আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি ইসলামিক ইবুক ডাউনলোড করুন(৬)

চেষ্টা করছি ভাল কিছু তৈরী করতে............................ আজ আপনাদের সামনে আবার উপস্থিত ইসলাহী খুতুবাত এর দ্বিতীয় খন্ড বইটি নিয়ে। আসা করি বইটি পাঠকের কাছে ভাল লাগবে। স্ত্রীর অধিকার ও তার মূল্যায়ন একটি মেয়ে দুটো কথা উচ্চারনের মাধ্যমে একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এই দুটো কথাকে মেয়েটি এতটুকু সন্মান করে যে, যার জন্য সে মাতা- পিতা ভাই বোন বংশ পরিবারসহ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে একমাত্র স্বামীর জন্য হয়ে যায়। এরপর তার জন্য আসে এক ন্তুন পরিবেশ,অপরিচিত ঘর।

অজানা অচেনা মানুষদের সাথে সংসার পাতার জন্য সে অন্যের ঘরে আবদ্ধ হয়ে যায়। তবুও কি আমরা নারীর এই ত্যাগের মূল্যায়ন করব না? অথচ বিধান যদি উল্টা হত,পুরুষদের যদি বলা হত বিয়ের পর তোমারা মাতা পিতা ছেড়ে সব পরিত্যাগ করে চলে যেতে হবে স্ত্রীর বাড়িতে,তখন তা কত কঠিন হতো। অতএব তাদের সাথে ভাল ব্যাবহার করা এবং তাদের কুরবানির মর্যাদা দেয়া পুরুষ সমাজের মানবিক কর্তব্য। স্বামীর মর্যাদা ও অধিকার নারী যদি মনে করে আমিই হব সংসারের অভিভাবক-পরিচালক,পুরুষ হবে আমার পরিচালনাধীন,তাহলে মনে রাখতে হবে এটা প্রাকৃ্তিক ও স্বভাবজাত বিধির পরিপন্থী,শরিয়তের খেলাফ। যুক্তি তর্ক এবং ইনসাফও স্বীকার করে না এমন সিদ্বান্ত।

নারী যদি এমনটি করে তাহলে সংসার বিরান হয়ে যাবে,নিশ্চিত ভেঙ্গে পড়বে পারিবারিক কাঠামো। সীরাতুন্নবী (সা) এর আয়নায় আমাদের জীবন আজ আমদের অবস্থা হলো শত্রুর তোষামোদ করতে গিয়ে সবকিছু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিজাতীয় অনুকরন করে একথা প্রমান করে দিয়েছি যে আমারা তোমাদের একান্ত গোলাম। তবুও কিন্তু প্রভুরা আমদের উপর সন্তষ্ট নয়। প্রতিদিন আমাদের পেটাচ্ছে,কখনো ইসরাঈলে পেটাচ্ছে,কখনো অন্য কোন দেশে পেটাচ্ছে।

কোনো মুসলমান যখন রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর সুন্নাত ও আদর্শ ছেড়ে দিবে,মনে রাখবে,তখন তার জন্য অপমান আর ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নেই। সীরাতুন্নবী (সা) মাহফিল ও জলসা জুলূস আরেকটি কথা না বললেই নয় সীরাতুন্নবী রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম মাহফিলে আমরা এমন কাজ করি যা সুন্নাতে রাসূল এর স্পষ্ট পরিপন্থি। মহানবী সাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এর নাম উচ্চারিত হচ্ছে,তার শিক্ষা আদর্শ এবং সুন্নাতসমূহের আলোচনা চলছে,কিন্তু কার্যত আমারা তার শিক্ষা আদর্শ এর সাথে এবং হিদায়েতের সাথে উপহাস করছি। গরীবদের অবজ্ঞা করো না বর্তমানে মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটছে,পরিবর্তন এসেছে মানুষের চিন্তা চেতনায়। দুনিয়াতে যারা প্রাচুর্যশীল,বড় চেয়ারের মালিক,যাদেরে কাএছে সম্পদের পাহাড় মানুষের কাছে তাদের সন্মানেরে অভাব নেই।

অন্যদিকে পার্থিব দৃষ্টিতেযারা দূর্বল যাদের কোনো মর্যাদা নেই,স্বাভাবিক জীবন –যাপন করে আজ তারা সকলের নিকট অবহেলিত। তাদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতেও চায় না। সকলেই তাদেরকে অবজ্ঞা করে। জেনে রাখুন ইসলাম এটা মোটেও সমর্থন করে না। নফসের টাল বাহানা মানুষের প্রবৃত্তিশক্তি যা মানুষের মাঝে কাজের প্রতি স্পৃহা যোগায়,তা পার্থিব মজা লাভে অভ্যস্ত।

তাই মানুষ যে কাগে বাহ্যিক আনন্দ পায় সেদিকেই তার মন ধাবিত হয়। নফস মানুষকে এমনভাবে উৎসাহিত করে যে,কাজটি করো,আনন্দ অনুভব করবে। এই অবস্থায় মানুষ যদি নফসকে লাগামহীন ছেড়ে দেয় এবং তার কাছে বশ্যতা স্বীকার করে তার কথামত কাজ করতে থাকে,তাহলে মানুষ আর প্রকৃত মানুষ থাকে না,বরং সে মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুর স্তরে নেমে যায়। মুজাহাদা কেন প্রয়োজন? মুজাহাদার অর্থ হচ্ছে নফসের চাহিদা সমূহের মোকাবিলা করে আল্লাহর বিধান মত জীবন পরিচালনার ফিকির করা। একেই বলে মুজাহাদা।

মুজাহাদা কেন করতে হয়?এর প্রয়োজন কি?এর তাৎপর্য কি?এসব ভালভাবে বোঝার জন্যে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। তাই আসুন এই বিষয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। ডাউনলোড লিঙ্ক- View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.