আমি মৌলবাদী নই। তবে ধর্মভীরু।
বাংলাদেশ কী মুসলমান শূন্য মনে হয়। দেশ স্বাধীনের সময় কী এদেশে মুসলমান ছিল না। নাকি অসামপ্রদায়িক চেতনার লোকজন শুধু দেশটাকে স্বাধীন করেছে।
যদি ওই সময় দেশে মুসলমান থেকে থাকে তাহলে নারী নীতিমালা নিয়ে কথা বা প্রতিবাদ করার হক এদেশরে জনগনের আছে। টুপিওয়ালা মানেই কী যুদ্ধপরাধী। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় একটু ধর্ম ভীরু। তাই বলে তাদের মৌলবাদী তথা কথিত সন্ত্রাসবাদী বলা শতভাগ উচিত নয়। স্বল্প কিছু লোকের জন্য গোটা টুপিওয়ালা লোকগুলোকে একইভাবে আচারণ করা ঠিক হবে না।
আপনারা কী জানেন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক দেশপ্রেমিক লোক ধর্মভীরুতার কারণে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তাহলে আমাদের গর্ব এই মুক্তিযোদ্ধাদেরও কী আপনারা যুদ্ধ অপরাধী বলবেন।
ব্লগার সর্তিথরা বলতে পারেন হঠাৎ এ কথা কেন? নারী নীতিমালা নিয়ে সমপ্রতি ঢাকায় ঘটে যাওয়া ইস্যু করে আবারো এধরণের কথা শুরু হয়েছে তাই। আপনাদের কী মনে হয় নারী নীতিমালা সর্ম্পকে ইসলাম ধর্মে বিশদ বিবরণ নাই। ইসলাম ধর্মে নারীদেরকে যথেষ্ট সম্মান প্রর্দশন করা হয়েছ্ে দেয়া হয়েছে তাদের প্রাপ্য অধিকার তাহলে বিভেদ কোথায়।
যারা নিজেদেরকে অসামপ্রদায়িক বলে দাবি করেন, তারা একটি বিশেষ ধর্মের অনুশাসনের প্রতি পরোক্ষভাবে আকৃষ্ট। সেখানে বেহাল্লাপনার সর্বশেষ স-রের যাওয়া সম্ভব । যেটা ইসলাম সর্মথন করে না। সেই বিশেষ ধর্মটিতে নারীদের অধিকার বলতে কিছু দেয়া হয়নি। সেখানে তারা কেবল ভোগের সামগ্রী মাত্র।
অসামপ্রদায়িক চেতনার লোকজনতো কখনও তাদের অধিকার নিয়ে মাতামাতি করেন না। যেখানে নারীদের অধিকার সর্ম্পকে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আছে, যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে নারীদের ভোগ্য পন্য বানানো সম্ভব নয় সেখানেই এই অসমপ্রদায়িক লোকগুলো মহান হতে চেষ্টা করে। আর যারা এ অন্যায়কে বাঁধা দেয় তারা মৌলবাদী বলে আখ্যা পায়। ঢাকার যারা নারী নীতিমালার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে, ইট ছুড়েছে তাদের বয়স কত? তারা কী দেশ স্বাধীনের সময় বিরোধীতা করেছিল। এমন প্রমান কী আপনাদের হাতে আছে।
তারা মৌলবাদের মূল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আমার মনে হয়। আমার মনে হয় আপনারা জানেন মৌলবাদ কথাটার উৎপত্তি কোথা থেকে। এ কথার উৎপত্তি হয় খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে। যিশু’র মৃত্যুর পর যারা তার দেখানো পত আকড়ে পরে ছিল তখন তাদের মৌলবাধী বলা হত। তার অর্থ এমন যে মূলকে আকড়ে ধরে থাকা হচ্ছে মৌলবাদিতা।
এখন যারা আন্দোলন করছে তারা ইসলামের মূল আকড়ে ধরে আন্দোলন করছে। আপনারা বলতে পারেন পুরানকে আকড়ে ধরে কুসংস্কারের পরিচয় দেয়া হচ্ছে। তাহলে সেটা ভুল। কেননা ইসলাম সবসময়ের জন্য আধুনিক এবং পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এটা সর্বজন স্বীকৃত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।