আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরী

আমার ভিতরে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করি। “মা এখন আর হাফপ্যান্ট পড়িস না,তুই বড় হইছিস” -না আমি পড়বো আমার ভাল লাগে,কি হইছি বড় হইছি? বড় হয়ে যাওয়া মেয়ে টুশিকে এভাবে শেখাতে চেষ্টা করেন টুশির মা। কিন্তু টুশি কিচ্ছু শুনেনা। নিজে যা বুঝে তাই করে। টুশি বড় হয়ে যাচ্ছে।

এবার ক্লাশ এইটে উঠল। ১২ থেকে ১৩তে পড়ল। শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন জানান দেয় টুশি আর ছোট্র বাচ্চাটি নেই। মায়ের চোখে এসব এড়ায় না। মা নিজের মেয়েকে শেখানোর চেষ্টা করছেন।

যতটা সম্ভব বন্ধুর মত পাশে থাকতে চান। কিন্তু এ বয়সী মেয়েকে বুঝান সাধ্য কি আছে? টুসি এবার অষ্টম শ্রেণতে উঠছে। সদ্য শিশু থেকে কৈশরে পা দেয়া টুসির শাররীক পরবির্তনটা চোখে পড়ার মতই। কিন্তু আচার আচরনে সেই শিশু টুসিই আছে। মা টুসিতে নিয়ে যতটা চিন্তা করেন টুসি ঠিক ততটাই চিন্তাহীন।

বড় হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা এখনো তার চোখে পড়েনি। তাইতো মায়ের ঘ্যানর ঘ্যানর এড়িয়ে হাফপ্যান্ট,টি-শার্ট পড়ে। বিকাল হলেই নেমে যায় বাসার নিচে খেলতে। কখনো বিল্ডিংয়ের মিনার ভাইয়্যার গ্যাংদের সাথে ক্রিকেট আবার কখনো পিচ্চিদের সাথে নিতান্তই দৌড়ঝাপ। যখন যা মজা পায় তাই করে।

এসব মজার মধ্যে টুসি টের পায় না মিনার ভাইর অপলরক দৃষ্টি। মিনার টুসিদের উপরের তলায় থাকে। ইন্টারমেডিয়েট ২য় বর্ষে পড়ে। টুসির সাথে খেলাধুলা করেছে কয়েকদিন আগেও। কিন্তু হঠাৎ করে কেন যেন টুসির প্রতি অন্যরকম একটা ভাললাগা জন্ম নিয়েছে।

কিন্তু টুসিকে বলার সাহস পাচ্ছে না। তবে সে নিশ্চিত টুসি তাকে ভালবাসে। অন্তত টুসির আচার আচরনে তাই বলে। হঠাৎ কোন কথা নেই মিনারের রুমে এসে হাজির হয বিনা কারনে, প্রায় সময় মিনারের সাথে ক্রিকেট খেলতে চায়, কোন কারন ছাড়াই মিনারের সাথে অনেক কথা বলে। এসব কিছু মিনারের দুর্বলাতাটাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সেদিন অন্যান্য দিনের মত টুসি বিকালে খেলে আসতে দেরী হয়ে গেছে। টুসি খেলার পর মিনারের বাসায় গিয়েছিল একটা নতুন গেমের সিডি আনতে। বাসায় ঢুকতেই মা শুরু করলা ঘ্যানর ঘ্যানর। -কত বার বললাম বড় হইছিস,একটু ঠিকঠাক মত চল। না সে শুনবে না।

এখন বোঝ। টুসি বুঝলোন কি হয়েছে। মাকে জিজ্ঞেস করল “ কি হয়েছে মা? -“কি আর হবে সেলিমে সাহেবের বৌ এসে তোমার কথা বলে গেল। তুমি নাকি যা করচ তা বাড়াবাড়ি। আমাকে উপদেশ দিয়ে গেল।

