আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীর নামকরণের সার্থকতা...!!!

আমি অনেক ভালো...হি...হি...হি... পাঠ্যবইয়ে নামকরণের সার্থকতা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পড়েছি। সম্প্রতি এই নামকরণের সার্থকতা বাস্তবে দেখার সৌভাগ্য হলো। আমাদের মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর নাম সৈয়দ আবুল হোসেন। তাঁর নামের প্রথামাংশ বংশীয় পদবী এবং মর্যাদাপূর্ণ। শেষের অংশটিও গতানুগতিক।

কিন্তু মধ্যম অংশটি তার বর্তমান কাজকর্মের সঙ্গে শতভাগ মিলে যাচ্ছে। আমরা ছোটবেলায় বেকুব টাইপের যারা কথাবার্তা ঠিকঠাক বলতে পারে না কিংবা কোথায় কোন কথাটা বলা সমীচীন হবে তা না জেনেই কথা বলে কিংবা কাজের কাজ না করে সারাক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে হাসে তাদের আবুল বলে ডাকতাম। মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর মধ্যম নাম আবুল। তার নামের সঙ্গে কাজকর্মও মিলে যাচ্ছে। বলা যায়, তার নামকরণের সার্থকর্তা শতভাগ সঠিক হয়েছে।

দু'একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। একেবারে সাম্প্রতিক ঘটনা। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকতা জগতের দু্ই উজ্জ্বল নক্ষত্র নিহত হয়েছেন। বাস চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা। কিন্তু আমাদের মাননীয় মন্ত্রী সেই দুর্ঘটনায় আহত হওয়া যাত্রীদের দেখতে গিয়ে বললেন, `আপনাদের চালকেরই দোষ ছিল।

' একেই বলে মাথামোটা আবুইল্যা। ধরছি, মাইক্রোবাস চালকেরও দোষ কিছুটা ছিল। তাই বলে একজন আহতকে দেখতে গিয়ে, তাকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে এমন কথা আবুল টাইপের লোক ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। দুই মহাসড়ক অচল। আরো কয়েকটি অচলের পথে।

কিন্তু মন্ত্রী পরিষদের সভায় তিনি টাকা পান না বলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইলেন। আবুল না হলে এমন কথা কেউ বলতে পারে। সবশেষে তার মুখের হাসিটাই দেখুন, সেখানেও কিন্তু আবুল আবুল গন্ধ পাওয়া যায়। অতএব তার আবুল নাম করনে যে শতভাগ সার্থকতার পরিচয় পাওয়া গেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.