আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেলথ টিপস

কিডনির যত্নে করণীয় কিডনি মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যত্নে কিছু কাজ আমাদের প্রতিনিয়ত করা দরকার। কিডনির যত্নে প্রস্রাব ঠিকমতো হওয়া উচিত এবং সে জন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা দরকার। এতে প্রস্রাবের সাথে পাথর বেরিয়ে যাবে। লবণ বা লবণমিশ্রিত খাবার কম খেলেও পাথর হওয়ার হার কমে যায়।

চিনির মাধ্যমেও পাথর জমতে পারে। কিডনিতে যাদের পাথর জমে গেছে, তাদের চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত। গোশত ও ডিম, মাছের মতো প্রাণিজ প্রোটিন পাথর হতে সাহায্য করে। গম, বার্লি, চাল ইত্যাদি আঁশযুক্ত খাবার পাথর কমাতে সাহায্য করে। চকোলেটও বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়।

এতেও সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির উপায় কম-বেশি সবাই অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে এটি হয়ে থাকে। অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে সিগারেট, কফি, চা ইত্যাদি কম পান করতে হবে। কলা, তরমুজ, শশা ইত্যাদি অ্যাসিডিটি হ্রাস করে।

তরমুজের জুস অ্যাসিডিটি নিরাময়ে কার্যকর। অল্প গরম পানি বা দুধ পানেও উপকার পাবেন। সম্ভব হলে প্রতিদিনই এক গ্লাস করে দুধ পান করবেন। দুবারের খাবারের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি থাকলেও অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই ব্যবধানটা কমিয়ে আনবেন।

মসলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে যাবেন। আদাও অ্যাসিডিটি হ্রাসে সহায়তা করে থাকে। পানিতে মেদ হ্রাস পরিকল্পিতভাবে পানি পান করেও মেদ কমানো যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিবেলায় খাবারের আগে দুই গ্লাস পানি পান করেও কয়েক কেজি ওজন কমানো যায়। বিশেষ করে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীদের জন্য এটা একটু বেশিই ফলপ্রসূ।

এতে কোনো পার্শðপ্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি হয় না বলেও জানানো হয়েছে। গবেষকরা জানান, খাবার গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে দুই গ্লাস পানি পান করতে হবে। এর পেছনে থাকা কারণ হলো, পানি পানের ফলে ক্ষুধা হ্রাস পায় এবং এতে করে কম খাবার গ্রহণ করতে হয়। আর পানিতে ক্যালরি না থাকায় মেদ বৃদ্ধির কোনো শঙ্কা থাকে না। আয়ুবর্ধক সবজি হলুদ ও সবুজ সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আলফা-ক্যারোটিন পাওয়া গেছে।

ফলে এসব সবজি খাওয়া হলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকবে। নতুন এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের চাওইয়াং লি ও তার সহকর্মীরা আলফা-ক্যারোটিনের সাথে ওই সব রোগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন। হলুদ সবজির মধ্যে রয়েছে গাজর, মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি। আর সবুজ সবজির মধ্যে পুঁইশাক, পালং শাক প্রভৃতি ঘুমের সাতকাহন দেহ স্বাভাবিক রাখতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।

তবে কতটুকু ঘুমাতে হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েই ফ্রেশ ও কর্মক্ষম থাকেন, কারো দরকার হয় ৮ ঘণ্টা ঘুমের। শিশু-কিশোরদের সাধারণত ৯ ঘণ্টা ও প্রবীণদের গড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার হয়। অন্য কোনো ধরনের জটিলতা না থাকলে ঘুমে সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে যারা কায়িক পরিশ্রম করেন না বা নানা ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যায় ভোগেন তারা ঘুমের জটিলতায়ও ভোগেন।

এ রকম পরিস্থিতি নিরসনে চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। চা, কফি, অ্যালকোহল ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ডায়াবেটিস হলে করণীয় ডায়াবেটিস রোগটি এখন অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। এই রোগটি নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নয়।

ডায়াবেটিস হলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস হলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত নয়, দেহের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে এগুলো খেতে হবে। তবে পরিমিত পরিমাণে, চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে। মাঝে মাঝে চকোলেটও খেতে পারেন তারা। অন্য সবার মতো ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।

অর্থাৎ চর্বি কম এবং আঁশ বেশি এমন খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে। ডায়াবেটিস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে পরিকল্পিত জীবনযাপন করলে বেশির ভাগ জটিলতাই এড়িয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব। ক্যাফেইনের মিথ চা বা কফি পান করলে আমরা কিছুটা হলেও চাঙ্গা হই। এর কারণ হলো এতে ক্যাফেইনের উপস্থিতি।