মেয়ে বড় হচ্ছে এ সময় মেয়েকে খেয়াল রাখবেন” টুসির মা নাস্তার টেবিল সাজানো থামিয়ে টুসিকে নরম গলায় বলল “টুসি মা আমার এবার একটুতো বোঝ” টুসি মায়ের চিরচেনা রুপ দেখে হেসে দিল “ মা বড় হলে কি খেলাধুলা করা যাবে না? আমি কি খেলা বন্ধ করে দিব” টুসির এমন চাহনী দেখে মা একটু কোমল হয়ে গেল। টুসিকে বুঝানোর চেষ্টা করলেন। এ সময় মেয়েদের পরিবর্তন হওয়ার গুরুত্ব বুঝালেন। টুসি লক্ষী মেয়ের মত সব বুঝলো। মা খুশী হলেন।

টুসি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। বাবা আইনজীবী। টুসির জীবনের মাত্র শুরু। জীবনটাও ছোট। মিনার ভাই,বান্ধবী লীনা,সোনিয়া,হেমা ক্লাশ বন্ধু হিমেল আর পাড়ার কিছু মজার ভাইয়্যা।

ওহো আরেকজন আছে টিচার সীমান্ত। সীমান্ত ভাইয়্যা অসম্ভব সুন্দর গল্প বলেন। টুসিদের পাশের বাসায় থাকে হিমেল। টুসির ক্লাসমেট। ক্লাসমেট হওয়ার কারনে স্কুলে যাওয়া আসা এবং বাসায় প্রাইভেট পড়া একসাথেই হয়।

হিমেল বোকাসোকা ছেলে। পড়ালিখার বাইরে কিচ্ছু বুঝে না। টুসি হিমেলকে সুযোগ পেলেই ক্ষেপায়। চশমা পড়ে বলে চশমুও ডাকে,মাঝে মাঝে আইনষ্টাইনও ডাকে। হিমেলের পড়ালিখার বাইরে কোন কিছুই ভাল লাগে না।

কিন্তু টুসি খুব জ্বালাতন করে। স্কুল থেকে আসার সময় রিকশা দাড় করিয়ে ঝালমুড়ি খায়, আবার কখনো রিকশা ছেড়ে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার বায়না ধরে। টুসির যে কাজটা হিমেলে সবচেয়ে খারাপ লাগে স্কুল থেকে আসার সময় পাড়ার ভাইয়্যাদের সাথে কথা বলা। এছাড়া প্রায় বিকালে টুসি হিমেলকে নিচে গিয়ে খেলার জন্য জোরাজুরি করে। কখনো হিমেল যায় কখনো টুসি বিরক্ত হয়ে একাই চলে যায়।

টুসি যেদিন বিরক্ত হয় হিমেলের ভাল লাগে না। পরে নিজে থেকেই নিচে চলে যায়। কিন্তু টুসি তখন খু্ব ক্ষ্যাপায় হিমেলের নিজের উপর রাগ উঠে যায়। তোর জন্যই আসছি আর তুই আমাকে সবার সামনে অপমান করিস। এভাবে চলতে চলতে টুসি ৮ম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীতে উঠে কিন্তু কোন রকম পরিবর্তন হয়নি টুসির আচরনে।

যদিও সবকিছু কিছুটা কমে এসেছে। বিজ্ঞান বিভাগ নেয়ার কারনে মা-বাবা টুসিকে একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। ফলে টুসিকে দিনের বেশীরভাগ সময় বাইরে থাকতে হচ্ছে। যোগাযোগ রাখার জন্য টুসিকে একটা মোবাইল দেয়া হয়েছে। মোবাইল পেয়ে টুসি আনন্দে আধখানা।

