আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে হাসিনা পিতার খুনী কিসিঞ্জারের হাত থেকে পুরস্কার নেয় তারাতো জিয়ার খুনী ইন্দিরাকে পুরস্কৃত করবেই!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ১৯৬২ সালে চীনের সাথে যুদ্ধে ভারত শোচনীয় ভাবে পরাজিত হওয়া সহ তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৯০ হাজার বর্গ কিমি জায়গা হারায়। এর ৪১ বছর পর ২০০৩ সালে ভারতের বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির আমলে চীনের সাথে অনেকটা সম্পর্কের উন্নতি হয়। যদিও এখনও তারা সাপে নেউলে সম্পর্ক। কারণ ভারতই তিব্বতী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রথম আশ্রয় দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে উস্কানী মূলক তৎপড়তা করে। ১৯৭৫ সালে জিয়া বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে অর্থনৈতিক ও সামরিক বিষয়াদি জোরদার করলে ইন্দিরা গান্ধীর ভারত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।

ইতিমধ্যে ১৯৭৪ সাল হতে মুজিবের বেওকুফী তত্ত্বের তথা "তোরা চাকমারা বাঙালী হয়ে যা" জন্য চাকমাদের একটা বড় অংশে ত্রিপুরায় গেলে ইন্দিরা গান্ধী তাদেরকে অস্ত্র সামরিক ট্রেনিং দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য। জিয়ার স্বাধীনচেতা পদক্ষেপের জন্য ভারত সন্ত্রাসী-বিচ্ছিন্নতাবাদী শান্তিবাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশে হামলা চালানো শুরু করে। তারপরেও ১৯৭৭ সালে জিয়া জাতিসংঘে যেয়ে ভারতের ফারাক্কা বাধের কুপ্রভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোররাজী সারদেশাই বাধ্য হয় শুস্ক মৌসুমে ৩৪ হাজার কিউসেক গ্যারান্টি ক্লজ সহকারে ৫ বছর মেয়াদী পানি বন্টন চুক্তি করতে। এতে ইন্দিরা ভীষণ ক্রদ্ধ হন।

সার্কে একমাত্র পাকিস্তানই ভারত হতে কড়ায় গন্ডায় ৫ টি অভিন্ন নদী হতে ন্যায্য পানি আদায় করে আসছে। জিয়ার এই স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে তাকে ভারত সহ তার অনুগত বাংলাদেশী দালালরা পাকিস্তানী ট্যাগ লাগায়। যে জিয়া বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানাবেন। ভারত হতে বাংলাদেশের ন্যায্য হক আদায় করা সব সময় আওয়ামীলীগার-বাকশালীদের কাছে পাকিস্তানীই মনে হয়। এর জন্যই নৌ-করিডোরতো বটেই সড়ক ও সুমুদ্র করিডোরের জন্য ভারত হতে লেভী চাওয়াকে অসভ্যতা মনে করে।

১৬ কোটি লোকের বাংলাদেশ যেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ভারত ৭১এ নিজের স্বার্থের জন্য স্বাধীন করলেও বাংলাদেশের ক্ষতি করে তাকে সুবিধা দেওয়া বালমহাজোট গোষ্ঠীর লক্ষ্য। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র জিয়াই এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। তারপর ডজন বারের অধিক সামরিক ক্যুর ব্যার্থ চেষ্টার পর ৩০শে মে ১৯৮১ সালে তাকে ভারতীয় র হত্যা করতে সমর্থ হয়। এর মূল মাষ্টার মাইন্ড হল ইন্দিার গান্ধী।

কিন্তু সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ বেশী দিন সহ্য করেননি। ৩ বছরের মাথায় ১৯৮৪ সালে ইন্দিরাকে তার দেহরক্ষী শিখরা নির্মম ভাবে হত্যা করে। তো আল্লাহ জিয়া হত্যার বিচার নিজেই করেছেন। তাই বিএনপির আর কোন বিচার চাওয়ার দরকার নেই। সেই সাথে অনেক ভারতপন্থী সামরিক অফিসারকেও ১৯৮১ সালে ফাসীর দড়িতে ঝুলতে হয়।

