আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামু জাফর ইকবাল রে নিয়া আমার লেখাটা সরিয়ে দিল কেন??? আমার অপরাধ টা জানতে চাই

সারা বিশ্ব উন্নয়নের জোয়ারে ভাসুক এটা অত্যন্ত কষ্ঠের। অত্যন্ত লজ্বার। গত কাল প্রথম আলোতে ড. জাফর ইকবালের লেখার যোক্তিক সমালোচনা করে আমি জীবনের অন্যতম একটা ব্লগ লিখেছিলাম। দুর্ভাগ্যহলেও সত্য কিছুক্ষণ আগে সামু তা সরিয়ে নিল। কিন্ত কেন??? স্বল্প সময়ের মধ্যে লেখাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং পাঠক প্রিয়তা পায়।

যেথানে মোট ৬৪ টা কমেন্ট পড়েছিল। প্রায় ৬০০ বারের মত পঠিত হয়েছিল। সে ব্লগ কেন সরানো হল??? তাহলে কি বলবো সামু ও জাফর ইকবালের মত সাম্রাজ্যবাদীদের লালিত কুত্তাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং গহর্িত কাজ। মন চাচ্ছে ব্লগটা মুইত্তা দিয়া চইলা যাই।

আমার লেখাটা আবার দিলাম। আপনাদের জ্ঞাতার্থে। আপনারাই বিচার করবেন যে এটি সরানোর কোন যুক্তি আছে কিনা!!! জাফর ইকবালের আক্কল গুড়ুম তিনি আজ(৯ আগষ্ট) প্রথম আলোতে যে রচনা প্রসব করলেন তাতে তার আক্কেল গুড়ুম হওয়ার সাথে সাথে দেশের ১৫/১৬ কোটি মানুষরে বেয়াক্কেল বানানোর প্রচেষ্ঠা চালিয়েচেন। তার লেখাগুলোতে যেসমস্ত বিষয়গুলোতে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে তার জবাব আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধারণ করে উপস্থাপন করলাম। যেমন: ১.‘ প্রথমবারের মতো আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রতিবন্ধী কোটার সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসী কোটায় ছাত্রছাত্রী ভর্তি করেছি।

দেশের বাইরের নেপালি ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে এসেছি, অথচ দেশের চাকমা, মারমা, ম্রো, সাঁওতাল বা গারো ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারি না; সেটা নিয়ে আমাদের দুঃখবোধ ছিল। আদিবাসী কোটায় তাদের পড়াতে পারব, সেটা নিয়ে আমাদের একধরনের আত্মতুষ্টি ছিল, কিন্তু খবরের কাগজ পড়ে আমি হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম”। জবাব: অবাক হলেও সত্যি তার এ ধরণের প্রত্যাশার কোন যোক্তিকতা আছে কি বা না । বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যোগ্যতা প্রমাণের যায়গা। এখানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্তানদের যোগ্যতার ভিত্তিতে অধ্যায়নের সুযোগ থাকা কি বান্চনীয নয়?? তেনার যদি উপজাতি পড়ানোর এতই খায়েস থেকে থাকে, তবে তিনি কেননা পার্বত্য এলাকায় গিয়ে দালালী করতাছেন না ।

একজন মেধাবীর অধিকার খর্ব করার অধিকার তার নেই। তার যুক্তি থাকতে পারে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য এই ধরনের সুবিধা আবশ্যক। মানলাম। কিন্তু তার জন্য তো আদিবাসী ঘোষনা করার কোন দরকার নাই। আবার অনগ্রসর গোষ্ঠী তো অনেকই আছে, তাহলে কেবল তাদের নিয়ে কেন তার এত মাথা ব্যাথা?? কারণ তার আত্মতুষ্টি ছিল।

কেন আত্মতুষ্টি??? (জবাব পরে) ২. “তাহলে আদিবাসী কোটায় আমরা কাদের ভর্তি করেছি”? জবাব : জনাব বাংলাদেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী যার পার্বত্য এলাকায় বাস করে তাদের করিয়েছেন। কেন??? (জবাব পরে) ৩. “আমি তাকে বোঝালাম, ফার্স্ব সেক্রেটারি নিশ্চয়ই অনভিজ্ঞ মানুষ, এক কথা বলতে গিয়ে আরেক কথা বলে ফেলেছেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পকেট থেকে ভুল কাগজ বের করে ভুল ভাষণ দিয়ে ফেলেন বলে শুনেছি। এটা সম্ভবত সে রকম একটা কিছু। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ রকম বেঁফাস একটা কথা বলে ফেলার জন্য তাঁর চাকরি চলে যায় কি না, সেটা নিয়েও আমরা একটু দুশ্চিন্তা অনুভব করলাম”।

