http://profiles.google.com/mshahriar হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকে আবুল হায়াত চিন্তিত ছিলেন ইলিশ নিয়ে৷ দেশে নির্বিচারে ইলিশ নিধন হচ্ছে, ইলিশের সংখ্যা হু হু করে কমে যাচ্ছে৷ এমন দিন খুব দূরে নয় যখন ইলিশ একটা জাদুঘরের জিনিস হবে৷ তখন কি হবে? বাঙালী কি ইলিশ খাবে না? তা কি করে হয়? অনেক চিন্তা ভাবনা করে আবুল হায়াত গেলেন এক মন্ত্রীর কাছে (মন্ত্রী না সচিব ঠিক মনে নেই)৷ গিয়ে তিনি তার সুচিন্তিত মতামত পেশ করলেন- বাঙালীকে এক বছরের জন্য ইলিশ মাছ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে৷ খাওয়া বন্ধ রাখলে ইলিশ নিধনও বন্ধ হবে, তাতে করে ইলিশ স্বাভাবিকভাবে বংশ বৃদ্ধি করতে পারবে৷ বাঙালীর ঐ এক বছরের সংযম থেকে বহু বছরের ইলিশ সংস্থান হয়ে যাবে৷ বহুব্রীহি নাটকটা ছিলো হাসির৷ হাস্যরসের উপাদান হিসেবে আবুল হায়াতের মাধ্যমে এই প্রস্তাবের উপস্থাপনা৷ যার জবাবে মন্ত্রী সাহেব আবুল হায়াতকে বের করে দিয়ে বলেছিলেন- পাগল ছাগলে দেশটা ভরে গেলো! হা হা হা৷ সন্দেহ নেই, আমরা যারা নাটকটা দেখেছিলাম তারা প্রাণ খুলে হেসেছিলাম (যদিও পরামর্শটা আমার কাছে খুব মন্দ মনে হয় নি, প্রয়োজন পড়লে এমন করা যেতেই পারে)৷ কিন্তু, আমাদের হাসির দিন শেষ হয়েছে৷ সম্প্রতি আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে জনগনকে একদিন বাজারে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন (একদিন বাজারে না গেলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না)৷ হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস "নন্দিত নরকে" মন্টু তার বোনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে একজনকে হত্যা করে৷ বিচারে মন্টুর ফাঁসি হয়৷ ফাঁসি মওকুফের জন্য রাস্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হয়, কিন্তু মন্টুর ফাঁসি মওকুফ হয় না৷ সম্প্রতি আমাদের রাস্ট্রপতি এক খুনির সব সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন৷ "নন্দিত নরকে" উপন্যাসের উল্লেখ করে হুমায়ূন আহমেদ পত্রিকায় "মন্টুর ফাঁসি" লেখার মাধ্যমে রাস্ট্রপতির কাছে তার কাজ যুক্তিযুক্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছেন৷ সে প্রশ্নের উত্তর পেলে হুমায়ূন আহমেদ "নন্দিত নরকে" নতুন করে লিখতে বসবেন৷ আমাদের অনুরোধ হচ্ছে, নন্দিত নরকের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের আলোকে হুমায়ূন আহমেদ তার বহুব্রীহি নাটক বা অন্তত ইলিশ নিয়ে ঐ পর্বটা নতুন করে লিখুন৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।