আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্রনাথ

-রবীন্দ্রনাথ সকল বড়ো কাব্যই আমাদিগকে বৃহত্তের মধ্যে আহব্বান করিয়া আনে ও নিভৃতের দিকে নির্দেশ করে। প্রথমে বন্ধন ছেদন করিয়া বাহির করে, পরে একটি ভূমার সহিত বাঁধিয়া দেয়। প্রভাতে পথে লইয়া আসে, সন্ধ্যায় ঘরে লইয়া যায়। একবার তানের মধ্যে আকাশ পাতাল ঘুরাইয়া সমের মধ্যে পূর্ণ আনন্দে দাঁড় করিয়া দেয়। যে কবির তান আছে কিন্তু কোথাও সম নাই- যাহার মধ্যে কেবল উদ্যম আছে আশ্বাস নাই- তাহার কবিত্ব উচ্চ কাব্য শ্রেণীতে স্থায়ী হইতে পারে না। শেষের দিকে একটা কোথাও পৌঁছাইয়া দিতে হইবে, এই ভরসাতেই আমরা আমাদের চিরাভ্যস্থ সংসারের বাহির হইয়া কবির সহিত যাত্রা করি; পুষ্পিত পথের মধ্য দিয়া আনিয়া হঠাৎ একটা শুণ্যগহ্বরের ধারের কাছে ছাড়িয়া দিলে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়। এই জন্য কোন কবির কাব্য পড়িবার সময় আমরা এই দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তাঁহার পূর্বমেঘ আমাদিগকে কোথায় বাহির করে এবং উত্তরমেঘ কোন সিংহদ্বারের সম্মুখে আনিয়া উপনীত করে। নববর্ষা, রবীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.