আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কতিপয় মৌলবাদী..এবং আলপিন..

সুন্দরের কাছেই সব দায় ভার

প্রথম আলোর কার্টুনকে কেন্দ্র করে যে লংকা কান্ড হলো তা সত্যিই দুঃখ জনক। এই কার্টুনে উল্লেখিত নামের প্রথমে মুহাম্মদ(সাঃ) এর নাম সংযোজন নিয়ে যে কৌতুকটি প্রকাশিত হয়েছে তা কি আমাদের হুজুগে ধার্মিক এবং হালকা মেজাজ ও পাতলা আবেগি মোল্লারা ভাল ভাবে পড়েছেন?? আমি কৌতুকটির অল্প একটু ব্যাবচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি...... প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে নামের প্রথমে মুহাম্মদ(সাঃ) এর নাম সংযোজনের ইসলামী জীবন যাপনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? তারপর জানতে হবে কার্টুনে কাকে নিঁচু দেখানো হয়েছে বা অপমান করা হয়েছে। আপনারা যারা ইসলামী শরীয়তে নামের গুরুত্ব বিষয়ক হাদিস পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন হাদিসে উল্লেখিত সর্বত্তম নাম হলো আব্দুর রহমান এবং আব্দুল্লাহ। এছাড়াও নামের সাথে মুহাম্মদ(সাঃ) এর নাম শুরুতে বসাতে হবে অথবা না বসালে তা কোন ইসলামী নাম হবে না এমন প্রমান কুরান হাদিসের কোথাও পাওয়া যায় না। এমন কি ইসলামী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সন্মানিত সাহাবায়ে আজমাইন এবং খুলাফায়ে রাসেদিনদের নামের শুরুতেও মুহাম্মদ(সাঃ)এর নাম নেই।

যেমন- হযরত আবু বকর, ওমর,আলী (রাদিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুমা)এমনকি বিশ্ব বিজয়ী বীর গাজী সালাউদ্দিন আয়ুবীর নামেও মুহাম্মদ(সাঃ)এর নাম প্রথমে শেটে দেয়া ছিল না। তবে মুহাম্মদ(সাঃ)এর নাম যেহেতু একটি অতি সন্মানিত এবং সুন্দর অর্থপূর্ণ নাম তাই এর সংযোজন ধর্মীয় নয় বরং ধর্মীয় আবেগময়। তাহলে দেখা গেল মুহাম্মদ(সাঃ)এর নাম আমাদের নামের প্রথমে যুক্ত করা ধর্মীয় নয়। এরপর দেখি কৌতুকটিতে কী দেখানো হয়েছে? "নাম" শিরোনামের বিতর্কিত কৌতুকটি নিন্মরুপ: বয়ষ্ক লোক: এই ছেলে তোমার নাম কী? ছোট ছেলে: আমার নাম বাবু বয়ষ্ক লোক: নাম বলার আগে মুহাম্মদ বলতে হয় বয়ষ্ক লোক:তোমার বাবার নাম কী? ছোট ছেলে: মুহাম্মদ আবু বয়ষ্ক লোক: তোমার কোলে এটা কী? ছোট ছেলে:মুহাম্মদ বিড়াল এখানে বয়ষ্ক লোকটির যে চরিত্র তা হলো একজন অতি স্বল্প এবং ধর্ম সম্পর্কে ভূল জানা মানুষের। আর ছোট ছেলেটি যেহেতু বয়সে ছোট স্বাভাবিক কারনেই তার জ্ঞান বা বোধের পরিপক্কতা একেবারেই অসম্ভব।

তাই নির্বোধ লোকটি যখন ছোট ছেলেটিকে নাম বলার পদ্ধতি বা তরিকা শিখাচ্ছিলো। সে এ কথা বলেনি যে মুসলমানদের নামের শুরুতে বা যার নাম মুহাম্মদ দিয়ে শুরু সেই নামে মুহাম্মদ বলতে হয়। বরং নির্বোধ লোকটি নামের শুরুতে(শিশুটির কাছে সকল নামের শুরুতে ) মুহাম্মদ বলতে হয় শিখালে ছেলেটি তার প্রিয় বিড়াল ছানাটির নামেও মুহাম্মদ যোগ করে বললো। এ কৌতুকটির দুটি শিক্ষা রয়েছে.. এক. নির্বোধ এবং জ্ঞানান্ধ অথবা ধর্মান্ধ লোকেরা ভূল তথ্য ছড়িয়ে বেড়ায়। ( নামের শুরুর মুহাম্মদ যে ইসলামী নামে অপরিহার্য নয় তা নির্বোধ লোকটি জানতো না) দুই. কমলমতি শিশুদের ভূল শিক্ষা দিলে তারা অনেক অযৌক্তিক এবং বড় ভূল করে ফেলে যা সত্যিকার অর্থেই মারাত্নক।

(লোকটি শিশুটিকে দুটি ভূল তথ্য শিখিয়েছিল এবং তার জন্য সে বড় একটা ভূল করেছিল। প্রথমত. নামের শুরুতে মুহাম্মদ বসানোর বাধ্যতার ভূল। দ্বিতীয়ত. মানুষের(মুসলিমদের)নামের শুরুতে যে মুহাম্মদ বসে তাও শেখানো হয়নি ছেলেটিকে। তাই দ্বিতীয়বার যেন ধমকের মুখে পরতে না হয় সে জন্যে সে তার বিড়ালের নামের শুরূতেও মুহাম্মদ বসিয়েছিল। তাই এ ভূলটি আমাদের সকলের যারা আমরা শিশুদের ভূল শিক্ষাচ্ছি।

) তাহলে প্রিয় পাঠক এটা কী মুহাম্মদ (সাঃ)এর অপমান না অল্প জ্ঞানী নির্বোধ লোকদের অপমান???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।