আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি কি জানেন সাউন্ড স্পিকারে কিভাবে শব্দ তৈরি হয়

আগুনের কথা বন্ধুকে বলি,দুহাতে আগুন তাড়,কারবালা হয়ে খসে পড়া ফুল রক্তের চেয়ে গাঢ় গত কয়েকদিন ধরে একটা কৌতুহল হচ্ছিল, সাউন্ড স্পিকার কিভাবে কাজ করে? ছোটবেলা স্পিকার ভেংগে কত চুম্বক বের করেছি, শুধু আমি না অনেকেই হয়ত করেছেন,বিভিন্ন এক্সপ্রিরিমেন্ট করেছেন। এমনি জানতাম যে সাধারণ দন্ড চুম্বকের দুই প্রান্তে দুই মেরু কাজ করে কিন্তু গোলাকার চুম্বকের দুই প্রান্ত যে কিভাবে থাকে তা কিছুতেই মাথায় ঢুকত না। যাই হোক হালকা একটু পড়াশোনা করার পর জানতে পারলাম লাউড স্পিকার কিভাবে কাজ করে। তো যারা জানেন স্পিকার কিভাবে শব্দ উৎপন্ন করে তারা তো জানেনই আর যারা জানেন না তাদের জন্য নিচে স্পিকারের মেকানিজম শেয়ার করলাম। মেকানিজম বুঝতে হলে আমাদের এর ভেতরের মূল অংশগুলোর সাথে পরিচিত হতে হবে।

আসুন দেখি এর ভেতর কি কি অংশ থাকেঃ *পার্মানেন্ট ১টা ম্যাগনেট *টপ প্লেট *মেটাল বাস্কেট *ভয়েস কয়েল *স্পাইডার *সারাউন্ড,কোণ এবং *ডাস্ট ক্যাপ । সাউন্ড উৎপন্ন করার মেকানিজম আর কিছুই না স্পিকারের কালো পর্দার নিচে একটা একটা অস্থায়ী ও একটা স্থায়ী চুম্বকের মধ্যে আকর্ষণ ও বিকর্ষণের ফলাফল। অস্থায়ী চুম্বকটা হল ভয়েস কয়েল আর স্থায়ী চুম্বকটা হল এর গায়ে লাগানো কালো গোলাকার চুম্বক যার মাঝখানের ফাকা জায়গায় ভয়েস কয়েলটি লাগানো থাকে। মূলত ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষণ-বিকর্ষণে স্পিকারের পর্দা কাপাকাপির কারণে সামনের বাতাসে কম্পন সৃষ্টি হওয়ার ফলে আমরা স্পিকার থেকে ভেসে আসা শব্দ শুনতে পাই। স্পিকারের ভেতরের গঠনটা অনেকটা এরকমঃ পার্মানেন্ট ম্যাগনেটের একপাশে পোল পিস ও অন্যপাশে টপ প্লেট যুক্ত থাকে।

টপ প্লেটের গায়ে একটি চাকতি বা্ মেটাল বাস্কেট গ্লু দিয়ে লাগানো থাকে এবং ম্যাগনেট ও টপ প্লেটের মাঝে যে হোল(গর্ত) থাকে তার মধ্যে ভয়েস কয়েল(প্যাচানো তারের কুন্ডলী) বসানো হয়। তারপর ভয়েস কয়েলের সামনের অংশ হলদে বা লালচে স্পাইডার ও তার উপরে কালো কোণের মত পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঐ কালো পর্দার মাঝখানে দেখবেন একটা গোল উচু অংশ (নিচের চিত্রের মত) থাকে যাকে ডাস্ট ক্যাপ বলে। যখন ভয়েস কয়েলের ভিতর দিয়ে ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হয় তখন তা অস্থায়ী ম্যাগনেটিক ফিল্ড লাভ করে। কয়েলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ইলেকট্রিসিটি অল্টারনেটিভ বা AC current হওয়ায় এর প্রান্ত নির্দিষ্ট সময় পরপর এটি একবার পজেটিভ ও একবার নেগেটিভ চার্জ লাভ করে অর্থাৎ ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন ঘটে।

ভয়েস কয়েলের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের এরূপ পরিবর্তনের ফলে তা এর সাথে সন্নিবেশিত গোলাকার পার্মানেন্ট ম্যাগনেটের ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারা পর্যায়ক্রমে আকর্ষিত ও বিকর্ষিত হয়ে সামনে পিছনে যাওয়া-আসা অথবা ভাইব্রেট করে। যার ফলে ভয়েস কলের সাথে লাগানো কালো পর্দাও ভাইব্রেট করে। একটু হালকা জোরে গান ছেড়ে স্পিকারের পর্দার উপর হাত রাখলেই ভাইব্রেশনটা আশা করি টের পাবেন। এই ভাইব্রেশনের কারণেই স্পিকারের সামনের অংশের বাতাস আন্দোলিত হয় এবং শব্দের সৃষ্টি হয়। আর এভাবেই ইলেকট্রিক সিগন্যালের শব্দ শক্তিতে রূপান্তর ঘটে।

লাউড স্পিকারের মেকানিজম তো বুঝলাম তবে এবার ফুল ভলিউমে একটা গান শোনা হয়ে যাক কি বলেন?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.