তা ভুল ও এর ব্যাখ্যাও তিনি ভুল দেন।
বক্তারা আরো বলেন, আহমেদ শফী একজন রাজাকার বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ইসলাম ধর্মের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের তার মত রুচি হবে না। তিনি মানবজাতিকে পশুর সঙ্গে তুলনা করেছেন। একারণে আমরা তাকে অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতার আনারও দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে তার নামের পূর্বে ‘আল্লামা’ শব্দটি ব্যবহার করার ওপর নিষেধাঙ্গার দাবি জানাচ্ছি।
কেননা তার নামের পূর্বে এই শব্দটি থাকলে ‘আল্লাহ’কে অপমান করা হয়।
সমাবেশ থেকে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ওয়াজের ক্যাসেট বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করারও দাবি জানান শিক্ষকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শফিক উজ জামানের সভাপতিত্বে এবং ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ, গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম রাহমান, গীতিআরা নাসরিন, সহোযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।