জবাব : দেশের ৯৮.৫০ শতাংশ মানুষের অনুভুতির প্রকাশ যখন আপনার কাছে বেঁফাস এবং ভুল মনে হয়, তখন বলতে হয় আপনি আসলেই এ মানুষগুলোর আর যাই হোক শূভাকাঙ্খী হতে পারেন না । ৪. দীপু মনি আপনার আক্কেল গুড়ুম করল: কেন??? জবাব : সারাজীবন যাদের দালালী করলেন তারা আপনার বিপক্ষে মত দিল তাইতো??? আদিবাসী কথাটা ডিকশনারিতে কীভাবে ব্যাখ্যা করা আছে, সেটা দিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল-কলেজের বিতর্কের শুরুতে ডিকশনারি বা এনসাইক্লোপিডিয়া থেকে ব্যাখ্যা দেয়। গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সেটা করতে হয়—আমি জানতাম না। শুধু কৌতূহলের জন্য আমি ডিকশনারিতে ক্রসফায়ার শব্দটির অর্থ খুঁজেছি।

র‌্যাব যখন বিনা বিচারে, সন্দেহভাজন কাউকে গুলি করে মেরে ফেলে, সেটা হচ্ছে ক্রসফায়ার—ডিকশনারিতে সেটা লেখা নেই। আমার বাসায় আরবি ডিকশনারি নেই, থাকলে রাজাকার শব্দটির অর্থ খুঁজে দেখতাম। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী বা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মতো দেশদ্রোহী মানুষ যাঁরা স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পদলেহী হয়ে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা হচ্ছেন রাজাকার—সেই কথাটি ডিকশনারিতে লেখা থাকবে না। আমি যত দূর জানি, সেখানে রাজাকার শব্দের অর্থ লেখা আছে সাহায্যকারী। কাজেই সব শব্দের অর্থ খোঁজার জন্য ডিকশনারিতে যেতে হয় না।

অনেক শব্দ আছে যার অর্থ ডিকশনারিতে বেঁধে দেওয়া অর্থ থেকে অনেক বেশি ব্যাপক। আদিবাসী ঠিক সে রকম একটা শব্দ। ...... কাজেই সব শব্দের অর্থ খোঁজার জন্য ডিকশনারিতে যেতে হয় না। ............... যদি তার চেষ্টা করা হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা খুব দুর্ভাবনায় পড়ে যাব। “ জবাব : আপনি ডিকশনারীর সংজ্ঞা মানতে প্রস্তুত না।

আপনি মহাজ্ঞানী। অনেক গুরুত্বপুর্ণ মানুষ। ভাল কথা। ক্রসফায়ার শব্দটি ডিকশনারীতে পাননি বলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার বাস্তববিক ধারণা আপনি দাড় করিয়েছেন। আমার দ্বিমত নেই।

কিন্তু আদিবাসী শব্দটাও কি আপনার মন গড়া বক্তৃতায় চালিয়ে দিতে চান?? সারাবিশ্বের অন্যতম বহুল প্রচলিত একটা শব্দের ব্যাখ্যা দেবেন আপনি?? নিজেরে এত গুরুত্বপুর্ণ ভাবেন?? রাজাকার শব্দটির পারিভাষিক অর্থ সাহায্যকারী । আপনিই বললেন। অথচ মনগড়া ব্যাখা দিয়ে দিলেন.......এভাবে আর কত?? জাতিকে অনেক তো বিভ্রান্ত করলেন। এবার মাতৃভুমিকে দয়া করে বহু খন্ডিত করবেন না। সব শব্দের অর্থ যদি ডিকশনারীতে খোজা না হয়, তাহলে আপনাদের মত দানবরা দেশকে নিয়ে যা খুশি তাই করবেন মন মত গোজামিল ব্যাখ্যা দিয়ে।

আপনি চাকমা রাজা দেবাশীষরায়কে খুবই ভাল পান। অথচ আপনি জানেন তার পিতা ১৯৭১ সালে একজন প্রখ্যাত রাজাকার ছিল। বর্তমান সময়ে সে এখনো পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে বসবাস করে। তাহলে সাকা, নিজামী, মুজাহিদের দোষটা কোথায়??? ৫. “আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এটা মোটেও আমাদের দেশের মানুষের কথা নয়। আমাদের দেশের মানুষ রীতিমতো যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে যখন এই দেশ স্বাধীন করেছিল, তখন সবচেয়ে বড় বিষয়টিই ছিল যে এই দেশের সব মানুষ সমান।

