আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নামকরণের ইতিহাস

এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... চৈত্রমাসের এক পুর্নিমা রাতে আমার জন্ম হয়। আমার নামকরণ করেন আমার মা নিজেই। "সুমন বাগানে হাঁটতে গেল। অপার্থিব শিশির এসে সুমনের পা ভিজিয়ে দিলো। " এই কথাগুলো লেখা ছিল কোন এক বইয়ে।

বইয়ের কথা সর্বদা সত্যি হয়- এই বিশ্বাসে, আমার মা আমার নাম রাখলেন সুমন। মুলত সুমন নামেই আমি পরিচিত ও বেড়ে উঠতে থাকি। কিন্ত পাঠক নিশ্চয়ই জানেন একটি শিশু জন্মের পর তার ভাই বোন আত্মীয় স্বজন বিভিন্নজন বিভিন্ন নামে ডাকতে থাকেন। এই যেমন আমার ভাগ্নি তার ছোটবোনকে যে নামে ডাকে, সেটি হলো: পুতুল রুপাইয়া রুবাইয়া সাদিয়া মধু নোরা। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হলো এক এক করে অনেকগুলো নামের খন্ডাংশ জমতে থাকে।

খন্ডাংশগুলি হলো: গ্যাব্রিয়েল, হিমু, সম্রাট কণিষ্ক এরকম অজস্র অসংখ্য। স্কুলে একটি পুর্নাঙ্গ নামের প্রয়োজন হয়। আমার নাম দাড়ালো মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন সুমন। ডাকনাম হিসেবে বাকিগুলো চলতে থাকলো। ক্লাস ফাইভ পযর্ন্ত মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন সুমন টিকে থাকে।

সিক্সে ভর্তির সময় সুবল স্যার বললেন তোর ডাক নাম বাদ। ডাক নাম কেন মুলনামে থাকবে? এটা কোন কতা অলো? এর মোহাম্মদ কে মোঃ ও সুমন বাদ দিয়ে দাড়ালো মোঃ আল-আমিন হোসেন। কিন্ত এটা আমি সহ্য করতে পারলাম না। কিন্ত কাউকে সেটা বলতেও পারলাম না। কারন সুমন নামটা আমি প্রচন্ড ভালবাসি।

নাম হারানোর শোক আমি সহ্য করতে পারলাম না। মেনে নিলেও মনে নিতে পারলাম না। ক্লাস সেভেন থেকে পত্রপত্রিকায় লেখা পাঠানো শুরু করি। প্রতিশোধটা এখানে নেয়া সম্ভব হলো। ডাকনাম গ্যাব্রিয়েল আর সুমন দুটোকে এক করে ফেলা হলো।

গ্যাব্রিয়েল সুমন সাউন্ডস গুড তখন থেকেই এ নাম চালু হতে থাকে। কিন্ত অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ক্লাস নাইনে উঠে আমার সার্টিফিকেট নেম আবার কর্তন করা হয়। আব্বা একই স্কুলের অ্যাসিটেন্স হেড স্যার ছিলেন তিনি আবার আমার নাম কর্তন করেন। তার মতে, আল-আমিন হলো নবীজির নাম। এখানে হোসেন থাকবে কেন? সুতরাং মোঃ আল-আমিন নাম নিয়ে আমি আমার শিক্ষা ও কর্মজীবন পার করছি।

আর গ্যাব্রিয়েল সুমন নামে লেখালেখি কিংবা অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করছি। বিশ আর কুড়ি তো একই জিনিস সুতরাং আমার দুইটা নাম থাকলে ক্ষতি কী ??? গ্যাব্রিয়েল সুমন নাম শুনে অনেকেই নাক শিটকান ও ভ্রু কুঁচকান। তাদের নেতিবাচক মনোভাব তাদের কাছেই থেকে যায় সেই দীনতা আমাকে স্পর্শ করতে পারে না। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.