আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রানজিটের শুল্ক দিয়ে আয় না হলেও হোটেল-রেস্তরাঁ দিয়ে আয় হবে - গওহর রিজভীর

১২৩ আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, যে উপদেষ্টা এ ট্রানজিট নিয়ে বেশি কথা বলছেন তিনি গত ৪০ বছর কোথায় ছিলেন। তার পরিবার কোথায় ছিল তাও আমরা জানি না। এ উপদেষ্টা বলেছেন, ট্রানজিটের শুল্ক দিয়ে আয় না হলেও হোটেল-রেস্তরাঁ দিয়ে আয় হবে। তিনি কি ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য হোটেল বানিয়ে আয় করবেন? তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক রাস্তা দিয়ে ট্রাক চলাচল করবে। পৃথিবীতে ভারত দ্বিতীয় রাষ্ট্র, যেখানে এইডসের প্রকোপ বেশি।

ট্রাক ড্রাইভারদের মাধ্যমে হোটেল ব্যবসায় আয়ের কথা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা বলে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে বাংলাদেশে এইডস ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতিহত করতে জনগণকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে এ মাসেই আন্দোলন শুরু করতে হবে। আপনারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য একতাবদ্ধ হোন। সাবেক সচিব আসাফ্উদ্দৌলাহ্ বলেন, একটি আতঙ্ক থেকেই আমাদের এ আলোচনা।

কারণ, আমরা জানি না কী হতে যাচ্ছে। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনি কী চুক্তি করলেন তা আপনার কাছ থেকে জানতে চাই। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সত্যিই যদি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে জনগণকে কেন এত ভয়। আপনারা গণভোট না নিয়ে এ চুক্তি করবেন না। গুপ্ত চুক্তি করা হলে তা কোনো দিনই টিকবে না।

ড. মাহবুবউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ। ড. মনমোহন সিংয়ের সফর যেন দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে সেটাই কামনা করছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারত আমাদের কাছে পানি চাইতে পারে না। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট চেয়ে আসছে। ছয়টা সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথে ভারতকে এ করিডোর দেয়া হচ্ছে।

ভারতকে যদি এই করিডোর দিতে হয় তাহলে তার কাছ থেকে ন্যায্য মাশুল আদায় করতে হবে। দুর্ভাগ্য, অর্থমন্ত্রী বললেন কিছু একটা পাব। তিনি আরও বললেন বাংলাদেশকে ট্রানজিট কান্ট্রি করতে চান। ভারতকে যদি আমরা ট্রানজিট দেই তারা কি আমাদের তিস্তার পানি দেবে। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন, ভীত আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে।

একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যে চুক্তির পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা থাকবে কিনা আমাদের জানা নেই। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া এ জাতীয় কোনো চুক্তি করার অনুমতি সংবিধানে নেই। জনগণ এটা কখনও মেনে নেবে না। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জনগণের মতামত ছাড়া গোপন চুক্তি করতে পারলেও তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। মনমোহন সিংকে একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক অভিহিত করে তিনি বলেন, আপনি বাংলাদেশের মানুষের মত ছাড়া কোনো চুক্তি করে নিজেকে অপরিপকস্ফ প্রমাণ করবেন না।

এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যা বাস্তবায়ন করতে আপনার পাশে থাকার সাহস পাবে না শেখ হাসিনার সরকার। ট্রানজিট চুক্তির আগে গণস্বাক্ষর ও গণভোটের দাবি জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, সবদিক দিয়েই নেতিবাচক চুক্তিতে বাংলাদেশের মানুষের কোনো সমর্থন নেই। সুএ: Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.