আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুঃখিত দিপু মনি..আপনার মত দাঁত খুলে নির্লজ্জের হাসি আমাদের আসেনা..দুঃখিত পুতুল..

দুঃখিত দিপু মনি..আপনার দাঁত খুলে নির্লজ্জের মত হাসি আমাদের আসেনা..দুঃখিত পুতুল..বেয়নেটের আঘাতে রফিকের রক্তাত্ত কপাল দেখে আমরা আপনার মত প্রানখুলে হাসতে পারছিনা। সীমান্তে প্রতিনিয়ত যে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আমাদের নিরীহ ভাই-বোন অথবা বাবা হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হচ্ছে তাদের নিয়ে আমরা সাধারণ জনগণ উচ্চাসিত হতে পারছিনা। যেখানে রাষ্ট্রের প্রধান এবং অন্যতম সাংবিধানিক কাজ হচ্ছে তার জনগণের নিরাপত্তা সেখানে রাষ্ট্র আজ খুনি রাষ্ট্রের নেত্রীর পদলেহনে ব্যস্ত। রফিকের বাড়িতে যখন তার দুই শিশুপুত্র আল আমীন (৮) ও রিফাতের (৫) বোবা অবুঝ কান্নায় আশেপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে সেখানে আপনারা খুনি রাষ্ট্রের নেত্রীর সেবায় ঘুম হারাম করেছেন। রফিকের বাড়িতে যেখানে আপনার মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধির গিয়ে সান্তনা দিয়ে আসার কথা সেখানে আপনাদের মন্ত্রী এম্পিরা গিয়েছেন বিমানবন্দরে খুনি রাষ্ট্রের নেত্রীকে বরন করে নিয়ে আসতে।

রফিকের রক্তে যখন বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা লালে লাল তখন আপনারা ব্যাস্ত খুনি রাষ্ট্রের নেত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনায়। একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশী হত্যায় যখন আমার সোনার বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে তখন আপনি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ২শ ভরির সোনার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় 'বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা'। এটা কোন একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাসির মত লাগচেনা...মনে হচ্ছে যেন কোন চাটুকার তার মনিবকে দেখে আবেগে আত্নহারা হয়ে পড়েছে অথচ আমরা কিছুদিন এগে দেখেছি শ্রীলংকান জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় শ্রীলংকান নেভির হাতে এক ভারতীয় জেলে হত্যা নিয়ে পুরো ভারত-শ্রিলংকার সম্পর্ক নাজুক হয়ে পরে। নয়াদিল্লী ভারতে শ্রীলংকান দুতাবাসের হাইকমিশনার ডেকে এজন্য তীব্র প্রতিবাদ জানায়। 'খুবই গুরুতর' ও 'অগ্রহণযোগ্য' ঘটনা উল্লেখ করে জেলে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।

এমনকি একজন জেলের জন্য ভারত তাদের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাওকে শ্রীলঙ্কায়ও পাঠায়। এছাড়া প্রতিবাদ জানায় ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও। এরপর শ্রিলংকা সরকার ভারতের তীব্র প্রতিবাদে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকান্ড আর ঘটবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এবং সে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এখন পর্যন্ত আর কোন ভারতীয় জেলে বা নাগরিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন হল বাংলাদেশের নাগরিকদের যে পাইকারি হারে প্রতিদিন মারা হচ্ছে সেখানে রাষ্ট্র কি ভুমিকা পালন করেছে? বার বার ভারতীয় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি স্বত্বেও যে বাংলাদেশী মারা হচ্ছে সেখানে এখনো একবারের জন্যও কি ভারতীয় হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ তলব করেছে? ভারতের উচ্চ পদস্থ মন্ত্রী সচিব এবং নেতা বাংলাদেশ সফরে আসলেও কেন এই ইস্যু বার বার পানি ইস্যুর মত অবহেলিত হয়?? এত প্রশ্নের উত্তর যান পাব না।

তবে রাষ্ট্রের একজন সামান্য নাগরিক হিসেবে আমি লিখে যাব, প্রতিবাদ করে যাব হোক ভারত যত শক্তিধর কোন দেশ। ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য করার মানে এই নয় যে তারা আমাদের প্রভু সেজে গিয়েছে। তারা তাদের প্রয়োজনে আমাদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। সুতারাং দিপু মনি এবং তার নিয়োগদাতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক মারনাস্ত্র এবং সেনাবাহিনী সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে যেভাবে ফিলিস্তিনি শিশু কিশোররা সাধারণ পাথর দিয়ে মোকাবেলা করে তাদের স্বাধীনচেতা মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে প্রয়োজনে আমরাও ভারতের এই অন্যায় আচরণের সমুচিত জবাব দিইয়ে আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদের ত্যাগের সম্মান জানাবো। ভারতীয় হত্যাকান্ডের ডিজিটাল দলিল- View this link বাংলাদেশী হত্যা করবেনা এ নিয়ে ভারতের খুব সাম্প্রতিক কিছু প্রতিশ্রুতি দেখুন  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।