এই দেশের মানুষকে আমরা সংবিধানে স্বীকার করে নেব, তাদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু দেব” জবাব : এটি আপনার কথা। কিন্তু বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করে আপনি কি সমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন?? বাকী ৯৮.৫ ভাগ মানুষ কি তাহলে কাঙ্গাল?? আসমান হতে আগমন??তাহলে আমাদের ন্যায্য অধিকার কোথায়??? পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেছেন, জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষকে বিশেষ আর উন্নত পরিচয় দিতে গিয়ে বাকি ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষের অধিকার হরণ করা যাবে না। আমরা তো সবাই একসঙ্গে ছিলাম, হঠা ৎ করে কেন আমাদের একে অন্যের প্রতিপক্ষ তৈরি করা হলো? ৬. “পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেছেন, জনসংখ্যার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষকে বিশেষ আর উন্নত পরিচয় দিতে গিয়ে বাকি ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষের অধিকার হরণ করা যাবে না। আমরা তো সবাই একসঙ্গে ছিলাম, হঠা ৎ করে কেন আমাদের একে অন্যের প্রতিপক্ষ তৈরি করা হলো”? জবাব : বাংলাদেশের সকল নাগরিককে সমমর্যাদা দিলে বুঝি আপনারা প্রতিপক্ষ হয়ে যান?? পররাষ্ট্র মন্ত্রীতো সবাইকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেব মর্যাদা দিয়েছেন। তিনিতো বলেন নাই বাঙ্গালীরা আদিবাসী, পাহাড়ীরা নয়।

অপমান কোথায় দেখলেন? এটাতো আপনাদের সৃষ্ট একটা প্রোপাগান্ডা মাত্র। ৭. “এর সঙ্গে সঙ্গে এ কথাটিও সত্যি, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক পাহাড়ি মানুষ আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে। বিষয়টা দেশের মানুষের কাছে গোপন ছিল। শান্তিচুক্তির ঠিক আগে আগে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরের ২ তারিখ সব পত্রপত্রিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের একটা ঐতিহাসিক ঘটনাপঞ্জি ছাপানো হয়েছিল। সেই ঘটনাপঞ্জি যারা পড়েছে শুধু তারাই জানে, সেই এলাকায় মানবতার বিরুদ্ধে কী ভয়ংকর অপরাধ করা হয়েছিল।

শান্তিচুক্তির পর হঠা ৎ করে সব বন্ধ হয়ে গেছে, সেটা সত্যি নয়। আমরা জানি, তার পরও পাহাড়ি মানুষেরা নানা ধরনের বিচ্ছিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু যে পত্রপত্রিকায় পড়েছি তা নয়, আমি নিজের কানেও তাদের কাছ থেকে তার কিছু বর্ণনা শুনেছি”। জবাব : কিন্তু পাহাড়ী নিরীহ বাঙ্গালীদের কথা কি একবার ও মনে পডেনা?? দোষ করলে জিয়া করেছে...মানুষগুলো তো অসহায়। সন্তু লারমার নির্যাতন কি আপনার নজরে আসে নাই?? ৮. আদিবাসী বিতর্ক শুরু হওয়ার পর আমি খবরের কাগজে দেখেছি, জাতিসংঘে আলোচনা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য আদিবাসীদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের যেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে না দেওয়া হয়।

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনাবাহিনী যে শেষ পর্যন্ত সামরিক শাসন দিয়ে ফেলেনি, তার পেছনেও এই শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেওয়ার সুযোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কাজেই এখন যদি আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার করাটা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তার সবচেয়ে সহজ সমাধান হবে ঘোষণা দিয়ে দেওয়া, এই দেশে আদিবাসী বলেই কিছু নেই। যদি আদিবাসী না থাকে, তাহলে তাদের ওপর অত্যাচারটা করার প্রশ্নই তখন থাকবে না। অত্যন্ত জটিল একটা সমস্যার এর থেকে সহজ সমাধান আর কী হতে পারে? জবাব : অত্যন্ত সুকৌশলে আমাদের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন। এটা জাতীয় ইস্যু।

জাতীর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছিল মাত্র। ৯. “আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে এত দ্রুত পৃথিবীতে এত ওপরে উঠে গেছে, তার একটা কারণ হচ্ছে সারা পৃথিবীর সব কালচারের মানুষ এখানে পাশাপাশি থাকে। ডাইভারসিটি বা বৈচিত্র্য হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা সম্পদ। “ জবাব : তার মানে নিশ্চয় এই নয় যে যুক্তরাষ্ট কোন বিশেষ সম্প্রদায় কে তাদের জাতিস্বত্তার অস্তিত্বের উপর যায়গা করে দিয়েছে। বরং আমরা জানি রেড ইন্ডিয়ানদের প্রতি তাদের নির্মম অত্যাচার।

এমন কি আজো বলা হয় আফ্রিকান, এশিয়ান, ভারতীয়, প্রভৃতি বংশোদ্ভেুত আমেরিকান নাগরিক। অর্থাত মুল ধারার নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। বৈচিত্র্যতা থাকবে তা অবশ্যই সমান্তরাল অবস্থানে থেকে। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি ৫৬ হাজার বর্ঘমাইলে বসবাস করা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশী।