ক্যাফেইনের সবচেয়ে প্রচলিত উৎস হলো কফি, চা পাতা ও কোকা বীজ। কোনো কোনো এনার্জি ড্রিংকে প্রতি আউন্সে ১৬০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকে। আর কফির সিরাপে থাকে প্রায় চার মিলিগ্রাম। ব্যথানাশক, ঠাণ্ডানাশক ও ডায়েট পিল হিসেবে ক্যাফেইন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু বেশি বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে তাতে আসক্তির সৃষ্টি হতে পারে ও সেটা নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।

তাই এটা বেশি গ্রহণ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা উচিত। অনেকের জন্য হৃদরোগের কারণও হতে পারে এটা। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, এটা কিছুটা হলেও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এটা গ্রহণ করলে অনেকের পক্ষে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম নিয়ে বিপত্তি সৃষ্টি হতে পারে।

দিবানিদ্রা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক মানসিক চাপের সময় ঘণ্টা খানেকের দিবানিদ্রাও বেশ উপকারী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাইয়ান ব্রিন্ডল ও সারাহ কঙ্কলিনের পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, যারা দিনের বেলায় ৪৫ মিনিট ঘুমান, তাদের রক্তচাপ তুলনামূলক অনেক কম থাকে। বিশেষ করে যারা মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তায় থাকেন তাদের জন্য এই ঘুম অত্যন্ত উপকারী। জরিপে আরো দেখা যায়, হৃদরোগের সাথে দিবানিদ্রার সম্পর্ক খুব একটি নেই। দিবানিদ্রা ছাত্রদের জন্যও উপকারী।

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় যারা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ রিচ ফুড খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম। সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। দুই লাখ ২৭ হাজার পূর্ণবয়স্ক লোকের ওপর মোট ১১টি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে শরীরে পটাশিয়াম গ্রহণের কারণে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার অনেক কমে যায়। তবে এ জন্য পটাশিয়ামকে কৃতিত্ব দিতে চান না গবেষকরা। আসলে এসব দামি খাদ্য থাকে নানা ধরনের ফল ও সবজির নির্যাস যা মানবদেহকে স্বাস্থ্যবান ও ঝুঁকিমুক্ত করে তোলে।

এ গবেষণার ফল হিসেবে বিশেষজ্ঞরা স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে হৃদরোগ ও অন্যান্য অনেক অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। আমেরিকান কলেজ অব কারডিওলোজির সাম্প্রতিক এক জার্নালে তাদের এ গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। একজন পুনঃবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তারা মতামত দিয়েছেন। শিশুদের ঘুম ঘুম সবার জন্য প্রয়োজন এবং শিশুদের আরো বেশি দরকার।

অবশ্য বড়দের চেয়ে শিশুদের ঘুমের ব্যবধানে পার্থক্য রয়েছে। তা ছাড়া শিশুর কতটুকু ঘুম প্রয়োজন তা নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে। নবজাতকরা সাধারণত দিনে ১৬ থেকে ১৯ ঘণ্টা ঘুুমিয়ে থাকে। খাওয়ার জন্য দুই বা তিন ঘণ্টা পরপর জেগে ওঠে। খিদে পাওয়ায় জাগে বলে সে সাধারণত একটানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমায় না।

তবে কোনো কোনো নবজাতক টানা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টাও ঘুমাতে পারে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণও কমে যায়। তিন মাসের শিশুরা ১৩ থেকে ১৫ ঘণ্টা, ৬ থেকে ১২ মাসের শিশুরা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমায়। অনেক শিশু রাতে বেশি জেগে থাকে কিংবা কান্না করে। সে ক্ষেত্রে মাতাপিতার জানা উচিত শিশুটি ক্ষুধায় নাকি কোনো ব্যথায় কান্না করছে তা জানা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

