আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদকের মা ধূমপান; আসুন সমাজকে করি ধূমপান মুক্ত

কিছুই লিখতে পারিনা। পুরাই বকলম বলতে পারেন। শুধু পোস্ট পড়তে আসি। সামুতে ঢুকলে যে কিভাবে সময় পার হয়ে যায়। সবাই এত ভাল লিখে দেখে মনে হয়, আহা আমিও যদি এদের মত লিখতে পারতাম বাংলাদেশে যেভাবে মাদকের নেশায় তরুন সমাজ জর্জরিত হচ্ছে এবং এটা অবশ্যই আতঙ্কিত হওয়ার মতো একটা বিষয়।

নেশায় বুঁদ থাকাকে আজকাল ফ্যাশন স্টাইল মনে করা হয়। ভার্সিটির গ্যালারীতে গেলে একধরনের ভয়াবহ দৃশ্যই দেখা যায়, যেভাবে ছেলে মেয়ে সমানে সিগারেট খায় মনে হয় জীবনে এরচে মজার জিনিষ কোনদিন জীবনে খায়নাই। বুজুর্গ মুরুব্বী অভিভাবকরা যতই উপদেশ দিকনা কেন আমরা সেগুলা এক কান দিয়ে ঢুকাই আরেক কান দিয়ে বের করি। সুতরাং আমার মনে হয় তরুন সমাজ যদি নিজে থেকে এগিয়ে যায় মাদকের বিরুদ্ধে হয়ত বাকি তরুণরাও সেটাকে ভালভাবেই গ্রহন করবে। আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছি মাদক নিয়ে কিছু লিখব; আজ থেকে শুরু হল মাদক বিরোধী আমার যাত্রা।

আমার কাজ লিখা আপনাদের কাজ ছড়িয়ে দেয়া। জানবি না মাদকের অপকারিতার কথা? জোর করে জানাবো; ঘাড় ধরে জানাবো; জানতেই হবে। ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে মাদক থেকে। মাদকের শুরুটাই হয় সিগারেট থেকে, নেশার বীজ বলা যায়, আস্তে আস্তে চারা গজায় গাছ হয় ডালপালা ছড়ায় ছিটায় দেয়। সিগারেটকে বলা হয় মাদকের মা।

সিগারেটে ক্ষতিকর যা কিছু আছে সে সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে। দেখা গেছে, মাদকের ভয়াল ছোবলে যারা আক্রান্ত, তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে ধূমপানের মাধ্যমে এ পথে এসেছে। সুতরাং ধূমপানকে কোনোক্রমেই হালকাভাবে দেখা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ৫৭ হাজার মানুষ। পঙ্গুত্ব বরণ করে তিন লাখ ৮২ হাজার।

মরবেন নাকি পঙ্গু হয়ে থাকবেন ডিসিশন নিয়ে নেন। এটি ২০০৪ সালের হিসাব, কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে। সর্বপ্রথম নীরব ঘাতক এই নেশাদ্রব্য থেকেই সবাইকে সতর্ক থাকতেই হবে। এখন কীভাবে ছাড়বেন সেটি আপনার প্রশ্ন। আপনি নিজেই ধূমপান শুরু করেছেন, ছাড়ার প্রধান দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই।

সব সময় সচেতন থাকতে হবে। ধূমপান না করার জন্য তীব্র ইচ্ছা পোষণ করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারসহ আত্মীয়স্বজন সবার সামনে ধূমপান না করার ঘোষণা দিতে হবে। তাতে ধূমপান ছাড়ার জন্য নিজের মধ্যে অতিরিক্ত দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। যে পরিরেশে গেলে ধূমপানের আশঙ্কা থাকে, সেসব পরিবেশ বর্জন করতে হবে।

হঠাৎ ছয় মাস, এক-দুই বছর ভালো থাকার চেষ্টা করলাম, বিষয়টি তা নয়। এটি একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, সারা জীবন ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি আপনাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কিছু ভালো মানুষ আপনার পাশে থাকতে হবে। একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যত ভয়ংকর মাদক হোক বা ধূমপান হোক, কোনো মানুষ যদি নিজ থেকে ছাড়ার ইচ্ছা পোষণ করে, তাহলে এটা নিশ্চিত যে সে ছাড়তে পারবেই।

আজকাল বিশেষ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। এ ওষুধ তিন-চার মাস খেলে ধূমপানের নেশা চলে যায়। এ ছাড়া নিকোটিন গাম পাওয়া যায়—এটা খেলে ধূমপানের নেশা থাকে না। তবে নিকোটিন গাম খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আচ্ছা সব বাদ; ধর্ম মানেন? তাইলে পবিত্র কুরআনের আয়াত টা পড়েন, “পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদের যা জীবিকা হিসেবে দিয়েছি, তোমরা তা আহার কর।

”(সুরা তাহা :৮১) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।