আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘হুজুর বড় মাপের চোর’

নাম তার সোহেল (৩০)। মুখে কাঁচা দাড়ি। মাথায় সাদা টুপি। চেহারায় তার সুফি সুফি ভাব থাকলেও সে কিন্তু একজন পাকা চোর। নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন বড় মাপের চোর।

বিভিন্ন কৌশলে রাজধানীর পুরান ঢাকায় চুরি করে সে। গতকাল রাতে সোহেল সূত্রাপুর থানায় এ প্রতিবেদককে জানায়, সে বড় ধরনের চুরি করে থাকে। চুরি করার আগে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করে, তারপর চুরি। গতকাল কাগজ চুরির দায়ে জনতার হাতে ধরা পড়ার পর তাকে সূত্রাপুর পুলিশের কাছে তুলে দেয়। কাগজ চুরির দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

মামলা নম্বর-২১। তারিখ : ১২/০৭/২০১১। এ মামলার বাদী ওরিয়ন পেপার হাউজের গোডাউন ইনচার্জ আবদুল ওয়াহাব। বাদীর কাছ থেকে জানা যায়, গত ১২ তারিখ এই সোহেল ওরিয়ন পেপার হাউজের গোডাউন ২/১, নবাব স্ট্রিট ওয়ারিতে এসে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৫ লাখ টাকার কাগজ নিয়ে যায়। তখন গোডাউন ইনচার্জ ওয়াহাব জানতেও পারেনি সেই কাগজপত্র ভুয়া।

সোহেল তাকে বলে, ‘তোমার মালিকের সাথে কথা হয়েছে। কোনো অসুবিধা নেই। ’ অত্যন্ত চতুরতার সাথে সোহেল ওয়াহাবের সাথে কথা বলে মিনি ট্রাকে করে কাগজ নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওয়াহাব বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা করেন।

গতকাল এই সোহেলকে নবাব স্ট্রিটে দেখে ওয়াহাব লোকজনের সহযোগিতায় সূত্রাপুর পুলিশের হাতে তুলে দেন। থানায় সোহেল অপরাধকণ্ঠের এই প্রতিবেদককে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সে এই প্রতারণা করে আসছে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বন্দরখোলা গ্রামে। তার বাবার নাম বিশা মিয়া। ঢাকায় এসে বিভিন্নভাবে মানুষকে প্রতারণা করাকেই সে পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

এর আগেও সে পুলিশের কাছে কয়েকবার ধরা পড়েছিল। কিন্তু বেশিদিন জেলহাজতে থাকতে হয়নি। তার নিজস্ব উকিল রয়েছে। তারাই তাকে জামিনে বের করে এনেছে। বের হয়ে আবারও এ পেশায় নামে সে।

সোহেল জানায়, তার সুফি সুফি চেহারা দেখে যে কেউ তাকে বিশ্বাস করে। মান্য করে। মানুষের সে বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সে চুরির কৌশল বের করে। তারপর একদিন সবকিছু চুরি করে পালায়। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আইয়ুব অপরাধকণ্ঠকে বলেন, ভদ্রবেশী সোহেল বড় মাপের একজন পাকা চোর।

তার নামে বিভিন্ন থানায় আরও মামলা রয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।