শিশু যাতে নিজেকে নিরাপদ ভাবে, সেটিও নিশ্চিত করা দরকার। খাওয়ার আগে পানি পান ভালো ওজন কমানোর জন্য খাওয়া কমানো, ব্যায়াম করা ইত্যাদি অনেক কথাই বলা হয়। তবে প্রতিবার খাবার আগে দুই-এক গ্লাস পানি পান করেও ওজন হ্রাস করা সম্ভব। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই পানি পানের ফলে ক্ষুধা হ্রাস পেয়ে খাদ্যগ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, খাবার আগে মাত্র আট-আউন্স পানিও ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার গবেষক ব্রেন্ডা ড্যাভি বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১২ সপ্তাহ ধরে যারা তিন বেলা খাবারের আগে পানি পান করেন, তারা পাঁচ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হারান। পানি পান বাড়িয়ে ওজন হ্রাসের মাত্রা বাড়ানো যায়। একজন মানুষের দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত, তা নিয়ে সর্বজন স্বীকৃত কোনো হিসাব নেই। তবে ধারণা করা হয়, নারীদের পানিসহ দিনে নয় কাপ তরল গ্রহণ করা উচিত। আর পুরুষদের উচিত ১৩ কাপ।

তা ছাড়া অনেকে বলে থাকেন, জোর করে পানি পান না করে তেষ্টা পেলেই পান করা উচিত। ব্যথা নিরাময়ে আদা প্রতিদিন কাঁচা আদা বা সামান্য গরম করে আদা খেলে পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। চীনা চিকিৎসাবিদরা কয়েক শতাব্দী ধরে ব্যথা নিরাময়ে আদা ব্যবহার করে এলেও পশ্চিমারা এ দিকটিতে তেমন নজর দেয়নি। কোনো কোনো গবেষণায় দেখা গেছে, আদায় বুকজ্বালা সমস্যারও সমাধান করতে সক্ষম। আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, চার থেকে ৩৬ সপ্তাহ প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত আদা গ্রহণ করলে বাতজনিত হাঁটুর ব্যথা থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।

ব্যায়ামজনিত ব্যথা থেকেও আদা বেশ স্বস্তি দিতে পারে। চা ও কফি কমিয়ে দিন এক কাপ চা ছাড়া অনেকের পক্ষে দিনের শুরুর কথা চিন্তাও করা যায় না। দেহ-মনকে চাঙ্গা রাখতে চা আর কফির তুলনা নেই। এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আর চিনি এ কাজটি করে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চা বা কফি পান খারাপ কিছু নয়।

তবে মাত্রাতিরিক্ত অবশ্যই দোষণীয়। অতিরিক্ত গ্রহণে ভালোর চেয়ে খারাপই হয় বেশি। অনেকে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে এক কাপ চা পান করে নেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কয়েক ঘণ্টা কোনো ধরনের খাবার গ্রহণ না করলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চা ও কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ও চিনি তাৎক্ষণিক চাঙ্গাভাব এনে দেয়।

কিন্তু এই ক্যাফেইন অ্যাসিডিটি, অনিদ্রা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত চা খেলে ভিটামিন-ই হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। ফলে অনেকের ত্বক কালো হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রাপ্তবয়স্ক কারো জন্য দিনে ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি চা বা কফি পান করা ঠিক নয়। তা ছাড়া অন্যান্য কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, চকোলেটও ক্যাফেইন থাকে।

এগুলোর ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। থার্ডহ্যান্ড ধূমপান আরো ভয়াবহ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা সবাই জানে। তবে ধূমপান না করেও অনেকে ধূমপানজনিত ক্ষতি আরো ভয়াবহভাবে টের পেতে পারে। বিশেষ করে থার্ডহ্যান্ড ধূমপান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে। সিগারেটের ধোঁয়া কার্পেট, পোশাক, ফার্নিচার ও অন্যান্য স্থানে আটকে থাকে।

এটি পরে শ্বাসপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের মধ্যে প্রবেশ করে। এটিকে বলা হয় থার্ডহ্যান্ড ধূমপান। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের ভেতরকার বাতাসে বিভিন্নভাবে আবদ্ধ হয়ে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া দেহের জন্য মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে যারা ধূমপান করে না ও শিশুরা এ থেকে ভয়াবহ রকমের ক্ষতির শিকার হতে পারে। শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি।

স্থূলতা এড়াতে করণীয় আপনি কি স্থূল হয়ে পড়ছেন? তাহলে একবারে অনেক সিদ্ধান্ত না নিয়ে ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন, অনেক বেশি ফল পাবেন। শুরু করুন প্রতিদিন ২০ মিনিট সকালে হাঁটা। তারপর জগিং, সাইক্লিং ইত্যাদি শুরু করতে পারেন। পটেটো চিপস, কুকির মতো উচ্চ ক্যালরির খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল ও সবজি গ্রহণ করুন। এতে শুধু স্বাস্থ্যসম্পন্ন ওজনই হবে না, প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবেন।

শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি আঁশ জাতীয় খাবারও খেতে হবে। কেবল ক্ষুধার্ত হলেই খাবার খাবেন। আপনার পেট ভরল কি না তা মস্তিষ্ক জানতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগে। তাই ধীরে খাবার গ্রহণ করুন। তবে সকালের নাশতা খেতে ভুল করবেন না।

সকালে যারা নাশতা না করেন তারা বেশি ক্ষুধা অনুভব করেন এবং অবশিষ্ট সময় বেশি বেশি খান। টিভি দেখা, কম্পিউটারে চ্যাট করা, ভিডিও গেম খেলা ইত্যাদিতে কতটুকু সময় ব্যয় করেন, সেই হিসাব করুন। দিনে দুই ঘণ্টার বেশি এসব কাজে ব্যয় করবেন না। চিনি মিশ্রিত জুস, সোডা ইত্যাদিতে স্থূল হওয়ার অনেক উপাদান থাকে। ছুটির সময় করণীয় কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকা অনেকে ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ করে কোথাও বেড়াতে গেলে অনেক অনিয়ম করে ফেলেন।

আবার ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু মেনে চলাও সম্ভব হয় না। খাবারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো কঠিন। ফলে নানা ধরনের জটিলতায় পড়েন তারা। অথচ কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সময়ও নিশ্চিন্তে থাকা যায়। প্রথমত, কোনো বেলার খাবার বাদ দেয়া যাবে না।

পরিমাণে অল্প হলেও খেতে হবে। তবে কোনো পার্টিতে গিয়ে অতিরিক্ত খাওয়া চলবে না। খাবার সময় ক্যালরির দিকে নজর রাখুন। ছোট প্লেটে খাবার নিন। এতে কম খাওয়া হবে।

খাবার একটু ধীরে ধীরে খেলে হজমসহায়ক হয়। সবজি বেশি বেশি নেবেন। ছুটির সময়ও ব্যায়াম করুন। হেঁটেও এই কাজটা সারতে পারেন। প্রয়োজনে রাতের খাবারের পর পুরো পরিবার নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করুন।

এতে বেড়ানোও হবে, ব্যায়ামও হবে। সেলফোনে অ্যালার্জি বাড়ে আপনি যত বেশিক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, আপনার তত বেশি ত্বকের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো ব্যবহার না করলে জুয়েলারি, উল্কি, কসমেটিকসও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এসিএএই ফেলো লুজ ফনাসিয়ার বলেন, দীর্ঘক্ষণ সেলফোন ব্যবহার করলে আপনার কান নিকেলের স্পর্শে থাকবে এবং এতে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অ্যালার্জির জন্য অন্যতম দায়ী নিকেল।

মুদ্রা, পেপার ক্লিপের মতো যেসব বস্তুতে নিকেল থাকে, সেগুলোও দীর্ঘক্ষণ ত্বকের সংস্পর্শে না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, হাতে নিকেল ধরা হলে তা আঙুলের মাধ্যমে মুখমণ্ডলে পৌঁছে যেতে পারে এবং চোখে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তিনি নিকেলযুক্ত চশমার ফ্রেম, ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহারেও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি সেলফোন ইত্যাদিকে প্লাস্টিকের কভার লাগাতে বলেছেন। ওজন কমানোর ছয় উপায় আপনি অনেক দিন ধরেই ওজন কমাতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না।

আপনাকে আসলে প্রথমে বাস্তববাদী হতে হবে। এক দিনে বা এক সপ্তাহে কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছতে পারবেন না। ধীরে ধীরে ফল পাওয়ার আশা করুন। এখানে ওই কাজটি কিভাবে শুরু করবেন, তার কয়েকটি টিপস দেয়া হলো। চেষ্টা করে দেখুন, আশা করা যায় উপকার পাবেন।

প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা দিয়ে শুরু করুন। শুরুতে একবারে না পারলে ১০-১৫ মিনিট করে কয়েকবারে করুন। যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, এটি বাদ দেবেন না। আপনি প্রতিদিন কী কী খাচ্ছেন, তার একটি তালিকা করুন। অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করার অভ্যাস থাকলে এর মাধ্যমে তা দূর করা যাবে।

এমপিথ্রি শ্রবণে সমস্যা এমপিথ্রি ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ শুনিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ সময় এমপিথ্রি ব্যবহার করলে শ্রবণ সমস্যা, এমনকি স্থায়ীভাবেই বধির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড শব্দ কানে প্রবেশ করতে থাকলে কানের ভেতরের স্পর্শকাতর শ্রবণ কোষগুলো ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। গবেষকরা ২১ জার্মানকে হেডফোনের মাধ্যমে এমপিথ্রি প্লেয়ার শুনিয়ে ভয়াবহ তথ্য পান। পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় সবারই শ্রবণ শক্তিতে হেরফের ঘটে।

