সেদিনের সেই বুড়া চাচা আজ সম্পুর্ন সুস্থ। ভালো লাগছে দেখে। হাসপাতালে গেলাম তাকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিতে। ছাড়িয়ে নেয়ার আগে আমাকে জানান হল তার বিল এসেছে ৪০২৫টাকা মাত্র। তাদের কে জানালাম তার অসহায়েত্বের কথা।
বলল হাসপাতাল এর পরিচালক সাহেব এর সাথে দেখা করলে কাজ হবে।
গেলাম তার রুমে তিনি নেই ত সহকারী পরিচালক এর সাথে কথা বলার জন্য তার রুমে উকি দিলাম, সালাম দিয়ে ঢুকতে যাব এমন সময় দিলেন ঝারি,
- এখন না কাজে আছি। (দাঁত খিলানের বিশাল ব্যাস্ত কাজে তিনি ব্যাস্ত ছিলেন)
অনেক্ষন দাঁড়িয়ে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে আমার আর্জি পেশ করলাম। তিনি আরো কারো সাথে আলাপ করলেন তাদের আলোচনায় জানলাম তারা এ ফী তারা মাফ করতে পারবে না।
আমাকে আর এক দফা ভেতরে ডেকে সব শুনলেন , এক জন অসহায় মানুষ এর জন্য আর একজন মানুষ এর কাছে হাত পাতলাম।
কিন্তু তিনি আমাকে মানবতার মহান বানী শুনিয়ে বললেন,
- এত যখন করেছেন তার ঠিকানা বের করেছেন তার লোক জন আসুক আসলে কিছু দিয়েন আর বাকিটা আমরা কনসিডার করব।
- আমি বললাম আজ হরতাল, তাছাড়া সে সত্যিই একজন গরীব মানুষ একটু টাকাটা মাফ করে দিলে ভালো হয়।
(লোক টির এক ছেলে তাকে দেখেনা, বাড়িতে ছোট দুই মেয়ে বিয়ের অপেক্ষায় আর বুড়ি। তার অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়ার পরও তারা টাকা র জন্য আসতে পারছে না)
তিনি জানালেন, প্রতিদিন তারা অনেক ফ্রি দেন। এমন দিলে তাদের হাসপাতাল অতি তারাতারি বন্ধ হয়ে যাবে এমন আশংকা ও প্রকাশ করলেন।
আর বললেন রাতের মাঝে নিয়ে আসুন রাত পর্যন্ত যে চার্য আসবে তা তারা ধরবেন না।
আমি তাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিয়ে বেড়িয়ে আসলাম। বাইরে এসে এক কাপ চা একটা সিগারেট খেয়ে আমার আস্তানায়।
হাসপাতাল এর পরিচালক ডাঃ সাহেব আপনি পারলে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েন। আর বুড়া চাচা আশা করি এ কদিন বাড়ির থেকে হাসপাতাল এ ভালই থাকবেন।
আশেপাশের বেডের সব রুগী র আত্মিয়রা এখন তাকে প্রতি বেলা ভালো মন্দ খাওয়াচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।