আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেভাবে আলোচনায় আল্লামা শফী

মূলত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আহমদ শফীর নেতৃত্বে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি হেফাজতে ইসলামের যাত্রা শুরু হয়। আহমদ শফী এ মুহূর্তে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক। তার পড়াশুনা ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায়। সম্প্রতি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করেই ইসলামিক গোষ্ঠী হেফাজত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এছাড়া সংগঠনটির ১৩ দফা দাবিও সুশীল মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

এসব দাবির মধ্যে ছিল নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করা, বিদেশি সংস্কৃতি নিষিদ্ধ করা, মোমবাতি প্রজ্বলন নিষিদ্ধ করা। ঢাকায় গত ৬ এপ্রিলের সমাবেশে এই দাবিগুলো পেশ করে হেফাজত। সমাবেশের দিন নারী সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় হেফাজতের লোকজন। হেফাজতের সামবেশে নারী সাংবাদিক কেন, মাথায় কাপড় নেই কেনÑএ ধরনের অজুহাত তুলে তাদের হেনস্তা করা হয়। একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিনকে প্রচ- মারধর করা হয়।

নাদিয়া হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ‘পুরুষের সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন?’ একপর্যায়ে নাদিয়াকে মারতে মারতে সমাবেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাকিয়া আহমেদ ৬ এপ্রিল কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সামনে মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশের ব্যানারে একটি মিছিল যাচ্ছিল। জাকিয়া সড়ক বিভাজনের পাশে দাঁড়িয়ে মিছিলের স্লোগান টুকে নিচ্ছিলেন।

এ সময় মিছিলের মাঝখান থেকে একজন আঙুল তুলে জাকিয়ার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘ওই মাইয়্যা, মাথায় কাপড় নাই ক্যান?’ বহুল আলোচিত-সমালোচিত ভিডিও ক্লিপে শফী বলেন, ‘মেয়েরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। তাদের চার-পাঁচ ক্লাস পড়লেই চলবে। বিয়ের পর তারা স্বামীর টাকা-পয়সার হিসেব রাখবে, এটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। ’ মোবাইল ফোন নিয়েও শফী ভীষণ বিরক্ত। বর্তমান সময়কে মোবাইল ফোনের যুগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন রয়েছে।

পুরুষ শিক্ষার্থীরা মেয়েদের ফোন নাম্বার যোগাড় করে এবং মেয়েরাও স্কুল-কলেজে গিয়ে পুরুষ শিক্ষার্থীদের নাম্বার নেয়। শিক্ষার নামে এটাই চলছে। ’ হেফাজতে ইসলামের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাড়ির বাইরে যেয়ো না। রাস্তায়, স্টেশনে, বাজারে, মাঠে নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করো না। সাবধান! কেনাকাটা করতে যাবে না।

তোমার স্বামী বা ছেলেকে বলো বাজার করার জন্য। তোমাকে কেন যেতে হবে? তুমি শুধু বসে থাকো এবং ছেলেকে হুকুম করো। তোমাকে কেন এই ঝামেলা পোহাতে হবে?’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের হিসাব মতে, দেশের চাকরিজীবী নারীর সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। ২০০২-২০০৩ সালে এটা ছিল এক কোটি। তবু পুরুষের তুলনায় তা অর্ধেক।

নারী সমাজের প্রতিক্রিয়া হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শফীর নারী বিরোধী নানা অশ্লীল বক্তব্যের ভিডিওচিত্র সামাজিক গণমাধ্যম ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশের নারী সমাজ ক্ষব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তার এ বক্তব্যে রাজনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী নারীর বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যের ভিডিওচিত্র ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে দেয়া এ ধরণের নোংরা বক্তব্যের জন্য আল্লামা শফীর শাস্তি দাবি করেছেন নারী নেত্রীরা। এদিকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেত্রীরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নারী নেত্রীরা বলেছেন, আল্লামা শফীর মতো একজন বিজ্ঞ আলেম ব্যক্তির মুখে এ ধরণের বক্তব্য শোভা পায় না। ধর্মে নারীকে এভাবে বিকৃত করার অধিকার কাউকে দেয়নি। বিশিষ্ট নারী নেত্রী শিরীন আখতার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এই বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। তার মুখে নারীকে নিয়ে এ ধরণের কথা মানায় না। আল্লামা শফী সাহেব যদি বিশ্বাস করেন, ‘নারী তেতুলের মতো’ তাহলে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা বৃথা।

নারীকে ধর্মে বিকৃত করার জায়গা নেই। নারীকে বিকৃত করার অধিকারও ধর্ম কাউকে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, বিবি খাদিজা (আ.) যেখানে নারীদের মধ্যে প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, সেখানে নারীর মর্যাদা ইসলামে অনেক। সুতরাং আমরা মনে করি, এভাবে ধর্মকে বিকৃতভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। এ সময় তিনি আল্লামা শফীর বক্তব্য প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানান।

বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার এমপি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, নারীকে নিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দেয়া কোনো রুচিশীল ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লামা শফী সাহেবের এ ধরণের বক্তব্য নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ও অরুচিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরণের বক্তব্য দেয়ার জন্য তার বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন এ নারী নেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন তানিয়া হক আল্লামা শফীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, আল্লামা শফী সাহেব তো নারীকে পুতুল, তেতুল, জীব-জন্তুর সাথে তুলনা করেছেন। তিনি কী জানেন, আল্লাহর এ রকম একটা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে কারও সাথে তুলনা করা যায় কিনা।