কফ হলে করণীয় কফ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম পানি ভাপ বেশ উপকারী। তরলজাতীয় খাবার বেশি করে গ্রহণ করলে কফ নিঃসরণে সহায়ক হয়। কফ জমে নাক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীরা এই ড্রপার ব্যবহারে সাবধান থাকবেন। কফ লজেঞ্জ বা শক্ত ক্যান্ডিও কফের যন্ত্রণা উপশম করে।

তবে তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের এসব ক্যান্ডি দেবেন না। কারণ তারা সেটি গিলে ফেলতে পারে। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। যারা ঠাণ্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। কফকে সামান্য রোগ ভেবে অবহেলা করবেন না।

বিলম্বে আপনার মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ফ্যাটযুক্ত খাবার একেবারে বর্জন নয় ওজন বাড়া নিয়ে আমাদের অনেকেরই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। প্রচলিত একটা ধারণা আছে, ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, তেল মাখন ঘি অর্থাৎ ফ্যাটযুক্ত খাবার বর্জন করলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। কারণ অধিকাংশ ফ্যাটজাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর প্রোটিন, যা ক্ষুধা নিবারণ করে শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং কাজের যোগ্য করে তোলে।

হঠাৎ করে ফ্যাটযুক্ত খাবার বন্ধ করে দিলে আপনার প্রচুর ক্ষুধা লাগবে এবং আপনি কাজ করার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলবেন। তখন বাধ্য হয়েই আপনি বাছবিছার না করে এটা ওটা অর্থাৎ সামনে যা পাওয়া যায় তা-ই খাবেন। এতেই দেখা দেবে বিপত্তি। এর ফলে আপনি শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা শুরু করবেন। তাতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের বদলে আরো অনেক বেড়ে যাবে।

কাজেই ফ্যাটযুক্ত খাবার একেবারে বর্জন করা উচিত নয়। বরং উচিত হলো শরীরের ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করা। খাওয়ার সময় টিভি দেখবেন না অনেকেই বিশেষ করে রাতের খাবার গ্রহণের সময় টেলিভিশন দেখার কাজটিও সেরে নেন বা বিপরীতটাও করেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, কাজটা মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খাওয়া ও টিভি দেখা একসাথে চললে কোনোটাতেই একাগ্রতা জন্মে না।

অন্তত খাবারটা ঠিকমতো খাওয়া হয় না। অনেক সময় অল্প খাওয়া হয়, আবার অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। উভয়টাই স্বাস্থ্যর জন্য ভালো নয়। সিডনির ম্যাককুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল তরুণের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, টিভি দেখার সময় খেতে শুরু করলে বেশির ভাগই খাওয়া সম্পন্ন করতে পারে না। মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে বাদাম তেল বাদাম শুধু মুখরোচক খাদ্য উপাদানই নয়, এর রয়েছে নানা গুণ।

মানুষের মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে বাদামের তেলের রয়েছে দারুণ কার্যকারিতা। খোসা ছাড়িয়ে একটু পানি দিয়ে বাদাম পিষলে তা দুধের মতো লাগে। এর সাথে চিনি ও দুধ মিশিয়ে সকালে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসচুসেটস লওয়েলের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বাদামের রস মগজের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার এসিটিলকোলিনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে বাড়ে মস্তিষ্কের শক্তি।

এ ছাড়াও বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে যেকোনো ঝুট-ঝামেলায় মানসিক চাপ মুক্ত থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। মানসিক বিষাদগ্রস্ততার চেয়ে বড় শত্রু আর নেই। মনকে সতেজ রাখার কৌশল পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম, মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে মনকে সতেজ রাখা যায়। আবার টাইপ টু ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। এসব রোগে আক্রান্ত হলে স্মরণশক্তিও হ্রাস পায়।

পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। আবার মাছ ও শাকসবজি গ্রহণ করলে মেধা বাড়ে। মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামের ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা হ্রাস করে। মনকে সবসময় কাজ দিতে হবে।

যখন কোনো কাজই আর থাকে না, তখন বই পড়ে, এমনকি ধাঁধার সমাধান বা সুডুকু খেলে হলেও ব্যস্ত থাকতে হবে। সুস্থ থাকতে দিনে পাঁচবার খান সময়মতো খাবার গ্রহণ সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান জীবনের অতি আবশ্যিক অনুষঙ্গ। আমরা অনেক সময় জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে নিয়মমাফিক খাবার গ্রহণ থেকে বিচুøত হই। কর্মব্যস্ততা বা সময় না পাওয়ার অজুহাতে এ অভ্যাস করা মোটেও ঠিক হবে না। শরীর ঠিক রাখার জন্য শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের একটি খাদ্যগ্রহণ তালিকা বজায় রাখতে হবে।

যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে কখনোই নাশতা না করে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। অন্তত একটি রুটি বা ফল দিয়ে নাস্তা সারতে হবে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পর্যাপ্ত পান করতে হবে। সেই সাথে একটি সিদ্ধ ডিম খুব উপকারী যা দুর্বলতা রোধ করবে। ঠিকমতো নাশতা করলে সারা দিনে কাজের উদ্দীপনা বহুগুণে বেড়ে যায়।

এ ছাড়া সারা দিনে অন্তত পাঁচবার খেতে পারলে শরীর স্বাভাবিক থাকবে। তবে নাশতা, দুপুরের খাওয়া ও রাতের খাওয়া যতটা সম্ভব ঠিক সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর যেটাই খাবেন সেটা অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া চাই। নাক ডাকা বন্ধে করণীয় ঘুমের মধ্যে নাসারন্ধ্র দিয়ে নির্বিঘ্নে বাতাস চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেলেই নাক দিয়ে শব্দ হয়। যিনি নাক ডাকেন, তিনি টের না পেলেও কাছাকাছি থাকা লোকদের কাছে এটি অসহ্যকর মনে হতে পারে।

স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। বয়স্ক ব্যক্তিদের গলার পেশি শক্ত হয়ে গেলেও সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। ঠিকমতো না শোয়াসহ আরো অনেক কারণেই এটি হতে পারে। কেন সমস্যাটি হচ্ছে তা জেনেই এর সমাধান বের করতে হবে। বিশেষ করে কোনো কারণে নাক বন্ধ থাকলে তা পরিষ্কার রাখতে হবে।

তবে ওষুধ ব্যবহার করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে। সমস্যাটি খুব বেশি হয়ে গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমাধানের পথ বেছে নেয়া বাঞ্ছনীয়। মোবাইল ফোনে মস্তিষ্কে সমস্যা মোবাইল ফোন কানে লাগিয়ে টানা ৫০ মিনিট কথা বললে আপনার মস্তিষ্ক কোষের কার্যক্রম বদলে যেতে পরে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তবে এর কোনো ধরনের ক্ষতি হয় কি না তা নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের মধ্যে সংশয় রয়ে গেছে। তা ছাড়া মোবাইল ফোন ও ক্যান্সারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন গবেষকরা।

তবে এটি উদ্বেগের বিষয় বলে গবেষকরা মনে করছেন। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে ড. নোরা ভলকো বলেন, মস্তিষ্কের খুব কাছে মোবাইল ফোনের অ্যানটেনা রাখা হলে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ মেটাবোলিজমের (মস্তিষ্কের কার্যক্রমের লক্ষণ) বাড়ে। ১৯৮০-এর দশকে চালু হওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোন বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ কোটি। বুকে না হার্টে ব্যথা বুঝবেন কিভাবে হৃদপিণ্ডের রক্তনালী সরু হওয়ার কারণে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করলে বুকের বাম পাশে যে ব্যথা বা চাপ অনুভব হয় তাকে আমরা অ্যানজাইনা বলি।

বিশ্রাম নিলে বা জিহ্বার নিচে নাইটেট জাতীয় ট্যাবলেট বা স্প্রে দিলে এই ব্যথা কমে যায়। ওষুধ দেয়ার পর বুকের ব্যথা কমে গেলে অনেকটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এই ব্যথা হার্টের/হৃদরোগের। হঠাৎ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ডের কিছু অংশের মাংসপেশী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। সে ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা/চাপ তীব্র, প্রলম্বিত ও সাথে শ্বাসকষ্ট ও ঘাম হতে পারে। তবে সব সময় বুকে ব্যথা ও হার্টের ব্যথা আলাদা করা যায় না।

এসব ক্ষেত্রে হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে এবং এ ধরনের ব্যথা না কমলে রোগীকে অবশ্যই কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা দ্রুত কোনো হাসপাতালে নেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে যত দ্রুত হাসপাতালে নেয়া যাবে ততই চিকিৎসার ফলাফল ভালো হবে। কলমিশাকের নানা গুণ কলমিশাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কলমি দুই প্রকার। যথা­ ডাঙ্গা কলমি ও জলকলমি।