বাবা যখন টুসির হাতে মোবাইল দিল। টুসি বাবাকে জড়িয়ে ধরে নাচতে লাগল “বাবা বাবা তুমি তোমার মোবাইল থেকে আমাকে ফোন দাও আমি আমার রুমে গিয়ে তোমার সাথে কথা বলবো” -আচ্ছা ঠিক আছে,যাও আমি দিচ্ছি। টুসি নিজের রুমে গেল। বাবা ফোন দিল। ফোন ধরে টুসি বাবাকে বলতে লাগল “বাবা জান আমার মোবাইলে গান শোনা যায়,ছবি তোলা যায়,আরও কত্ত কি” বাবা আশ্চয্য হওয়ার ভান করে বলল “ওমা তাই নাকি” এরপর টুসি বাবার মোবাইল থেকে খালা,ফুপ্পী,মামা,চাচা সবার নম্বর নিয়ে নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে নিজের নতুন মোবাইল নেয়ার ঘটনাটা জানিয়ে দিল।

সবার সাথে কথা বলতে বলতে মিনার ভাইকে ফোন দেয়ার টাকা শেষ হয়ে গেল। বাবাকে বলল ফোনে টাকা লাগবে। বাবা বলল “এখনতো রাত হয়ে গেছে দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেছে। নিজের উপর টুসির রাগ হচ্ছিল। মিনার ভাইকে না জানাতে পেরে অস্থির হয়ে গেল টুসি।

একবার ভাবলো মিনার ভাইর বাসায় চলে যাবে। উনি জেগে থাকেন অনেক রাত পর্যন্ত। পরক্ষনে আবার ভাবলো না যাওয়া যাবে না। এটাই হযত এই এক বছরে টুসির পরিবর্তন। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হওয়ার আগেই মোবাইলটা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলো যাতে স্কুলে যাওয়ার সময় না বুলে যায়।

ততক্ষনে হিমেল দরজায় এসে ডাকছে “টুসি টুসি তাড়াতাড়ি কর,দেরী হয়ে যাবে” “দাড়ায় থাক আসতেছি বলে টুসি জবাব দিল। মা থেকে বিদায় নিয়ে হিমেলের সাথে সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে টুসি হিমেলকে মোবাইল দেখাল। হিমেল নেড়েচেড়ে দেখল আর নিজের কাছে মোবাইল না থাকার আফসোস করল। হিমেল বাবার কাছে মোবাইলের আবদার করবে বলে মনে মনে ঠিক করে রাখলো। সারাদিনটা গেল মোবাইল দেখাতে দেখাতে।

ক্লাসর প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের নম্বর নিল। যাদের নিজের মোবাইল নাই তাদের মায়ের মোবাইল নম্বর নিল। স্কুল থেকে ফেরার সময় এলাকার কিছু ভাইয়্যার সাথে দেখা । ছোটন,শিপন, রুপক এরা সবাই এই এলাকার ছেলে। দেখা হলে টুসির সাথে কথা বলতে চায়।

টুসি নিজে থেকে নিজের নম্বরটা ছোটন ভাইয়্যাকে দিয়ে আসল “ভাইয়্যা ফোন করবেন কিন্তু”। রিকশায় উঠে একটু যেতে না যেতেই টুসির ফোন বেজে উঠলো। খুশীতে লাফাতে ইচ্ছা হচ্ছে টুসির। ছোটন ভাইয়্যা ফোন করছে। ফোনে পরিচয় দিয়েই ছোটন বলল “টুসি তুমি খুব সুন্দরী” টুসি ঝটপট বলল “ হ্যা আমার ফুপ্পি সবসময় বলেতো” -তোমার ফুপ্পি না আমি বলতেছি।

-হুমম ভাইয়্যা ঠিক আছে। আসলেই টুসি অনেক সুন্দরী। সদ্য শাররীক পরিবর্তনের কারনে টুসির সৌন্দর্য্যের বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। ফোনে কথা বলা শেষ করে টুসি এবং হিমেল বাসায় ডুকলো। হিমেলকে টুসি বলল “চল হিমেল মিনার ভাইয়্যার বাসায় যাই” হিমেল না যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করে বলল “ক্যান? -মিনার ভাইয়্যাকে আমার ফোন নম্বরটা দিয়ে আসি।

