আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুলেটপ্রুফ মানবত্বক

দৈনিক কালের কন্ঠের (১৮ আগষ্ট, ২০১১) শেষের পাতায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার বেশ নজর কেড়েছে। সোনার বাংলায় টিকে থাকতে হলে এমন কিছুই তো চাই। "কমিকসের সুপারম্যান বা সায়েন্স ফিকশনের ম্যান অব স্টিলের মতো বুলেটপ্রুফ একটা শরীর পেলে ভালোই হতো; অন্তত রাস্তাঘাটে ছিনতাইকারীর গুলিতে বেঘোরে প্রাণটা হারাতে হতো না। তাহলে আর কী, আফসোস ছাড়া আর তো করার কিছু নেই!... কিছুদিন আগে হলে এ অসহায় দশা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকত না। তবে এখন করার আছে অনেক কিছুই; বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শুধু কমিকস বা সায়েন্স ফিকশনেই নয়_বাস্তবেও মানুষকে এমন বুলেটপ্রুফ করে গড়ে তোলা সম্ভব।

ডাচ্ গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এরই মধ্যে মানুষের ত্বককে বুলেট ফেরানোর মতো শক্তিশালী করে তোলার একটি উপায় উদ্ভাবন করেছেন। গবেষক জলিলা ইসাইদি জানিয়েছেন, কিছু মাকড়সা আছে যারা বেশ মজবুত ধরনের রেশম উৎপাদন করতে পারে। এদের দেহে থাকা বিশেষ প্রোটিনের কারণে এরা কাজটি করতে পারে। মিস ইসাইদ জানিয়েছেন, তাঁরা নেদারল্যান্ডসের ফরেনসিক জেনোমিকস কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন। এ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা প্রথমে কিছু ভেড়ার জিনে এমন পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যে এদের দুধে মাকড়সার দেহে থাকা ওই বিশেষ ধরনের প্রোটিন বিদ্যমান থাকে।

পরে ওই দুধ ঘনীভূত করে আরো কয়েক ধাপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেটি দিয়ে তাঁরা এমন একটি ধাতুর মতো পদার্থ তৈরি করতে পেরেছেন, যা স্টিলের চেয়েও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী। গবেষকরা জানিয়েছেন, সায়েন্স ফিকশনে যা দেখানো হয়, তা হলো সরাসরি মানুষের ত্বকই বুলেট ফিরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী। বাস্তবে অবশ্য এমনটি নেই। বাস্তবে এর বিকল্প হিসেবে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে গবেষকরা জ্যাকেটের পরিবর্তে মানুষের ত্বককেই বুলেটপ্রুফ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন।

এ জন্য তাঁরা মানুষের জিনে কিছু পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন। গবেষক জলিলা ইসাইদি জানিয়েছেন, মানুষের ত্বকে কেরাটিন নামে একটি উপাদান আছে, যা ত্বকের কাঠিন্য নির্ণয় করে। তাঁরা মানুষের জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে ওই কেরাটিনের পরিবর্তে শক্তিশালী রেশম উৎপাদন করা ওইসব মাকড়সার বিশেষ ওই প্রোটিন প্রতিস্থাপন করে দেবেন। এতে মানুষের ত্বক স্টিলের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী অর্থাৎ বুলেটপ্রুফ হয়ে উঠবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনো মানুষের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়নি।

প্রাথমিকভাবে তাঁরা ভেড়ার দুধ থেকে যে পদার্থটি তৈরি করেছেন, তাতে পয়েন্ট টুটু বোরের গুলি চালিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য পাওয়া যায়নি, তবে তাঁরা এ প্রকল্প নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন এবং সফল হবেন, এ ব্যাপারে তাঁরা বেশ আশাবাদী। দ্য ডেইলিমেইল অনলাইন। " এই নিউজ পড়ে বেশ কিছু প্রশ্ন মনে আসলো। যেমন, বাংলাদেশে এই সুযোগ আসলে প্রথমে কারা পাবে - দলীয় ছাত্র সংগঠন, নাকি পরিবারের লোকজন নাকি সাধারণ মানুষ।

উত্তরটা কি খুব কঠিন? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।