ডাঙ্গা কলমিগাছ দিয়ে ফসলের ক্ষেতের বেড়া দেয়া হয়। জলকলমিশাক খাওয়া যায়। কলমিশাক পুরুষের শুক্র ও মেয়েদের বুকের দুগ্ধবর্ধক। কলমি রক্ত পরিষ্কার করে এবং নানা প্রকার যৌনব্যাধিতে উপকারী। কলমি ডাঁটা ছেঁচে রস বের করে রোজ সকালে এক টেবিল চামচ খেলে শরীর বিষমুক্ত হয়।

কলমির পাতা বেটে ফোঁড়ায় লাগালে পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়। চিকেন পক্স উঠলে কলমিশাক খেলে ভেতরের পক্স তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে আসে। হিস্টিরিয়া রোগে কলমিপাতা ও ডাঁটা বেটে রস খেলে উপকার হয়। শরীর ও পেট গরম হলে কলমিশাক খেলে ভালো হয়। কলমিশাক দিয়ে সকাল-বিকেল ভাত খেলে মায়ের বুকের দুধ বাড়ে।

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে রাতে দুধের সাথে পাঁচ ফোঁটা কলমিপাতার রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়। ডায়াবেটিক রোগীরা প্রতিদিন কলমিশাক খেলে উপকার হয়। যেসব লোকের ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হয় সারাক্ষণ, তারা কলমিশাক খেলে উপকার হয়। ওজন কমানোর উপায় ওজনাধিক্যের জন্য বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা সবাই ওজনাধিক্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।

কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আসলে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা ও চেষ্টা। ওজন নিয়ন্ত্রণে প্রতি বেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন, মজার বা প্রিয় খাবারে উদরপূর্তি করে না খেয়ে আধপেট খান বা পেট খালি রেখে খান, খাবারের সময় অবশ্যই চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে খান। বিশেষ করে মাছ ও গোশতের চর্বি, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি; ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবেন না। বাজি ধরে বা বন্ধুদের সাথে সেলিব্রেট করার সময় খাবার না খেয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন।

ফাস্টফুড-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো উচ্চ ক্যালরি ও উচ্চ ফ্যাট বহুল খাবার। যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন, যেমন­ কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও হেঁটে যান, ওপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়িতে চলুন, স্ন্যাকস হিসেবে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন, কারো আশায় না থেকে নিজের ছোট ছোট কাজ নিজেই করুন। যেমন­ এক গ্লাস পানির জন্য কাউকে না বলে নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে নিন। চোখের ত্রুটি কারণ ও প্রতিকার স্নায়ু দুর্বলতা অথবা সরাসরি কোনো মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে চোখের অবস্থানের ভারসাম্যহীনতা ঘটে।

ফলে চোখ উল্টো দিকে বেঁকে যায়। একে ট্যারা চোখ বলা হয়। বাচ্চা ডেলিভারির সময় বিলম্বিত হলে অথবা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে চোখে আঘাতের কারণে চোখ ট্যারা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে চোখ ট্যারা হলে দেরি না করে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নেয়া বাধ্যতামূলক। চশমা দিয়ে দৃষ্টি স্বল্পতার চিকিৎসা করালে অনেক ক্ষেত্রে (বিশেষ করে একোমোডেটিভ ইসোট্টোপিয়া এবং ইনটারমিটেন্ট এক্সোট্টপিয়াতে) চোখ সোজা হয়ে যায়।

ডাক্তারের পরামর্শে প্রিজম নামক স্বচ্ছ লেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বাঁকা চোখ সোজা হয়। অপারেশনের মাধ্যমেও ট্যারা চোখ সোজা করা যায়। মাংসপেশির কিছু অংশ কেটে অথবা না কেটে সুবিধাজনক স্থানে আবার সেলাই করে লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে নতুন করে চোখের ভারসাম্য তৈরি হয় বলে চোখ সোজা হয়ে যায়। স্লিম হতে করণীয় স্লিম হওয়া যেন এই সময়ের ট্রেন্ড।

কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে স্লিম হওয়া খুব সহজ নয়। এ জন্য প্রথমেই আপনার মনকে শক্ত করতে হবে। ভাজাপোড়া, মিষ্টি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার প্রায় বন্ধই করে দিতে হবে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন।

১৫ মিনিট পর এক কাপ চিনি ছাড়া চা পান করুন। সাথে এক-দুটি টোস্ট বা বিস্কুট খেতে পারেন। চা পানের এক ঘণ্টা পর সকালের নাশতা করুন। সকালের নাশতায় দু-তিনটি রুটি, একটি ডিম, সবজি ও সালাদ রাখুন। দুপুরের ও সকালের খাবারের মাঝে ফল যেমন­ আপেল, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি খেতে পারেন।