-তুই যা -না তুই সহ চল। কি আর করা । অনিচ্ছ সত্ত্বেও হিমেলকে যেতে হল। বাসায় মিনারকে পাওয়া গেল না। কি আর করা দুজন দুজনের বাসায় চলে গেল।

বিকালে সিড়িতে মিনার ভাইয়ের সাথে দেখা । টুসি নিজের নম্বরটা মিনার ভাইকে দিয়ে দিল এবং মিনারেরটা মোবাইলে সেভ করে নিল। মিনার কিছুই বুঝতে পারলনা। অনেক চিন্তা ভাবনা করে রাত ১২টার দিকে মিনার টুসিকে ফোন দেয়। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার কল ওয়েটিং।

মিনার কেন যেন রেগে যায়। আর ফোন করে না। একটু পরে টুসি নিজেই ফোন করে। মিনার রাগত স্বরে জিজ্ঞেস করে কার সাথে কথা বলছে ?? টুসির সাধাসিধে উত্তর “ছোটন ভাইয়্যার সাথে” -ছোটন ভাইয়্যা কে -ওমা তাকে তুমি চিননা? ওই যে পাড়ার কোনায় প্রায় সময় থাকে। কাল মতন ভাইয়্যাটা।

মিনার আর কিছু বলার ভাষা খুজে পায় না। ছোটন ছেলেটা সুবিধার না। পাড়ার মেয়েদের ডিষ্টার্ব করে বেড়ায়। মিনার এ টাইপের কথা আগেও বন্ধুদের থেকে শুনেছে কিন্তু পাত্তা দেয়নি। টুসি যে ছোটনের সাথে কথা বলতে পারে তা ভাবেনি।

এভাবে চলতে থাকে সময়। ১ বছর পর। টুসি এখন দশম শ্রেনীতে। টুসির মানষিক পরিবর্তনটাও খুব দ্রুত চলে আসে। এখন আর সে যখন তখন নিচে যায় না।

মিনার ভাইয়ের সাথে ক্রিকেটও খেলে না। সবচে বড় কথা মিনারের সাথে কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায়। মিনার এইসএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায়। মিনার টুসিকে ছোটনদের সম্পর্কে বুঝায়। টুসি এখন ছোটনদের সাথে কথা বলে না।

আর মজার বিষয় হিমেল চশমুকে কেমন জানি বাচ্চা বাচ্চা লাগে। প্রায় প্রত্যেকদিন টুসির স্কুল ছুটির সময় মিনার স্কুলের গেটে দাড়িয়ে থাকে। হিমেলকে একা পাঠিয়ে দুজন একসাথে রিকশায় ফিরে। প্রেম হয়েছে বলেই কিনা টুসি এখন যখন তখন মিনারের বাসায় যায় না। রিকশাতে প্রেম, বিকালে ছাদে এবং রাতে ফোনে কথা বলাতে তাদের প্রেম ভালই চলছে।

রিকশায় ফেরার ব্যাপারটা ছোটনদের চোখ এড়াল না। একদিন ছোটন ফোন করে টুসিকে প্রেমের প্রস্তাব দিল। টুসি না করে দিল। ছোটন ফোন দিতেই থাকল। টুসি ফোন ধরল না।

মিনারকে সব বলল। মিনার সিম পাল্টানোর জন্য বলল। পরের দিন বাবাকে বলে অন্য একটা সিম নিল টুসি। সেদিন সঙ্গে মিনার ছিল না। হিমেলও সেদিন স্কুলে যায় নি।

