------------------------------ আমরা এক্স ভিকি অনেক fast দুনিয়ার ত্যাঁদড়। আমাদের নিয়ে মন্তব্যর শেষ নেই কারও। আমার লেখাটির নামকরন ও আমাদের বিষয় ২ টি মন্তব্য। কোনদিন ব্লগ লিখিনি কিন্তু নিজের মা আর বোন যখন গালি খায় অসহায় অবস্থায় পরে তখন মনে হয় আর চুপ থাকা যায় না।
আমাদের আম্বিয়া আপা মনে আছে উনার সামনে পরে গেলে ভয় মিশ্রিত শ্রধায় মাথা নত হয়ে আসত।
৩৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। বোরখা পরেন সাদাসিধা এবং সজাসাপ্তা মানুষ । আমাদের স্কুল এর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষক ছাত্রিদের চাপের মুখে রাজি হয়েছিলেন অধ্যক্ষা হতে। সবাই কেক কেটে আনন্দ করেছিল উনি তখন সবার সাথে ছিলেন, সেইই ছিল তার কাল। শুনলাম স্কুল এর সামনে তার বিরুধে পোস্টার , তিনি মৌলবাদী ।
কেউ বোরখা পরলে মৌলবাদী হয়কি? আর উনি ত কোন দিন স্কুল এ আমাদের মৌলবাদ শিখান নি অঙ্ক শিখিয়েছেন। দেশ , আমাদের স্কুল এর যত বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্রি নিয়ে গর্ব করে অধিকাংশ ই আম্বিয়া আপার হাত এ গড়া । আমরা উনাকে নিয়ে গর্ব বোধ করি। আমারা আম্বিয়া আপাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র হতে দেবনা । শুধু আম্বিয়া আপা ই কেন আমাদের স্কুল আমাদের জন্য পবিত্র ভুমি আমরা আমাদের স্কুল এর গায়ে কোন দাগ লাগতে দেব না।
আমাদের ভিকারুন্নিসা স্কুল এর একটা গ্রুপ আছে ফেসবুক এ সেখানে দেখলাম একজন অসুস্থ নরকের কীট মন্তব্য করেছেন এক হাত এ তালি বাজে না । আমরাতো ভিকি বাংলাদেশের কলঙ্ক । তো ভাই কীট , আপনার পবিত্র পরিমল দাদা তার চোখ এ বোরখা পরে থাকতে পারলেন না? আমাদের খারাপ বোনটি যখন তার সামনে অশালিন কাপড় পরে পড়তে গেল তিনি বাসা থেকে বের করে দিলেন না কেন? আর তালি যেহেতু এক হাত এ বাজে না সেই ক্ষেত্রে হাত বেঁধে ভিডিও করতে হল কেন? আমাদের বোন টির হাত ২টা খোলা থাকলে তালি বাজাতে সুবিধা হতনা? নাকি আপনারা শুধু মাত্র নিজের মর্জিতে নিজের ২ হাত দিয়েই তালি বাজাতে বেশি পছন্দ করেন ? অসহায় দুটি হাত যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই জন্য বেধে নিতে হয়। আমরা ভিকি চুপ করে থাকতে আমাদের মা রা আমাদের শেখান নি তাই ভয় দেখাতে ভিডিও করে রাখতে হয় যেন পরবর্তীতে ওই ভিডিও প্রকাশ এর হুমকি দিয়ে আরো ফায়দা লোটা যায় । আপনাদের মত নরকের কীট এর কথায় আমাদের কিছু যায় আসে না।
আমরা আছি আমরা থাকব এবং বাংলাদেশ এর গর্বিত সন্তান হিসেবে মাথা তুলে এ বাঁচব।
লেখার শুরুর দিকে আপনাদের মত মন্তব্যকারী দের ভাই সম্বোধন করেছিলাম কারন টা বলে দেই, কারন আসলে আপনাদের মত মানুষ গুলো ই অতি দুঃখ জনক ভাবে আমাদের ভাই, বাবা, চাচা কিংবা আমাদের স্বামী । আপ্র্নারা বিকেল এর আড্ডায় , রাত এ খাবার টেবিল এ, বিভিন্ন পত্রিকার মন্তব্য কলাম এ, ব্লগ এ নানা মন্তব্য করেই চলেছেন। গোঁদের উপর ক্যানসার এর মত ফেসবুক ত আছেই । ইচ্ছা মত যা খুশি তাই বলে চলেছেন কোনদিন চিন্তা করেছেন কি মেয়েটা আপনার অসুস্থ মস্তিস্কের বিকৃত চিন্তায় না পাওয়া ভিকি মেয়ে টি না হয়ে আপনার বোন হতে পারত? কিংবা আপনার মায়ের জীবনেও এমন ঘটনা ঘতে থাকতে পারত?
অনেক কথা বলে ফেললাম আরো এক্তা কথা বলার ধৃষ্টতা করছি।
হ্যাঁ আমরা ভিকি। এবং আমরা কি জিনিষ সেটা বুঝা এত সোজা না। আমাদের স্কুল কারও পিতা বা স্বামীর সপ্ন না । এটা আমাদের পবিত্র ভুমি। আমাদের স্কুলএর বিরুধধে কোন ষড়যন্ত্র হলে সবার আগে এই এক্স ভিকি দের দেয়াল পার হয়ে তবেই আমাদের পবিত্র ভুমি তে পা ফেলতে হবে।
আম্বিয়া আপার মত মায়েরা আমাদের তৈরি করেন দেশ এর নাম দুনিয়ার বুকে উজ্জ্বল করার জন্য ধর্ষিত হবার জন্য কিংবা ধর্ষিত হয়ে চুপ করে থাকার জন্য নয়।
সব শেষে আমার সেই আপুটি যে অপরিসীম যন্ত্রণা আর লাঞ্ছনা সহ্য করেছ। তোমার কষ্টর বিন্দু পরিমান উপলব্ধি করার সাধ্য আমাদের নেই। কিন্তু আমরা আছি। আমরা সবাই এক পরিবার আমরা চুপ করে থাকব না।
চোখ বন্ধ করে থাকব না। আমাদের আনন্দলোকে মঙ্গলের আলো একদিন আসবেই। সত্য আর সুন্দর অবশ্য ই বিরাজ করবে আমাদের গড়ে তোলা আকাশী পবিত্রভুমি তে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।