এত কিছুর পরেও আওয়ামী-বাকশালী গং মাঝে মাঝে শিয়ালের মত হুক্কা হুয়া তুলে যে বিএনপি চাইলে জিয়া হত্যার বিচার করা হবে। গত ১৭ই আগষ্ট সুরঞ্জিত এমনই কথা বলেছেন; Click This Link দেশ এখন কোন পর্যায়ে সেটা নাইবা বললাম। আজকে ভারতের সাথে জনগণ ও সংসদের অনুমোদনতো দূর শর্ত গোপন রেখে সড়ক ও সুমুদ্র করিডোর চুক্তি করতে যাচ্ছে তা নিয়ে সুরঞ্জিত বাবুদের বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই। কিছু হলেই স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং মাঝে মধ্যে জিয়া হত্যার বিচার চেয়ে দেশের মূল সমস্যাগুলোকে আড়াল করতে আওয়ামী-বাকশালীদের জুড়ি মেলা ভার। শেখ হাসিনার উপদেষ্টারা মনে হয় ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ কি পাবে না পাবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা তাদের নাই। কারণ হাসিনা ভারতকে মূচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় আসছে। দেশ জাহান্নামে যাক হাসিনা ক্ষমতায় থেকে লুটপাটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুক এটাই চলবে। জাতীয় বেঈমান, বিরোধী দলে গেলে হরতাল করবে না ওয়াদা করেও তা রক্ষাতো করেনি এমনকি ১৯৭৫-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মার্কিনিদের যা তা গালাগালি করে। কারণ ২১ বছর নাকি মার্কিনিদের কারণেই আলীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে নি।

এছাড়া ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ মুজিব ও তার পরিবারের হত্যার মূল নায়ক সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার(বঙ্গবন্ধুর হত্যার ফ্যাক্টস ও ডকুমেন্টস: অধ্যাপক আবু সাঈদ)। অথচ সেই হাসিনাই কিনা অতি মার্কিনপন্থী সাজতে গিয়ে প্রথম মেয়াদে ২০০০ সালে ঢাকায় হেনরী কিসিঞ্জারকে দাওয়াত দিয়ে আনে এবং একটি অনুষ্ঠানে হাসিনার ৪ বছরের কোন এক সাফল্যের জন্য কিসিঞ্জারের হাত হতে পুরস্কার নেন। হাসিনা ও তার আলীগ বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলে মুখে ফেনা তুলে এবং আগষ্ট মাস আসলে বলে কাঁদো বাঙালী কাঁদো আর ক্ষমতার লোভে হাসিনা তার পিতার খুনীর হাত হতে পুরস্কার নেয়। হযরত আদম(আঃ) হতেতো এ পর্যন্ত বটেই কেয়ামত পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটবে না যে পিতা ও পরিবারের খুনীর হাত হতে কেউ হাসি মুখে পুরস্কার নেয়। এই মানব ইতিহাসের বিরল দৃষ্টান্ত হল হাসিনা।

যে হাসিনা পিতার হত্যাকারী হতে পুরস্কার নিতে পারে তার দ্বারা যেকোন বিপদজনক ও খারাপ কাজও হতে পারে। অথচ এর অনুসারীরাই বলে কিনা জিয়া হত্যার বিচার হতে পারে। ঠিক ফারুক খান যেমন নির্মম রসিকতা করে যে কম খান এই জিয়া হত্যার বিচারও তাই। বাংলাদেশে কোন আলীগের সমর্থককে খুজে পেলাম না যারা হাসিনার পিতার খুনী হতে পুরস্কার নেওয়ার ঘটনাকে সমালোচনা করেছে। অথচ এদের দাপট ও বাহাদুরীর কোন সীমা-পরিসীমা নেই।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.