আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মহত্যার প্রধান কারন "বিষণ্নতা", মিতা নূর ও কি এই "বিষণ্নতায়" ভুগেছিলেন?

বিষণ্নতা খুবই বাস্তব এবং সাধারণ মানসিক রোগ। এই রোগটি চিকিৎসাযোগ্য। ডিপ্রেশন আপনার কোনো দোষ নয়, দুর্ভাগ্যও নয়। তাই আপনি একা নন এবং আপনি সেরে উঠতে পারবেন। তবে ডিপ্রেশনের ভয় একটাই তা হলো আত্মহত্যা করে বসা।

মেজর ডিপ্রেশন যাদের হয় তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি থাকে প্রায় ২০ গুণ, যা অন্য সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি। যে ব্যক্তির ডিপ্রেশনের কয়েকবারের ইতিহাস থাকে তার উচ্চ মাত্রায় আত্মহত্যার ঝুঁকি থাকে সব সময়। আর যাদের জীবনে একবারই এ রোগের ইতিহাস থাকে তাদের অবশ্য আত্মহত্যার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং এরা তুলনামূলকভাবে দ্রুত চিকিৎসায় সাড়া দেয়। আমাদের সমাজে আশপাশে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছেন কিন্তু তারা হয়তো এ কথা জানেনও না যে তাদের চিকিৎসাযোগ্য একটি মনোরোগ হয়েছে। আবার অনেকেই এ রোগ সম্পর্কে জেনেও রোগকে এবং রোগীকে অনবরত অবহেলা করে, চিকিৎসা নেয়ার প্রতি কোনোরূপ আগ্রহ দেখায় না বা চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে না।

অথচ এ রোগটির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি- কাজেকর্মে অবনতি করে খাওয়া-দাওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় ঘুমের বাড়তি সমস্যা দেখা দেয় সামাজিক দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে চলে কোনো কাজ শেষ করতে পারে না লেখাপড়ায় নিয়মিতভাবে খারাপ করতে থাকে সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না দাম্পত্য কলহ দেখা দেয় অর্থনৈতিক দৈন্য দেখা দেয় শারীরিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয় একাকিত্বতায় ভোগার যাতনায় ব্যক্তি কষ্ট পায় ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ঝুঁকি নেয় ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি করে বসে বিরক্তি ও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় ভায়োলেন্স বা সমাজবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করে নেশার প্রতি আগ্রহাম্বিত হয় নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজেকে নিজেই অবমূল্যায়ন করতে শুরু করে আমেরিকানদের প্রতি ১০ জনে ১ জন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়। আমাদের দেশেও এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। এ রোগ কোনো পাগলামি নয়। এটি সাইকোসিস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা রকমের। সাইকোসিস হলে অনেক সময় ব্যক্তি উন্মত্ততা শুরু করে, যাকে তাকে আঘাত হানতে পারে, কোনো কোনো সময় ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির বেলায় এমনটি হয় না।

তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত রোগী মাঝেমধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। এতে করে সে ব্যক্তি অপরের ক্ষতি করার চেয়ে নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলতে পারে। দুই-তৃতীয়াংশ আত্মহত্যাকারী মানুষ যখন আত্মহত্যা করে তখন তারা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত থাকে। প্রতি ১০০ জন পুরুষের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং প্রতি ১০০ জনে ১ জন নারী যাদের ডিপ্রেশনের রোগ থাকে জীবনের বেশির ভাগ সময় তারা পরিপূর্ণরূপে আত্মহত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিস্তারিতঃ http://ptohelp.blogspot.se/  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।