http://www.facebook.com/Kobitar.Khata একটু আগের ঘটনা। আমি নেটে বসে আছি তখন আমার ভাগিনা আমার পাশে এসে দাঁড়াল। সেই মূহুর্তে আমার ব্রাউজারে ৪টি ওয়েবসাইট ওপেন ছিল, ফেসবুক, সামু, ক্রিকইনফো ও প্রথম আলো। ভাগিনাকে ক্রিকেটের লাইভ স্কোর দেখাচ্ছিলাম এবং প্রথম আলোর খবর গুলো দেখছিলাম। তখন লক্ষ্য করলাম আমি সামুকে খুব সাবধানে এড়িয়ে যাচ্ছি।
কোন ভাবেই ওর সামনে সামু ওপেন করছি না। তখন নিজের মনেই প্রশ্ন আসল আমি সামুকে এড়িয়ে যাচ্ছি কেন? আর এর উত্তরও খুব সহজ। সামুতে এখন যে যেমন ইচ্ছে ভাষা ব্যবহার করতে পারে। অন্যমতবাদের লোককে গালি দিয়ে লেখার হেডলাইন দেয়া যায়, সেই সাথে সারাদিন ১৮+ এর নামে অশ্লীল পোষ্টতো আছেই। আমার মন অবচেতনেই সামুকে এড়িয়ে যাচ্ছিল কারণ আমি যদি সামু ওপেন করি আর ঠিক সেই সময় এমন কোন অশ্লীল হেডলাইন যুক্ত লেখা থাকে তবে ভাগিনার সামনে ভিষণ লজ্জায় পড়তে হবে।
আমি ভাগিনার সামনে লজ্জিত হতে চাইনি বলে সামুকে এড়িয়ে চলেছি।
এই যে দিনদিন সামুর এই পরিনতি হচ্ছে এর জন্য ব্লগারদের দ্বায় যতটুকু তার থেকে বেশী দ্বায় মডারেটরের। যে ব্লগে হাজার হাজার ব্লগার আছে সেখানে এমন স্থুল রুচির কিছু ব্লগার থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। আর এদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যইতে মডারেটর। এমন ব্লগার না থাকলে মডারেটরের তো কোন প্রয়োজনই ছিল না।
কিন্তু গত কয়েক মাসে লক্ষ্য করছি সামুর মডারেটর ব্লগের নীতিমালা প্রয়োগে সর্ম্পূণ ব্যর্থ। আগেও যে খুব সফল ছিল তা না, তবে আগের থেকে বর্তমানে অবস্থা ভয়ানক আকার ধারণ করছে।
জানি এই যে কষ্ট করে লেখাটা লিখছি এটা পুরটাই অরণ্য রোদন। এমন শত শত লেখাও সামুর মডারেটরকে ঘুম থেকে জাগাতে পারেনি এই লেখা আর কি! তবু বলতে হয় তাই বলে গেলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।