আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদকের এ কি অবস্থা (যা আমি চোখে দেখিনি তা খেয়েছি)।



অফিসের কাজ করতে করতে আমি একেবারে কাহিল। কিন্তু মন চাচ্ছিল ঢাকার বাইরে কোথার থেকে ঘুরে আস্তে। জল না চাইতেই পানির মত চলে এলো অফারটা। আমার এক অন্তরংগ বন্ধুর বিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে ২৫শে ডিসেম্বর। তাদের বাড়ি যশোরের বেনাপোলে।

আমি ও আমাদের আর এক বন্ধু বৃবস্পতিবার অফিস করে বাসের টিকেট কাটলাম। বাস ছাড়বে রাত ১২.০০ টায়। কিন্তু সেই বাস ছাড়লো রাত ১.০০টায়। বাসে উঠেই দিলাম এক ঘুম আর যখন ঘুম ভাংলো তখন আমি বেনাপলে আর তখন সময় সকাল ৭.০০টা। যাই হোক বাস থেকে নামলাম।

আমাদের বন্ধু তারেক তার আর এক স্থানীয় বন্ধুকে দিয়ে এক হোটেলে আমাদের জন্য আগেই রুম বরাদ্দ করে রেখেছে। সে জানাল বিয়ের বাড়িতে অনেক লোকজন সেখানে তোমাদের কস্ট হবে ভেবে তারেক এই ব্যবস্থা করেছে। অবশ্য তারেকের বাড়ি আর আমাদের হোটেলের দুরত্ত্ব খুব বেশী নয়। ১ কিঃমঃ হবে হয়তো। প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে বুজলাম তারেক খারাপ কিছু করে নাই।

হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে গেলাম তারেকের বাড়িতে। তারেক বলল দোস্ত বাসর বা গাড়ি কোন্টাই সাজানো হয় নাই। তাই তোরা যদি একটু হেল্প করিস তাহলে হয়ে যাবে। সে আমাদের সাথে আরো ৫-৬ জন লোক দিলো। তাদেরকে নিয়ে গাড়িটা মোটামুটি সাজালাম।

বাসর ঘর আর আমাকে সাজাতে হলো না দেখী তার আর কিছু স্থানীয় বন্ধুরা এটা করে ফেলেছে। তারপর আমরা তারেককে বললাম দোস্ত তোরা কমিউনিটি সেন্টারে চলে আয় আমরা হোটলে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে তারপর যাব সোজা কমিউনিটি সেন্টারে। আমরা হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ভাল জামা কাপড় পড়লাম শুনেছি তারেকের সুন্দরী এক স্যালিকা আছে। যদি লাইগা যায়। গেলাম কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখি তারেকরা আগেই চলে এসেছে।

গিয়ে আমরা ঠিক তারেকের চারপাশে বসলাম। আমার চোখ শুধু তারেকের শ্যালিকাকে খুজছে পেয়েও গেলাম তারপর …………………….. খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করার পর তারেকের বন্ধু ইকবাল আমাদের বলল আপনারা আজ যা যা খেতে চাবেন তাই পাবেন। আমি কথার অর্থ ভালো ভাবে বুজতে পারি নাই। আমার বন্ধু যোবায়ের বলল হ্যা এখন আমরা কল্কি খাব। তারপর কমিউনিটি সেন্টারের ছাদে বসে শুরু হলো কল্কির টান।

আমার প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে আস্তে আস্তে ভালো লাগতে লাগলো। আমি ইকবালকে বললাম এটা দিয়ে হবে না আর কি আছে। পরে গেলাম তার সাথে একটা ছোট্ট বাড়িতে। আমাদেরকে দেখে তারা প্রথমে মনে করছে পুলিশ বা গোয়েন্দা কিনা। পরে যখন বুজলো না আমরা আসলে তাদের ক্লায়েন্ট তখন আমাদেরকে ২ বোতল বের করে দিলো।

খেলাম কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া হোল না। ইকবাল বলল দস্ত অনেক চিনি দিয়ে একটা চা খাও তারপর দেখবা ভাল লাগবে। চা খাওয়ার পর বুজলাম মাথার ভিতর ঝিন ঝিন করছে। তারপর ইকবালকে বললাম দস্ত বাংলা ছিনেমায় দেখি নায়ক বউ হারিয়ে মদ খেয়ে গভীর রাতে বাসায় এসে আবল তাবল বলছে। আমার এখন সে রকম করতে ইচ্ছা করছে।

তাহলে আমার কি খেতে হবে সে বলল বাংলা খেতে হবে। বললাম খাব তুই খাওয়া। সে আমাকে বাংলা খাওয়ালো। কিন্তু এবারও কোন প্রতিক্রিয়া নাই। মনে মনে বললাম ধুর গুস্টি কিলাই মাদকের।

আজ সকালে ফিরলাম ঢাকায়। আর মনে মনে ভাবছি মাদকের এ কি অবস্তা। আপনি মনে মনে চাইলেই তা পেয়ে যাবেন চোখের সামনে। পুরা বেনাপোল মাদকের কারখানা। এই সকল মাদকের উতস হচ্ছে ইন্ডিয়া।

সেখান থেকেই আসে এ সকল মাদক দ্রব্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।