আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেউ নিজের পিতার খুনিদের সর্বাত্মক বিচার করেন আর অন্যের পিতার খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেন

এদেশে প্রত্যেক বিবেকবান মানুষই কষ্টে থাকেন। রাজনৈতিক নেতাদের অপরিণামদর্শিতা, মূর্খতা, শঠতা আমাদের জর্জরিত করে কষ্টের নীল আগুনে। রাষ্ট্রপতিতো অর্বাচিন হতে পারেন না; তিনি মহামান্য, জ্ঞানী। তিনি কেন কয়েক জনের পিতার খুনিদের মুক্তি দিলেন। ওরাতো চিহ্নিত এবং প্রমাণিত খুনি।

ওদের হাতের রক্তে মেঘনা লাল হয়ে যেত। আমরা এখনো সভ্য হইনি, রাষ্ট্রপতি এটাই বুঝিয়ে দিলেন; আমরা কতোটা অসভ্য, বর্বর। হায় ঈশ্বর!! রাষ্ট্রপতি চাইলেই কি কোন কারণ ছাড়াই খুনিদের ছেড়ে দিতে পারেন। এটা সভ্যদেশের আইন হবে কেন? এটা বর্বরদের আইন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতার খুনিদের বিচার করলেন, সর্বত্মক চেষ্টা করে।

মহামান্য রাষ্ট্রপতিও চেষ্টা করছেন, তার স্ত্রীর খুনিদের বিচারের। স্ত্রীর খুনিরাও চিহ্নিত হয়েছে। শিঘ্রই বিচার হবে। দেশের আর মানুষ হলো শুয়রের বাচ্চা-কাচ্চা তাদের মৃত্যুর আবার বিচার কি? দলীয় লোকদের হাতে নিহতদের বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিরা আমাদের দেশে বড়ই ব্যস্ত। শিয়াল কুকুরের মৃত্যুর আবার বিচার কি? বিএনপি সরকারের সময় একটি হয়েছিল; এবার প্রতিযোগিতায় বর্তমান সরকার সর্বকালের সর্ব রেকর্ড ভেঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন।

হায় ঈশ্বর এদেশের সাধারণ মানুষদের জন্য বিচারের শুধুমাত্র তোমার পথটিই খোলা থাকলো। রাষ্ট্রপতি খুনিদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। তিনি থুত্থুরে কিন্তু বিবেকহীন হলেন কি করে? ঐ সময়ে তাহেরের খুন সন্ত্রাসের কথা সারাদেশ জানে; জানে নুরুল ইসলামের খুনের কথা। রাষ্ট্রপতি একের পর এক যেভাবে খুনিদের পক্ষে যাচ্ছেন তাতে দেশে মহামান্য খুনিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। এখন খুনিদের উল্লাসের সময়।

উনিশে জুলাইকে খুনিদের উল্লাদের দিন হিসাবে ঘোষণা করা হউক। এর আগে রাষ্ট্রপতি গামা হত্যাকারীদের মাফ করেছেন। আমরা কোথায় যাব? হায় ঈশ্বর এই রাষ্ট্রপতির হাতে শুধু খুনিরাই নিরাপদ! ব্লগ এখন অনেক শক্তিশালী। মহাপরাক্রমশালী দৈনিক, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভিকারুননুননেছায় তারা সত্যের জয়গান গেয়েছে। আমাদের বিবেক জাগ্রত হউক।

আমরা আমাদের রাষ্ট্রের প্রধান পদটিকে কলঙ্কিত দেখতে চাই না। আমরা ঐ পদে অসীন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। আমরা বলতে চাই ঐপদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধানকর্মী তাজ উদ্দিন ছিলেন। আজ রাষ্ট্রপতি পদটি তার মর্যাদা হারিয়ে কতিপয় রাজনৈতিক খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। জিল্লুর রহমান আমাদের অসংখ্য আন্দোলনের সামনের কাতারের সৈনিক।

আজ তিনি বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। তিনি নিজ বিবেচনায় এতোবড় জঘণ্য কাজটি করতে না। তাকে তাঁর ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী কাজকর্মকে ধুলায় লুটিয়ে দেয়াকে সমর্থন করি না। তিনি আমাদের মনে চিরস্থায়ী আসনে থাকুক। এজন্য ঐ পদটি তার জন্য অতিরিক্ত ভারি হয়ে পড়েছে।

আমরা কোনভাবেই রাষ্ট্রপতিকে খুনির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে দেখতে চাই না। ঈশ্বর তুমি সদয় হও! একজন জাঁদরেল নেতা, সংগঠকের এমন পতন কেন দেখতে হচ্ছে। তুমি তাঁর হারিয়ে যাওয়া বিবেক জাগ্রত করে দাও। তাঁর হাতে যেন শুধু দেশই নিরাপদ থাকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.