আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুজুর যখন চেয়ারম্যানের কবলে

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 বছরের পয়লা দিনে মি আই চেয়ারম্যান স্বাগত জানাই সকল লুল এবং বিটলা ভাই ভইন দের দিস্ ইজ গপ্পো টাইম,সো পিলাচ বাটন কান্ধে লৈয়া আউগায়া বহেন আমি তহন কেলাস ফোরে পড়ি। বাপের খায়েশ হৈলো পুলারে ঈমানি শিক্ষায় শিক্ষা দিয়া বেহেশতের টিকিট বুকিং দিবো । তাই সকাল হৈতে না হৈতে আমারে একটা আমপারা কায়দা দিয়া মাথায় টুপি আর চউক্ষে সুরমা লাগায়া মাদ্রাসায় পাঠানো হৈল। কিন্তু নাম যার চেয়ারম্যান শয়তান কি তারে ভালো না বাইসা পারে ? আমি মাছুম বাইচ্চার লাহান রাস্তার ডাইন পাশ দিয়া আল্লাহ নবীর নাম লৈতে লৈতে যাইতাছি এমুন সময় আতকা নাকের মইদ্যে পরোটার খুশবু আয়া এটাক দিলো,আর দোকানে বাপের একটা বাইক্যা একাউন্ট ও ছিলো ,তাই ডাইন কদম আগে বাড়ায়া বিসমিল্লাহ কৈয়া হান্দায়া গেলাম নাস্তা সাইরা সুন্দর বাসায় আইতেই বাপে কয় " আইজকা কি শিখলা বাজান" ? খাইলাম নি ধরা ,লেকিন আমার উপস্থিত বুদ্ধি ইজ ভেরি প্রখর আমি কৈলাম" তু তু তুত্তু তারা মর্জিনার মা মার্কা মারা" এইডা শিখছি গো আব্বা কথা শেষ হৈতে না হৈতে ডাইন কানের উপ্রে ঠাডায় এক বন খাইলাম। সে বনের চোটে নাকি আমার সরলতার কারনে জানি না সব হাছা কথা টিয়া পাখির লাহান ফরফর কৈরা কৈয়া দিলাম।

বাপে কয় নু ফুলভলেম,বন চটকনা যখন দিয়াছি লাগিলে আর বন চটকনা দিবো,তবু আমারে ছেলেকে আমি ঈমানি শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়াই ছাড়িব রাইতে বাপে আয়া কয় কাইলকা থাইকা হুজুর বাসায় আইসা পড়াইব,রেডি থাইকো আর আদব লেহাজের সাথে পেশ আসিবে সকাল বেলায় হুজুর আইলো পড়াইতে । আইসাই কয় " পুত্র তোমাদের টাট্রিখানা কোনদিকে ?দেখাইয়া দিতেই পড়িমড়ি কৈরা দৌড় লাগাইলো হুজুরে এমুন সময়ে শয়তানে আবার আইসা আমারে এক বদ বুদ্ধি বাতলাইলো। আমার কি দোষ? মি আই গুড বয় ,বাট শয়তান অলওয়েজ গিভ মি ফিরি এডভাইস আমাদের টয়লেটের পানির মেইন লাইন বাইরে থেকে বন্ধ করা যায়। আস্তে কৈরা গিয়া লাইন বন্ধ কৈরা দিয়া ভদ্র পোলার মতোন আমি ড্রয়িং রুমে উচ্চস্বরে ইয়া নবী ছালামুআলাইকা মিলাদ পড়া শুরু করলাম। এমুন ভাব ধরলাম যে আমি দুইন্যাতে খোদার একমাত্র নেক বান্দা,দুনিয়াবি কুনু চিন্তা আমার মাথায় নাই একটু পড়ে দেখি হুজুর ভিত্রে থাইকা খালি কাশে।