আসার পথে ছোটনরা সবাই মিলে টুসির রিকশা থামাল। ছোটন বলা শুরু করল “কিরে টুসি তুমি একন আমাদের সাথে কথা বল না কেন? -আমার সামনে টেষ্ট পরীক্ষা -পরীক্ষা দিবা কোন সমস্যা নাই। কিন্তু আমার ব্যাপারটা?? টুসি কেঁধে দিল। কান্না দেখে ছোটনরা রিকশা ছেড়ে দিল। এরপরও ছোটন লাগাতার ফোনে (নতুন নম্বরও সে জোগাড় করে ফেলেছিল) এবং রাস্তায় তার প্রস্তাব দিয়েই যেত।

টুসি অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছে। কয়েকদিন আগেও সব কথা মাকে বরতে পারত। এখন কেন জানি ভয় হচ্ছে। ছোটনের প্রস্তাব এখন আর প্রস্তাব নেই। রীতিমত হুমকি।

ছোটনের শেষ হুমকি দেয়ার চারদিন পর টুসি স্কুলে যাওয়া উদ্দেশ্যে বের হয়েছে সকালে। বিকাল চারটায় ফেরার কথা। এখন বাজে ৭টা। এখনো ফেরেনি। যত জায়গায় খোজ নেয়া দরকার সব জায়গায় খোঁজ নেয়া হয়ে গেছে।

কোথাও নেই টুসি। টুসির মা ভেঙ্গে পড়েছেন। বাবা যতটা সম্ভব নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। রাত ১টার সময় টুসিদের বাসার কলিংবেল বাজলো । একটা লোক টুসিকে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

টুসির বেহুশ,গায়ের ছেড়া জামা অনেক কিছুই বলছে। লোকটি নিজেকে রিকশাওয়ালা পরিচয় দিল এবং জানাল টুসিকে প্রায় সময় স্কুলে সে নিয়ে যেত। টুসির বাবা রিকশাওয়ালাকে কিছু টাকা দিয়ে কথাটা গোপন রাখার কথা বললেন। রিকশাওয়ালা টাকা নিলেন না। কথা দিলেন এ কথা কেউ জানবে না।

এখানেই গল্প শেষ। কিন্তু আমার কিছু কথা আছে। গল্পের ভিতর একটা সত্যিকার ঘটনা আছে। আরও দুবছর আগে রাত একটার দিকে আমাদের সিগারেট শেষ। দুজন বন্ধু মিলে নামলাম নিচে।

গলির কোনায় একটা দোকান খোলা পেলাম। সিগারেট নেয়ার সময় দেখলাম একটা রিকশা গেল। অন্ধকারে খেয়াল করলাম না ঠিকমত, মনে হল রিকশার সিটে কে যেন নেশা করে আধমরা হয়ে আছে। সন্দেহ হল। তাই রিকশার পিছু নিলাম।

সামনের গলিতেই রিকশা ঢুকলো। স্পষ্ট দেখলাম রিকশাওয়ালা একটা মেয়েকে কাধেঁ করে একটা বিল্ডিংয়ে ডুকছে। অপেক্ষা করলাম। প্রায় আধঘন্টা পরে রিকশাওয়ালা বের হওয়ার সাথে সাথে ধরলাম। কিন্তু সে কিছুতেই বলবে না।

পরে বলল “রাস্তার পাশে একটা মেয়েকে শুয়ে কাতরাতে দেখে,সে রিকশায় তুলে খেয়াল করল এ মেয়েকে সে চিনে। প্রায় সময় স্কুলে নিয়ে যেত”। শেষে রিকশাওয়ালার চরম মিনতি “মামা কথাডা কাউরে কইয়েন না,মাইয়্যাডা খুব ভালা” আমি জানিনা সে মেয়ের নাম টুসি কিনা। জানিনা সে পশুর নাম ছোটন কিনা, এটাও জানিনা টুসির বাবা টুসির ঘটনা গোপন করতে পেরেছিলেন কিনা? তবে সে মেয়ের টুসির মত একটা চঞ্চল জীবন ছিল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।