আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তানে শেষ হল নির্বাচনী প্রচারণা

বৃহস্পতিবার একটি নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলি হায়দার অপহৃত হয়েছেন। আলি হায়দার পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাকে মধ্যাঞ্চলীয় মুলতান শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গিলানি জানিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে প্রার্থীরা জনগণের উদ্দেশ্যে আবেগঘন বিভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর প্রধান নওয়াজ শরিফ বৃহস্পতিবার লাহোরে নির্বাচনী শেষ সমাবেশে বলেন, ‘আপনারা যদি আমাদের ৫টি বছর সময় দেন তবে আপনারা দেখতে পাবেন আমরা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম।

’ এবারের নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পুনর্বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে নওয়াজ অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিপক্ষ (বিগত সরকার) জাতির সম্মান বিক্রি করে দিচ্ছে। কিন্তু তার দল সেই কাজ করবে না। সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এক নির্বাচনী সমাবেশে মঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ইসলামাবাদের এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

তিনি আবেগঘন ভাষায় দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘নতুন পাকিস্তান গড়ে তোলার আগে খোদা আমাকে পৃথিবী থেকে নেবেন না। ’
ইসলামাবাদের অদূরে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) বড় সমাবেশ করে। দলটির চেয়ারম্যান সাবেক নিহত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোও ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘বেনজির জাতির জন্য, মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং এই সংগ্রামকে সফল করার জন্য আত্মদান করেছেন। ’
তিনি আরো বলেন, ‘এবং আমার বাবা প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি জীবনের ১০ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

তিনি সবসময় বলতেন, পাকিস্তানই আমাদের অগ্রাধিকার। এখন সেই অঙ্গীকার পূরণই আমাদের দায়িত্ব। ’
এবারের নির্বাচন তালেবান গোষ্ঠীর বিভিন্ন হামলা এবং হুমকির ফলে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। তালেবান হুমকির কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় সশরীরে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। এমন কি তিনি দেশ ছেড়েই চলে গেছেন।


ধর্মনিরপেক্ষ অনেক প্রার্থী তাদের প্রচারণাই চালাতে পারেননি। এমন কী নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের সময়ও তারা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
তবে তালেবানের এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শনিবার অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনা সমাবেশ ও কার্যালয়গুলোতে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে তালেবান।


তালেবানের হামলার আশঙ্কায় প্রধান তিনটি দলের প্রার্থীরা বড় ধরনের সমাবেশ করতে পারেননি। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণার পাশাপাশি ঘরে বা রাস্তার কোনায় ছোট পরিসরে সমাবেশ করতে বাধ্য হয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.