তিনি যদি ইসলাম বুঝে থাকেন তাহলে এ ধরণের বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, ইসলামের নাম করে, পর্দার নাম করে ম্যানুপুলেশন করে নারীর কাজ করার সমান অধিকার পুনরায় বন্ধ করার চেষ্টা করছে। রাসুল (সা.) তো কখনো এগুলো করেননি। তিনি বলেন, দেশেতো আসলে উন্নয়নমূলক কোনো ইস্যু নেই। দেশের উন্নয়নের কোনো খোঁজ নেই।

তারা একেকটি ইস্যু তৈরি করে রাজনীতি করে। রাজনীতিবিদরা ধর্মকে ব্যবহার করে স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষকও আল্লামা শফীর বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ড. কাবেরী গায়েন তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, আল্লামা শফী সাহেবের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। নারী-পুরুষের সমান অধিকার।

রাষ্ট্র থেকে প্রতিহত করা হয় না বলে শফী সাহেবের মতো অনেকেই নারীকে নিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দিতে উৎসাহ বোধ করে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এ ধরণের বক্তব্য বন্ধ করে দেয়া উচিত। তিনি নারীকে নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমীরের এ ধরণের বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন নুসরাত তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ধর্মগুরু সেজে এরা শুধু ইসলামকে নিয়ে তামাশা করছে। বিকৃত মস্তিষ্কের এ মানুষটির বিচার এখন সময়ের দাবি হয়েছে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা বলেন, এ ধরণের কোনো বক্তব্য আমি শুনি নাই। অতএব না জেনে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। একই কথা বলেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা। তিনি এ বিষয়ে না জেনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আহমদ শফীর গ্রেফতার দাবি নারীদের স্বাধীনতা, শিক্ষা ও চাকরি সম্পর্কে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দেওয়া কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন হয়েছে।

১১ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জনতার শক্তি ও নারীদের নিয়ে নিউজপোর্টাল অপরাজিতা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্মের নামে নারীর প্রতি এই মধ্যযুগীয় অবমাননা মানিনা। আমরা শফীর এ রকম বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নাট্যকার রোকেয়া প্রাচী বলেন, আল্লামা শফীর মতো একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ নারীদের নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং তাকে এ বক্তব্য প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানাই।

হেফাজতের বক্তব্য নাস্তিক, ইসলামবিদ্বেষী ও তাদের সহযোগীদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশের নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত ১০ জুলাই এক বিবৃতিতে তিনি একই সঙ্গে কোনো মহলের চাপে তথাকথিত ‘প্রতিবাদী নারী সমাজ’-এর মহাসমাবেশ কিংবা শাহবাগিদের ‘গণজাগরণ মঞ্চের’ শ্রমিক সমাবেশের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নে নারীশ্রমিকদের ব্যবহার করতে না দেয়ার জন্য গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠন, মালিকসহ বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, হেফাজতের লংমার্চ এবং মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে সারাদেশে তৌহিদি জনতার যে মহাজাগরণ শুরু হয়েছে, তাতে ভীত ও দিশেহারা হয়ে নাস্তিক-বামপন্থী এবং তাদের সহযোগীরা এখন মিথ্যা এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরলমনা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য তারা কর্মজীবী নারীদের ভুল বুঝিয়ে উসকে দিয়ে মাঠে নামাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও বামপন্থী নাস্তিকদের নেতৃত্বাধীন কিছু নারী সংগঠন ও এনজিও বিভিন্ন নামে এরই মধ্যে রাস্তায় মানববন্ধন, সভা-সেমিনার করে হেফাজতে ইসলামের দাবির ব্যাপারে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছে।

তাদের সহযোহিতা করছে সুশীল সমাজ নামধারী কিছু ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তি। তারা হেফাজতের ব্যাপারে নানা বিষোদগার করা ছাড়াও হেফাজতের দাবি মানা হলে ‘দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাবে’ এবং ‘তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হবে’ মর্মে কাল্পনিক বক্তব্য দিচ্ছে। তারা নারী ও দেশের তৌহিদি জনতা এবং ইসলামের চিরায়ত সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। আল্লামা শফী বলেন, কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের এদেশে নাস্তিক-মুরতাদ ও তাদের দোসরদের এ অপচেষ্টাও সফল হবে না ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, যারা আজ হেফাজতের বিরুদ্ধে নারীদের মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে, তারা অতি পরিচিত মুখ।

তাদের বেশিরভাগই শাহবাগের নাস্তিকদের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চে গমনকারী এবং তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণকারী। এসব পরিচিত মুখ সবসময় ইসলামের কৃষ্টি-কালচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে এবং বিজাতীয় ও ইসলামবিরোধী সংস্কৃতির চর্চায় লিপ্ত। এসব চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষীর কথায় এদেশের ধর্মপ্রাণ নারী সমাজসহ তৌহিদি জনতা বিভ্রান্ত হবে না। তিনি বলেন, মূলত শাহবাগে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চকে ঘিরে সেখানে নারী-পুরুষের যেভাবে অবাধ মেলামেশা, একত্রে রাত যাপন, এমনকি বৈধ সম্পর্ক ছাড়াই পর নারী-পুরুষের একই তাঁবুতে, একই কম্বলের নিচে অবস্থান করে রাত যাপনের ঘটনা ঘটছে। সেখানকার স্লোগান কন্যাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার বিষয় পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে।

শাহবাগি নাস্তিকদের দাাবির মুখে একটি পত্রিকা তাদের একটি গল্প প্রত্যাহার করে, গল্পের জন্য ক্ষমা চেয়ে, গল্পের লেখক ক্ষমা চেয়ে ঘটনার সত্যতাই অনেকাংশে প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.