আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘোলাটে পরিস্থিতি, কোন দিকে যাচ্ছে দেশ! (চলমান পরিস্থিতির নিরপেক্ষ পোষ্টমর্টেম)

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....। সরকারের শেষ সময়ে ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে ক্রমেই জটিল বা ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি। বিশেষ করে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার ইস্যুতে সম্প্রতি দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রথম রায়ে আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া না হলেও পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশের পর। তার এ দণ্ডাদেশে অসন্তুষ্ট হয়ে নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে শাহবাগে শুরু হয় গণজাগরণ। অন্যদিকে রায় প্রত্যাখ্যানের দাবিতে দেশজুড়ে জামায়াত-শিবির উত্তপ্ত করে তোলে রাজনৈতিক অঙ্গন। তাদের একের পর এক হরতাল, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়ে ওঠে জামায়াত-শিবিরের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। ফলে অনিবার্য হয়ে ওঠে সংঘাত। শিবিরের বিক্ষোভ-সহিংসতার সঙ্গে শাহবাগের গণজাগরণ ইস্যু আর ইসলামী সমমনা দলগুলোর শাহবাগবিরোধী আন্দোলনে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

দুপুরে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পরই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-সহিংসতা। এতে বিভিন্নস্থানে পুলিশসহ মারা যায় ৪৫ জন। আর সম্পদহানি যে কী পরিমাণ হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রশাসন।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মোতায়েন করে বিজিবি। তাতেও অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় আতঙ্ক বাড়তে থাকে জনমনে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৮০ জনের প্রাণহানির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও ৫ মার্চ জাতীয় সংসদের বৈঠকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর সংসদীয় কার্যবিধি ৩০০ অনুযায়ী দেয়া বিবৃতিতে বলেছিলেন, “চলমান সহিংসতায় গত তিনদিনে সারাদেশে নিহত হয়েছে ৬৭ জন। এরমধ্য সাতজন পুলিশও রয়েছে।

” বাকি ৬০ জনকে তিনি সাধারণ জনগণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে মন্ত্রী দেয়াওয়ার হোসাইন সাইদীর রায়ের পর দেশজুড়ে সকল হামলার একটি চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করেন, “জামায়াত-শিবিরের চালানো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। ” তিনি বলেন, “দেশজুড়ে হত্যা, জানমালের ক্ষতিসাধন ও অস্থিরতা তৈরির সকল দায় বিএনপি-জামায়াত নিতে হবে। হত্যা ও সন্ত্রাস দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

” এতো প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বহির্বিশ্বেও। জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতারা সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সরকার ও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও কয়েকদিন শিরোনাম হয়ে থাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় গত ৪ মার্চ নয়া পল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালায়। কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান, আব্দুস সালামসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ৫ মার্চ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। একই দিন হরতালের ঘোষণা দেয় জামায়াতও। এ হরতালেও সহিংস ঘটনা ঘটে দেশের বিভিন্নস্থানে। এরপর ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে তাৎক্ষণিক ১২ মার্চ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই পল্টন এলাকাজুড়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ব্যাপক ভাঙচুর চলে।

প্রথম দিকে পুলিশ নীরব ভূমিকায় থাকলেও আধাঘণ্টা পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পুলিশ অ্যাকশনে গেলে বিএনপির শীর্ষ নেতারাসহ কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর ছেড়ে দেয়। তবে কিছু সময় পর তাকেসহ কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে, নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নাশকতার উদ্দ্যেশে নেতাকর্মীরা ককটেল মেরেছিল। পুলিশ নাশকতা ঠেকাতে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। তবে ওই রাতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আটক নেতাকর্মীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া না হলে ১৮ ও ১৯ মার্চ হরতাল পালিত হবে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী ছাড়া পেলেও আটক ১৫৪ নেতাকর্মীকে পল্টন থানার দুটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আদালত তাদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে ১৮ ও ১৯ মার্চের সারাদেশে হরতালের পাশাপাশি আমান উল্লাহ আমানের মুক্তির দাবিতে ২১ মার্চ ঢাকা জেলায় একদিনের হরতাল ডাকা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী দল ও সরকারি দলের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ গড়ে ওঠাই প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক রীতির প্রধান কর্তব্য বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু তা না হয়ে সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পরকে ঘায়েল করার প্রবণতা প্রকট রূপ নিচ্ছে। সরকার চলমান সহিংসতার পেছনে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিএনপির ইন্ধন, আর বিরোধী দল হরতালের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ।

