[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/zaman_chy_1311870358_1-a.png
দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আরো ৪টি জাহাজ নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। কাল শুক্রবার জাহাজ ৪টি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হবে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, চারটি জাহাজের মধ্যে জার্মানির গ্রোনা শিপিং-এর নিকট দু'টি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের নিকট একটি ও বিআইডবিস্নউটিসি'র নিকট একটি সরবরাহ করা হবে। গ্রোনা শিপিং-এর জন্য নির্মিত জাহাজ "ইএমএসটাইড এবং ইএমএসওয়েব" ১২ টি ৫২০০ ডিডব্লিওটি আইস ক্লাস জাহাজ নির্মাণ চুক্তির তৃতীয় কিস্তির জাহাজ। অন্য দু'টি দেশের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যবহৃত হবে।
দেশের জন্য তৈরী দু'টি জাহাজের একটি হল বিআইডব্রিউটিসি'র জন্য নির্মিত রো-রো ফেরি 'বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন'। যা স্থানীয় জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মিত সবচেয়ে বড় প্রথম রো-রো ফেরি। এর নকশা করা হয়েছে ৩৭০ জন যাত্রী এবং ২৭ টি ট্রাক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন করে। এটি মাওয়া থেকে চরজানাজাত এবং মাদারীপুর নৌপথে চলাচল করবে। অন্যটি হল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিত পাইলট ভ্যাসেল 'পিভি রক্ষী'।
বহিঃনোঙরে জাহাজের নাবিক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিবহনের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মেরিন ওয়ার্কশপ ঘাটে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানিকভাবে ৪টি জাহাজ হস্তান্তর করা হবে। এতে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, জার্মানিশ্যিয়র লয়েডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে জাহাজগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, তিনটি পৃথক কর্তৃপক্ষের নিকট একসাথে চারটি জাহাজ হস্তান্তর বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে।
যা বিশ্বের জাহাজ নির্মাণকারী দেশসমূহের নিকট আমাদেরকে বিশেষভাবে পরিচিতি ঘটাবে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, গ্রোনা শিপিং-এর জন্য নির্মিত ৫২০০ ডিডবিস্নওটি এমপিসি জাহাজ 'ইএমএসটাইড এবং ইএমএসওয়েব' ই-৩ আইস ক্লাস জাহাজ হিসেবে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। জাহাজ দু'টি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম করে নির্মাণ করার কারণে এগুলো ই-৩ আইস ক্লাস ভ্যাসেল হিসেবের্ সািটফাইট। জাহাজগুলো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৩৫০০ টন এমটি আইস ক্লাশ স্টিল এবং এগুলো সংযুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬০ এমটি ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডেস। জাহাজ দু'টিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৩কি:মি: মেরিন ক্যাবল এবং এগুলোর মরিচা প্রতিরোধ ও সৌন্দর্য করণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪০০০ লিটার সিগমা পেইন্ট।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিত জাহাজটি নকশা করা হয়েছে জরুরি ও প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ১২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করে। এটি ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং ৩ মিটার উচ্চ ঢেউয়ের মধ্যে চলাচল করতে সক্ষম বলে জানান ওয়েস্টার্নর্ মেরিন শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি'র জন্য নির্মিত রো-রো ফেরি 'বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন' দেশে তৈরি প্রথম রো-রো ফেরি যা অন্তর্ভুক্ত হবে বিআইডব্লিউটিসি'র বহরে থাকা ডেনিশ এবং চীন থেকে আমদানিকৃত ১০ টি রো-রো ফেরির সাথে।
জাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
আর আমি মু জামান চৌধুরী ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড এ ডিজাইন সেকশন এ আছি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।