আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মদপানের অনুমতি চেয়ে আবেদনকারীদের সংখ্যা এবার কমেছে !!!

আজকে মানবজমিনের অনলাইন ভার্সনে একটি খবর পড়ে খুব বিরক্ত লাগল, খবরটা অনেকটা এ রকম...মদপানের জন্য এবার ৭০০০ আবেদন পড়েছে আর আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন দেশের ২ মন্ত্রী, ৫ এমপি, ১৬ সচিব-যুগ্ম সচিব, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তা। এ তালিকায় আরও আছেন সাবেক জোট সরকারের সময়ের ৪ মন্ত্রীও। এছাড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছে। রয়েছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ীও। বাংলাদেশের সুন্দর একটি আইন হল মুসলিম ধর্মালম্বিরা সাধারণভাবে মদ পান করতে পারবেন না।

বাংলাদেশি মুসলিম নাগরিকের মদ খাওয়ার লাইসেন্স পাওয়ার একমাত্র শর্ত ডাক্তারি সার্টিফিকেট। কিন্তু আইনটি সঠিকভাবে যে পালন হচ্ছে না তা জানতে পারলাম খবরের একটি অংশ দেখে……প্রতি রাতে ঢাকার বারগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। তাদের ৯০ শতাংশ লাইসেন্সধারী নয়। কিন্তু বারগুলোতে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে সেখানে সমাজের সব পর্যায়ের মানুষ মদ খেতে আসে। অভিযান চালানোর সময় এমন সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেখা গেছে যাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসতে হয়েছে অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

তাই বারগুলোতে অবৈধভাবে মদ পান চলে এটি জেনেও সেখানে অভিযান চালাতে সাহস পান না মাদকের কর্মকর্তারা। আর এ কারনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে বৈধ লাইসেন্স গ্রহণ করা। এটা হলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে অন্যদিকে অবৈধ মদপানকারীদেরও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। তবে আর একটি খুশির খবর হল এ অর্থবছরে আবেদনকারীদের সংখ্যা অনেক কমেছে…এর কারন হিসেবে কর্মকর্তারা বলেছেন, এবারই প্রথম ছবিসহ আবেদন করতে হচ্ছে। লাইসেন্সেও এবার ছবি সংযুক্ত করে দেয়া হবে।

তাই পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে অনেকেই এবার আবেদন করেন নি। আবেদনকারীদের সংখ্যা কমা মানেই এ দেশে মদ পানকারীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নয় বরং আমার মনে হয় সংখ্যাটা আরও বেড়েছে । রাজস্ব থেকে জনগণ অবশ্যই সরকারের কাছে বড়। তাই মদের ব্যাপারটি ভালভাবে দেখা উচিত। মদের ভাল দিকের চেয়ে মন্দ দিকটা অনেক ভারী।

তাই অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারি সার্টিফিকেটের সত্যতা বিচার করা জরুরি। আইনের প্রয়োগ ঠিকভাবে হলে অবৈধ মদ পানকারীদের সংখ্যা কমতে বাধ্য। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাগুলো উঠিয়ে দেওয়া সরকারের উচিত হবে না। তা না হলে মদ পানকারীদের (বৈধ/অবৈধ) সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না। মূল খবরটি এখানে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।