১০. “কয়েক বছর আগে আমি রাঙামাটির একটা স্কুলে গিয়েছিলাম। সেখানে পাহাড়ি ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। সেখানে হঠা ৎ করে লক্ষ করলাম, একটা ছোট পাহাড়ি শিশু একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে, হাতে একটা বই এবং সে খুব সাহস করে আমার কাছে আসতে পারছে না। এটি আমার জন্য একটি খুবই পরিচিত একটা দৃশ্য। আমি তাকে কাছে ডাকলাম এবং হাতে ধরে রাখা আমার লেখা কোনো একটা কিশোর উপন্যাসে অটোগ্রাফ করে দিলাম।

তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, সে ম্রো শিশু এবং সে যেখানে থাকে তার আশপাশে কোনো স্কুল নেই বলে রাঙামাটির এই স্কুলে হোস্টেলে থেকে পড়ে। বইমেলা চলার সময় কোনো কোনো দিন বাংলা একাডেমীর বটগাছের নিচে বসে বসে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে অটোগ্রাফ দিয়েছি। কিন্তু সেই একটি ম্রো শিশুর বইয়ে অটোগ্রাফ দিতে আমি তার থেকে অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, আমি এই দেশের আদিবাসী একটা শিশুর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি”। জবাব : বড়ই অবিচার করলেন।

আমাদের হাজারো ভক্ত আপনার মন ভরাতে পারলোন। কিন্তু একটি ম্রো শিশু আপনাকে এতটা কাছে টানলো। আমাদের অপরাধ টা কোথায়। আপনি তো বলতে পারতেন দুটাই সমান অনুভুতির। অনগ্রসর তো দেশের অধিকাংশ মানুষ।

১১. “তাই আমার খুব দুঃখ হয়, যখন দেখি এই দেশে আমার সব অধিকার আছে, অথচ আমার শৈশবের সেই বন্ধুরা এই দেশে সংবিধানে একটুখানি অধিকারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে, তারা সেটা পাচ্ছে না। শুধু যে পাচ্ছে না তা নয়, একেবারে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের অবহেলা করে দূরে ঠেলে দিচ্ছি। “ জবাব : আপনি বুকে হাত দিয়ে বলেন তো কোন অধিকার তারা ভোগ করছেনা। সাংবিধানিক ভাবে তার সাথে আমার অধিকারের প্রার্থক্যটা কোথায়?? ১২. “ আমরা বাঙালিরা শতকরা ৯৮ দশমিক ৮ ভাগ থেকেও মাত্র ১ দশমিক ২ ভাগ আদিবাসী মানুষের দায়িত্ব নিতে পারব না, সেটা তো হতে পারে না। “ জবাব : এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কিছু নাগরিককে আপনি অমর্যাদা করেন নি।

আমাদরে স্বতন্ত্রতা আছে । কিন্তু আমারা বাংলাদেশী এতে তো কোন দ্বিমত নাই। আমরা সবাই সমান। ১৩. “পৃথিবীর ইতিহাসে যখন কোনো জাতি নিজেকে অন্যদের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, তার ফল হয় ভয়ানক। জার্মানির না ৎ সিরা ভেবেছিল, নানকিংয়ে জাপানিরা ভেবেছিল, ফিলিস্তিনে ঐশ্বরিক অধিকার পাওয়া ইসরায়েলিরা ভাবে।

সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে নরওয়ের গণহত্যাকারী সেই উন্মাদ, যার ধারণা তার খাঁটি জাতিটাকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। জবাব : তাইলে কেন কেবলমাত্র পার্বর্ত্যচ্ঞলে বসবাস কারীরা আদিবাসী হবে, আমরা নয়??? নরওয়ের উম্মাদ বললেন, কিন্তু সন্ত্রাসী/ মোলবাদী আপনার পবিত্র মুখ দিয়ে বোধ করি জীবনে ও আসবেনা। ১৪. “কারও মনে দুখ দিয়ো না, করো বরং হাজার পাপ”— জবাব: মুহাম্মদের মত মহান লোকের সাথেই বা কয়জন একমত পোষণ করে বলেন। আমরা ও না হয় দ্বিমত করলাম ভদ্রলোকের সাথে। বরং বলি কারও মনে দুখ দিয়ো না, করো সাথে পাপ ও করোনা।

কেন আমরা কারো মনে সুখ দিতে গিয়ে হাজার পাপ করব?? এই প্রশ্নটা আপনার মত অতি গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তির কাছে এই অধমের রইল। সব কেন’র জবাব: আপনার এদেশের অখন্ডতায় বিশ্বাসী না। বিদেশী এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দালাল হিসেবে কাজ করছেন। তাই এখনও সময় আছে। নইলে জাতির জাগ্রত বিবেকের কাছে ধরাশায়ী হতে বাধ্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.