আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহাম্মক দুর্গন্ধ লাগায় কমপক্ষে তিন জায়গায়!

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

কৌতুকটা আমার এক বসের কাছ থেকে শুনা। এক আহম্মক অন্ধকারে রাস্তা দিয়ে হাটার সময় কি যেন একটা নরম বস্তু পায়ের নীচে অনুভব করলো। বেশ আরামসে পা দিয়ে চটকালো। তারপর হাটা শুরু করলো। কিছুক্ষন পড়ে মনে হলো, তাইতো সেটা কি ছিল, যা চটকিয়ে আরাম পেলাম।

পা থেকে খাটিকটা মনুষ্যমল হাতে নিয়ে নাকের কাছে নিতেই দুর্গন্ধ লাগলো। দুর্গন্ধে মহা রাগ করে মাথায় মলযুক্ত হাতটা মুছে মলত্যাগকারীর উদ্দেশ্যে গালি দিতে দিতে চলতে শুরু করলো। অনেকদিন পর গল্পটা মনে পড়লো, আমাদের জ্ঞানী ব্যারিস্টার আইন উপদেষ্টার কান্ড দেখে। জরুরী আইনের প্রনেতা উনি। শিক্ষকদের জরুরী আইনে শাস্তির ব্যবস্থাকারী উনি।

এখন ক্ষমা করার ব্যবস্থাও করেছেন উনি। সমস্যা হলো - চারজন সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকুরীতে ফিরে যেতে যাতে অসুবিধা না হয় - তাই গনকর্মচারী আইনের বিধান পরিবর্তন করলেন উনি। এখন প্রকৃত অপরাধীও সরকারী চাকুরী ফিরে পেতে কোন সমস্যা হবে না - সেই বিষয়টা কি খেয়াল করেছেন? অনেকটা মশা মারতে কামান দাগানো। চার শিক্ষকের পরিবারবর্গের ভাষ্য মতে কেউই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করেনি। তারপরও কেন এই করুনা ধারা প্রবল স্রোত বয়ে গেল কঠিন এই সরকারের ভিতর দিয়ে? এই বিষয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে- সুতরাং সেই আলোচনা করার প্রয়োজন দেখছি না।

এখন যদি একটু ভিন্নভাবে দেখি - দেখবো প্রথম গল্পের লোকটি যদি একটু আলো নিয়ে হাটতো তা হলে হয়তো তাকে তিন যায়গায় দুর্গন্ধ লাগাতে হতো না। আর আমাদের মইনুল সাহেবরা যদি প্রথম থেকেই বুঝতে পারতেন যে, শিক্ষকদের জরুরী আইনের অধীনে মামলা হিতে বিপরীত হবে - তবে এতো নাটক করতে হতো না। কে বুঝাবে এই জ্ঞানী মানুষদের... ( পুরানো একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। এরশাদ ক্ষমতায় এসেই এমন কঠিন আইন করলো যে, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারির অপরাধে চারজন স্টার খেলোয়ারকে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পর বুঝলো - বিষয়টা ভুল হয়েছে।

তখন তাদের একই ভাবে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেওয়া হয়। ) আইনের শাসনের এই কঠিন মহড়া আমরা আর কতো দেখবো? দয়া করে এখন কি উনারা কি আরো জটিলতা সৃস্টির আগেই ঢাকার চারজন শিক্ষকসহ আটককৃত ছাত্রদেরকে দ্রুত মুক্তি দেবেন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.