বিএনপির দাবি, পদ্মা সেতু দুনীতি ষড়যন্ত্র, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কারসাজি, ডেসটিনি, রেল কেলেঙ্কারি, বিশ্বজিৎ হত্যার মতো ঘটনাপ্রবাহে এমনিতেই সরকারের ভাবমূর্তি সঙ্কটাপন্ন। নতুন করে রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করে সরকার কী ফায়দা নিতে চায়, তা তারাই বলতে পারবে। সরকার নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ বিএনপির। এদিকে সরকারের বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করতেই বিরোধীদলীয় জোট দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। একের পর এক হরতাল, অবরোধ দিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে সংলাপের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিভিন্ন মহল থেকে এ দাবি উঠেছে। সংলাপের বিষয়ে আগ্রহও আছে উভয়পক্ষের। তবে উভয়পক্ষের শর্তের বেড়াজালে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকার বলছে, জামায়াতকে ত্যাগ করলেই বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে।

অন্যদিকে বিএনপির বক্তব্য, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পুনর্বহালের আশ্বাসেই হতে পারে সংলাপ। এদিকে ১৮ মার্চ রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কারণ হরতাল এবং চলমান নাশকতার প্রভাব শুধু দেশে নয়, বাইরের দেশের সঙ্গে ব্যবসায়ও খারাপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের। একের পর শীপমেন্ট বাতিল হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি পরিবহণ ও স্টোরেজ চার্জ।

উপরন্তু মাল ডেলিভারিতে দেরি হওয়ায় ক্লায়েন্টও হারাতে হচ্ছে বায়ারদের। এছাড়া একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি তৈরি পোশাকশিল্পকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতে বায়ারদের কার্যাদেশ আগের চেয়ে অনেক হ্রাস পেয়েছে; যা একপ্রকার ভীতির কারণ। শুধু পোশাকশিল্পে নয়, সব ধরনের শিল্প বাণিজ্যে বর্তমানে মন্দাভাব বিরাজ করছে; তাই দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ আনতে সংশ্লিষ্টদের রাজনৈতিক সংঘাত ও হরতাল পরিহার করতে হবে। শিল্পে ব্যবহূত প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণের যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানে সক্ষমতা বাড়িয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতাসহ উচ্চ সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকগুলোর দুর্নীতি রোধে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের প্রান্তিক পর্যায়ে তেমন কার্যক্রম না থাকায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বেসরকারি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উচ্চ সুদে (২০-২৫%) ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে উচ্চ সুদে ঋণগ্রহণে অসমর্থ। এছাড়া ব্যাংকিং বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা এবং বেসরকারি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের নানা হয়রানিতে অনেকে ঋণ নিতে নিরুত্সাহিত হচ্ছেন।

ফলে দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ যথাযথভাবে হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তারা ঋণের বিপরীতে উচ্চ সুদ প্রদানের কারণে এবং লোকসানের ভয়ে শিল্পোত্পাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই সুদের বিষয়টি সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকঋণে যদি সুদের হার বেশি থাকে, তাহলে বিনিয়োগ কমবে বৈকি বাড়বে না। সুদের হার হ্রাস পেলে বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়বে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে উল্লিখিত প্রতিবন্ধকতাগুলো দেশে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি আনয়নে বড় ধরনের অন্তরায়; যা দ্রুত নিরসন প্রয়োজন। এই অবস্থায় প্রধান দুটি দলকে সংলাপে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু কোনো দলের পক্ষ থেকেই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা বলছেন, দলগুলোর শীর্ষ পর্যায় না হলেও যে কোনো পর্যায়ের অন্তত একটি সংলাপ চাইছেন তারা।

কিন্তু তিনি সংশয় প্রকাশ করলেন আদৌ সংলাপে দুটি দলকে বসানো সম্ভব হবে কিনা। এই অবস্থায় কেউ কি জানে, কোন দিকে যাচ্ছে দেশ? দেশের নিকট ভবিষ্যত কি?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.