আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালচার মিডিয়া, স্মার্ট গাই, জসিম, ভুদাই সমীপে

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ! আপনারা কি মুসলিম নাকি কেবল আস্তিক? !!!! Click This Link ---- এখানে হচ্ছেটা কি? কেন মডারেশন বোর্ড আপনাদের এরপরও ব্যান করবে না এটা জানতে চাই। ২০০৯-এর রোযার মাসে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, সেটা আপনাদের জন্য রিপোস্ট করছি এখানে। যদি সংশোধন হন এই আশায়। রমযান এমন এক মাস যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে হেদায়াত স্বরূপ, যা সত্য পথ প্রদর্শনকারী, সুস্পষ্ট শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট এবং হক ও বাতিলকে সুস্পষ্ট করে উপস্থাপনকারী। (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)।

এই কুরআন নাযিল হয়েছে লায়লাতুল কদরে, যার মর্যাদা হাজার রাত্রির চেয়ে উত্তম। হযরত আয়েশা(রাঃ) বলেন, নবী(সাঃ) বলেছেন, "রমযানের শেষ দশ রাতের বিজোড় রাতগুলোতে লায়লাতুল কদর তালাশ কর"। (বুখারী) রোযা আমাদের জন্য ফরয করা হয়েছে (সূরা বাকারাঃ ১৮৩)। এ মাসের ফযিলত হলো প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফেরাত, তৃতীয় এবং শেষ অংশ জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই ও মুক্তি (মিশকাত)। ইসলামের প্রাথমিক বিজয় ও পরিপূর্ণ বিজয় এ মাসেই হয়।

রোযার গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে নবী(সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি কোন শরয়ী ওযর অথবা রোগ ব্যতীত রমযানের একটি রোযা ছেড়ে দেবে সে যদি সারা জীবন ধরে রোযা রাখে তবুও তার ক্ষতি পূরণ হবে না"। (আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ) রোযার মূল উদ্দেশ্য হলো তাক্‌ওয়া বা আল্লাহ্‌ভীতি সৃষ্টি করা যা সকল ভাল কাজের উৎস এবং সকল পাপ কাজ থেকে বাঁচার সত্যিকারের উপায়। রাসূল (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি রোযা রেখে মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা আচরণ থেকে বিরত হলো না, তার ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকায় আল্লাহ্‌র কোন প্রয়োজন ছিল না"। (বুখারী) তিনি আরো বলেছেন, "...... তোমাদের মধ্যে কেউ রোযা রাখলে সে যেনো অশ্লীল কথা-বার্তা ও হৈ-হাঙ্গামা থেকে দূরে থাকে। যদি কেউ গালিগালাজ করতে থাকে অথবা ঝগড়া করতে আসে, তাহলে তার মনে করা উচিত যে, সে রোযা আছে" (বুখারী, মুসলিম)।

রোযাদারদের একটি আনন্দ হলো ইফতারের সময়, যখন সে আল্লাহ্‌র নিয়ামত উপভোগ করতে থাকে যে আল্লাহ্‌ তাকে একটি ফরয আদায় করার তওফীক দান করেছেন। বিলম্বে সেহ্‌রী খাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ইফতার করার ব্যাপারে বুখারী, মুসলিমে বেশ ক'টি হাদীস আছে। শুধু নিজে ইফতার করা নয়, পাশাপাশি অন্যদের ইফতার খাওয়ানোর মধ্যেও বেশ সওয়াব আছে, বিশেষ করে আমাদের মতো দরিদ্র দেশে গরীব রোযাদারদের ইফতার করানো অবশ্যই উচিত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।