আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েরা সচেতন হোন--১

আমার এ লেখা পজিটিভ উদাহরনগুলোকে উপেক্ষা করে নয়। কেবল বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে যা অনেকের জানা আছে বা জানেন। আমি আজ সে বিষয়গুলোই আলোচনা করব বা মনে করিয়ে দিব। ১. ভিকারুন নিসার নির্মম ও দুঃখজনক ঘটনা জাতির জন্য লজ্জাকর ও চিন্তার বিষয়। আমাদের নৈতিক অধঃপতন কত নিচে চলে গেছে ! আমরা আজ কতটা অসহায়।

কতটা অসহায় নিজের মান সম্ভ্রম টুকু রক্ষা করে চলতে পারছি না। মানুষরুপি হায়েনাগুলোর নির্মম শিকার আমাদের মা বোনেরা। ২.শিক্ষকরা জাতিকে গড়েন। তাই শিক্ষকদের মা বাবার পড়েই আমরা স্থান দেই। কিন্তু কেন আজ কিছু কিছু শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক জাতির মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে? তার কারন কিছুটা আমরা সবাই জানি।

সে বিষয়ে না গিয়ে আমারা কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে পারি তাই এখানে আলোচনা করা যাক। কারন ব্যক্তিগতভাবে আমরা কেউই এদের অসভ্যতা রুখতে পারব না। এরা রাজনৈতিকভাবে, ক্ষমতায়, পেশিশক্তিতে অনেক বেশি শক্তিশালী যা সমন্বিত প্রতিরোধ ছড়া সম্ভব নয়। কেবল কিছু সচেতনতাই পারে এসব অনাহত দুর্ঘটনা থেকে আমাদের বাঁচাতে। ৩.শিক্ষক হতে পারে প্রাইভেট টিউটর, কোচিং, স্কুল-মাদ্রাসা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ।

প্রাইভেট টিউটর নিয়োগের আগে সে কি করে, কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তার খোজ খবর নিন। পারলে পরিচিতদের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিন যারা আপনাকে খারাপ ছেলে দিবে না। এসব শিক্ষকের আচার আচরন পর্যবেক্ষন করুন। কারন এরা নৈতিকভাবে অনেক দুর্বল থাকে কিন্তু এরা অনেক ধূর্ত হয়। অভিভাবকদের উচিত তার ছেলেমেয়েদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা যাতে তারা যে কোন ঘটনা তারা বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করতে পারে।

শিক্ষক যদি কোন ধরনের যৌন বা শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরন করে তবে তা অভিভাবককে অতিসত্বর জানানো উচিত। আর ভাললাগা বা ভালবাসার ব্যাপার যদি এসেইু যায় তবে তাঁকে অন্ধভাবে ভাল না বেসে পর্যবেক্ষন করুন । সে কেমন কমিটমেন্ট রাখে তা লক্ষ্য করুন। যৌন বিষয়ে আগ্রহ দেখালে শতকরা নব্বই ভাগই পরিশেষ ভাল হয়না। যাই হোক এ বিষয়ে সচেতন হৌয়া উচিত আমাদের মা বোনদের।

৪. চরম সত্যকথা কেউ কেউ আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন, তা হলো- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীকে অধিকাংশ পুরুষ এখনো ভোগ্যপন্য মনে করে। আকাশ সংস্কৃতির এ যুগে প্রগতিশীল সমাজের নিচে অন্দকার তাই লুকায়ে আছে। শিক্ষকরাও মানুষ তারাও এদের উধ্বে নয়। কোন শিক্ষক যদি নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অন্য সময় দেখা করতে বলেন বা ওয়েট করতে বলেন বা যৌন বা অশ্লীল বিষয়ে আলোচনা করেন সেসব শিক্ষক বা তাদের কোচিং হতে বিরত থাকুন। তাদের চরিত্র সম্পর্কে খোজ খবর রাখুন।

বান্ধবিরা আলোচনা করুন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছদ্মনামে পরস্পর শেয়ার করুন আর আপনি যদি সিউর হন তবে তাকে তার কোচিংকে বর্জন করুন। শিক্ষকের পরিবার যদি বাইরে থাকেন তাহলে আরো বেশি সচেতন থাকুন কারন বাইরে থেকে সাধারন মানুষ শিক্ষকদের খুব শ্রদ্ধার চোখ দেখেন তাই স্বাভাবিকভাবে শিক্ষকদের কেউ সন্দেহ করেন না। ৫. এদের কিছু অস্ত্র হল-আজাইড়া ভাব জমানো, খোশ গল্প করা, ছবি তোলা (যা দিয়ে তারা কম্পিউটারের মাধ্যমে বিকৃত করে ব্লাক মেইল করতে পারে), পরার সময় ব্যতিত পরে আসতে বলা, ক্লাশের পরে দেখা করতে বলা, যৌন উত্তেজক কথা বলা, পরীক্ষায় ভাল নম্বরদেয়ার কথা বলা, প্রশ্ন পত্র ফঁাসের মাধ্যমে কিছু চাওয়া প্রভৃতি। কারন কোন সভ্য শিক্ষক এমন কোন আচরন করতে পারে না।

আর সম্মানের হারানোর ভয়ে এগুলো লুকিয়ে গেলে আরও সর্বনাশ হতে পারে আপনার। ৬. আর এদের শিকার একবার হয়ে গেলে বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে বিরত থাকুন বা বাবা মা , অভিভাবককে জানান অথবা আপনার কেউ যদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকেন তাকে জানান। তাহলে আপনাকে আর বারবার তাদের অত্যাচার সহ্য করতে হবে না। কারন এরা ব্লাকমেইল করে পরে যৌন ব্যবসা বা অর্থ দাবী বা নগ্ন কামনা চিতার্থ করতে পারে বা গ্রুপসেক্সও করতে পারে , তাই ঘটনার শুরুতেই সচতন হউন যাতে তা পুনরায় না হয় বা আপনি বেচে যেতে পারেন। আর অভিভাবকদের বলছি আপনারা এমন অবস্থায় আপনার সন্তানের পাশে থাকুন , তাকে মানসিকভাবে সাহায্য করুন।

৭. এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হও, পরস্পরের মাধ্যমে আলোচনা কর, অভিভাবককে জানাও, প্রেম বা যৌন বিষয়ে সচেতন হও, সামাজিক আন্দলোন গড়ে তোল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।