শুধু দুপুরে একটু ভাত খাবেন। মধ্যাহ্নভোজে এক থেকে দেড় কাপ ভাত, এক কাপ ডাল, সবজি, এক টুকরো মাছ বা গোশতসহ ঝোল তরকারি ও সালাদ রাখুন। রাতে আবার দু-তিনটি রুটি, সবজি, এক কাপ ডাল ও এক টুকরো মাছ বা গোশত খাবেন। সাথে এক কাপ দুধ রাখতে পারেন। ওপরের খাদ্যাভ্যাসগুলো ছাড়া প্রতিদিন অবশ্যই আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এভাবে যদি প্রতিদিন ওপরের অভ্যাসগুলো মেনে চলতে পারেন তবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে আপনি স্লিম হতে পারবেন। রোগ প্রতিরোধে আদা শুধু যে রান্নাবান্নার কাজে আদা ব্যবহার হয় তা নয়, নানা রোগ প্রতিরোধে এর শক্তিশালী কার্যকর ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণায় জানা গেছে, আদা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কার্যকরভাবে কমাতে সাহায্য করে। রক্তে অধিকমাত্রার কোলেস্টেরলের উপস্থিতি হৃদরোগ সৃষ্টির বিভিন্ন কারণের মধ্যে বিশেষ একটি। গবেষকদের মতে আদায় রয়েছে রক্তজমাটবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা রক্তনালীর ভেতরের রক্ত জমাটে বাধা দান করে।

এ ছাড়াও আদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। তারুণ্য ধরে রাখার উপায় কম-বেশি সবাই চান তারুণ্য ও সতেজতা ধরে রাখতে এবং অনেক ক্ষেত্রে সেটি খুব কঠিনও নয়। দেহ মনকে সতেজ রাখতে ঘুম অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। স্বাস্থ্যবান ও সতেজ থাকতে দিনে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার।

সপ্তাহে তিন থেকে চারবার মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়াম আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু তাজা মওসুমি ফল খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। দিনে অন্তত আট-দশ গ্লাস পানি পানে ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

খুশি ও টেনশনমুক্ত থাকলে তরুণ ও স্বাস্থ্যবান দেখায়। তাই অন্তত মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন, ইতিবাচক চিন্তা করুন। তাজা শাকসবজি খান, আপনার দেহের কোষগুলোও ভালো থাকবে। ডিমের খাদ্যগুণ দেশী মুরগির ডিম ও পোলট্রির মুরগির ডিমের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে? দেশী মুরগির ডিম আর পোলট্রির ডিমের কুসুমের রঙ আলাদা হওয়ার জন্যই এ প্রশ্নের উদ্ভব হয়। দেশী মুরগি বাগানে চরে খায়।

তাই এদের কুসুমে ক্যারোটিন নামে একটি ভিটামিন তৈরি হয়। খাওয়ার পর এই ক্যারোটিন ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়। পোলট্রির মুরগি তৈরি খাবার খায়। তাই ডিমে ক্যারোটিন না থেকে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। সে জন্য কুসুমের রঙ ফিকে হয়।

একই মাপের দেশী আর পোলট্রির ডিমের খাদ্যগুণ একই হওয়ার কথা। বাস্তবে সুষম খাবার পায় বলে পোলট্রির মুরগির ডিমের খাদ্যগুণ সামান্য বেশিও হতে পারে। হাঁসের ডিম ও মুরগির ডিম নিয়ে জোরালো মতভেদ দেখা যায়। দুই রকম ডিমই সমান উপকারী ও প্রায় সমান খাদ্যগুণ বহন করে। তবে যেহেতু হাঁসের ডিমের ওজন বেশি, তাই এতে খাদ্যগুণের পরিমাণ বেশি।

অতি মিহি খাবার বাদ দিন পরিশোধিত ও অতি মিহি খাবারের প্রতি আমাদের লোভ আছে। তবে মনে রাখতে হবে, এটা করতে গিয়ে অনেক সময়ই খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে নিত্যব্যবহার্য চাল, গম ও চিনি আমরা যত মিহি করব, খেতে তত ভালো লাগবে, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ তত কমে যাবে। এতে থাকা আঁশ থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। আবার একে যত বেশি সিদ্ধ করা হবে, ততই এর অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান নষ্ট হতে থাকবে।

তাই ম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।