আমি মনে মনে কই যতোই সিগনাল দেন নু ফায়দা। আইজকা ১ ঘন্টার আগে আফনেরে বাইর হৈতে দিতাছি না। আরো জোরসে দুয়া দরুদ শুরু কেলাম যাতে হুজুরের কাশি কেউ না শুনতে পারে লেকিন আপচুস,আধা ঘন্টা পড়েই বেরসিক বাপে আয়া হাজির আইসা কয় হুজুর কৈ ? আমি কৈলাম টাট্রিখানায়। এমুন সময় হুজুর ভিত্রে থাইকা ডাকে বাবা নাদিম ও বাবা একটু শুইনা যাও বাপে কয় কিরে কাহিনি কি ? ডাকে কেন ? চোখমুখে ভালা মাইনসের ছুরত ধৈরা কৈলাম আমি কেমতে কমু ?মি আই ডোন্ট নু ফিলিজ বিলিভ মি বাপে বাইরে থেকে হুজুর রে জিগাইলো ইয়া হুজুর কাহিনি কি? হুজুরে কয়" জনাব এস্তেন্জা করার এন্তেজাম দেখতাছি না,নাপাকি দূর করিবো কিভাবে ? বাপে আইসা দেখে পানির লাইন বন্ধ । কাহিনি বুঝতে আর দেরী হৈলো না।

হুজুর ঐদিনের মতো আমারে ১ টা সূরা মুখস্ত করতে দিয়া বিদায় হৈলেন। হুজুর যাইতেই আমার বেদরদী বাপে পিঠের উপরে দামাদাম মাস্তে কালান্দার গানের লাহান কিলাইয়া আমার হাইওয়ে রাস্তার লাহান পিঠ টারে পোয়াতি বেডির পেটের লাহান ফুলাইয়া দিলো সেই দুক্কে আমিও কসম খাইলাম এই হুজুররে যদি না খেদাইছি আমার নাম চেয়ারম্যান না। পরেরদিন সকাল বেলা হুজুর আইসা আমারে ছুরা লেখতে কৈলো। আমিও ফরফরাইয়া একটানে লেইখা ফালাইলাম । হুজুরে কয় মাশাল্লাহ,মারহাবা।

তোমার পিতাকে ডাকো দেখি পুত্র। আমি ডরে ভয়ে বাপেরে ডাকতেই হুজুরে কয় " জনাব আপনার পুত্র অতিশয় উচ্চ মস্তিষ্কের বালক,উহাকে যত্ন করিবেন,উহার মধ্যে আমি একজন বিজ্ঞ আলেমের ছায়া দেখিতে পাইতেছি" আর আমার বাপেও জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর কৈয়া কল্লা নাড়ায়া সহমত জানাইলেন। তয় আসল কাহিনি আইজকা আমি কই" ঐদিন আসলে আমি মুখস্ত লেখি নাই। আগের দিন রাইতে খাতার উপ্রে জোরে চাপ দিয়া সূরা টা লেইখা পৃষ্ঠা টা ছিড়ে ফালায়া দিছিলাম পরের দিন খালি ঐ ছাপের উপ্রে কলম চালায় লেইখা ফালাইছিলাম যাই হোক একটু পরেই আম্মাজান পর্দার অন্তরালে থাইকা আমারে ডাক দিলো হুজুরের নাস্তাপানি আনয়ন করার জইন্য। আমি রান্না ঘরে গিয়া দেখি কেউ নাই,চউক্ষের পলকে এক খাবলা লবন লৈয়া হুজুরের শরবতে দিলাম মিশায়া মুখে শরবত দিয়াই হুজুরে দেখি মৃগী রোগীর মতোন চোখমুখ উল্টায়া দিলো ,আমার খুশি দেখে কেডা তয় হুজুর ঠিক ই বুঝলো আকাম টা কেডা ঘটাইছে হুজুরে আমার মাথায় হাত দিয়া বললেন "বাবা তুমি যেহেতু মুসলমান সেহেতু তোমার দায়িত্ব নিজের ধর্ম সম্পর্কে জানা,নিজের ধর্ম কে নিয়ে পড়াশোনা করা।

তেমনি সকল ধর্মের মানুষের উচিত নিজ নিজ ধর্ম সম্পর্কে জানা যাতে দুনিয়া এবং পরকালে সৃষ্টিকর্তার সামনে লজ্জিত হতে না হয়। " সেইদিন আমি কি বুঝেছিলাম জানি না। তবে এরপর থেকে আর হুজুরের সাথে বেয়াদবী করিনি। ঐ হুজুরের কাছেই কায়দা,সিফারা,কোরআন শরীফ শেখা। আজ কেনো জানি উনাকে খুব মনে পড়লো তাই লেখলাম।

এইমাত্র আপুর কাছ থেকে জানলাম হুজুর মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। দোয়া করি আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।