আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গনজাগরন মঞ্চ

গনজাগরন মঞ্চের আজকের সমাবেশকেও প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল চট্টগ্রামে গনজাগরন মঞ্চের শাহবাগের উদ্যোক্তারা যোগ দেয়ার কথা থাকায় হেফাজতে ইসলাম ওইদিন সকাল সন্ধা হরতালের ডাক দেয়। যে কোন ধরনের নাশকতা এড়ানোর জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী ১৪৪ ধারা জারি করলে গনজাগরন মঞ্চ তাদের কর্মসুচীকে স্ধগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম হরতাল প্রত্যাহার করে। আজকে সাভারে গনজাগরন মঞ্চের পুর্বঘোষিত কর্মসুচিকে হেফাজতে ইসলাম যেকোন মুল্যে প্রতিহত করবে বলে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে চলে আসা আন্দোলন মুলত কাদের মোল্লার রায়ের পর গড়ে উঠেছিল।

সাধারন মানুষ এবং শখানেক ব্লগাররা রাস্তায় নেমে পড়েন এবং শাহবাগ আন্দোলন শুরু করেন, দেশবাসির মনে সন্দেহ ছিল জামাত-আওয়ামিলীগের আতাতের কারনে হয়ত এই প্রহসনের রায়টি দেয়া হয়েছে। তাই তারা এই রায়কে প্রত্যাখান করে এবং সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাসীর দাবি করে। শুরুতে ১দফা ১ দাবি থাকলেও পরবর্তিতে দাবির সংখ্যায় জামাত-শিবির এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে গনজাগরন মঞ্চের অবস্থানের কারনে ধীরে ধীরে জনসমর্থন হারানো শুরু করে শাহবাগ। বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো এবং ধর্মপ্রিয় সব মানুষ প্রথম অবস্থায় তাদের পক্ষে থাকলেও পরবর্তিতে তাদের পক্ষ ত্যাগ করে।

পরবর্তিতে ১৭ ফেব্রয়ারী ২ সপ্তাহ ধরে চলা দিনরাতব্যাপী এই আন্দোলনের কর্মসুচীকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত আসতে না আসতেই রাজিব হায়দার ওরফে “থাবা বাবা”খুন হন। কোন ধরনের তথ্য-প্রমান ছাড়াই জামাত শিবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে গনজাগরন মঞ্চ তাদের আন্দোলনকে আগের মত সারাদিন চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে ফিরে আসেন এবং রাজীব হায়দারকে এই আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যাক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২য় মুক্তিযুদ্ধের ১ম শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর বেরিয়ে আসে কিছু অজানা তথ্য। ব্লগজুড়ে তার এবং আরো অন্যান্য নাস্তিক ব্লগারদের চরম ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের কুৎসিত বাক্যালাপ ইনকিলাব,আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সাধারন মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এইসব ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্র শাহবাগ আন্দোলনের সাথে সক্রিয় হওয়ার কারনে ইসলামীক দলগুলো পুর্বের ক্ষোভ(ইসলাম রাজনীতি নিষিদ্ধ) এর সাথে নতুন ইস্যুতে আন্দোলনে নামে। যার ফলাফলে হেফাজত ইসলাম ১৩মার্চের সমাবেশটি পন্ড করে এবং যেখানেই শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের লোক দেখবে সেখানেই প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়। গনজাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান সরকার হেফাজতে ইসলামের সাথে সংলাপ করার আহবান জানালেও তারা সে আহবানে সাড়া দেননি। তাদের মতে নাস্তিক মুরতাদদের সাথে কোন ধরনের সংলাপ বা আপষে তারা যেতে চান না। অন্যদিকে গনজাগরন মঞ্চের দাবি, তাদের আন্দোলন কোন ধর্মের বিরুদ্ধে নয়।

তারা ১টি দাবি নিয়েই আন্দোলন করছে এবং সেটি হচ্ছে সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাসী নিশ্চিত এবং জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। শাহবাগ আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখা গেছে যে,বর্তমানে তারা রাজীব হায়দারকে শাহবাগ আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তি হিসেবে স্বীকার করছেন না। সে খুব কম সময়ই আন্দোলনে ছিল আর সে খুন হওয়ার দিন সে আন্দোলনে আসে নি। আর গনজাগরন মঞ্চের দাবী থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী হঠাৎ করেই হাওয়া হয়ে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা ইসলামপন্থী দলগুলো গনজাগরন মঞ্চের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী তোলার কারনে এবং রাসুলকে অপমান করার ইস্যুতে তারা শাহবাগের বিরুধীতা করছেন।

তবে ডাঃ ইমরান পরবর্তিতে আবারো সংলাপে বসার ব্যাপারে আশাবাদী। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৫৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.