আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপহরণ (Science Fiction)

সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাসায় ফিরে দেখি মিথুন মন খারাপ করে বসে আছে। আমাকে দেখেই দৌড়ে এসে কাদতে শুরু করল। আমি বললাম কাদছ কেন । মিথুন বলল বাবা আমার বন্ধু রোবট রেক্ট কে পাওয়া যাচ্ছে না। রেক্ট মিথুনের সাথে ফুটবল খেলতো আমাদের উঠানে।

আমি মিথুন কে বললাম ওকে খুজে দেব। আমার স্ত্রী রজনী ততোহ্মনে পাশের রুম থেকা এসে ওকে কোলে নিয়েছে। মিথনের মত ওর মনটাও ভীষন খারাপ। আমি রেঞ্জার কে ফোন করে এক্ষুনি আমার এখানে আসতে বললাম । রেঞ্জার এসে আমাকে দেখে বলল ফ্রেন্ড তোমাকে বেশ চিন্তিত লাগছে ।

আমি ওকে রেক্টের হারিয়া যাওয়ার কথা জানালাম। সে আমাকে বলল কোথা থেকা হারিয়েছে। আমি বললাম এটা তো শুনিনি। রেঞ্জার বলল এটাই জানোনা। আমি বললাম বন্ধু টেনশন কাজ করছিল তো এটা জিজ্ঞাস করতে ভুলে গেছি।

রেঞ্জার বলল এটা তোমারা মানুষদের একটা প্রবলেম। আমি রজনীকে আমার রুমে ডাকলাম। রুমে ধকতেই রেঞ্জারের মাথার বাম পাশের সবুজ বাতি টা জলে উঠল । সুন্দর অথবা নিরাপদ কিছু দেখলেই ওর মাথার সবুজ বাতিটা জলে উঠে। রজনী এসেই বলল আজকেও দাবা! আমি বললাম না না আজকে ওকে দাবা খেলার জন্য ডাকিনি।

রেক্ট কে খোজার জন্য ডেকেছি। রজনী আমার পাশে বসল আমি ওর কোমল হাত টা ধরে জিজ্ঞাস করলাম ও কিভাবে হারিয়েছে বল তো। মিথুন আর রেক্ট ফুটবল খেলছিল। আমি মিথুনের মিথুনকে জুস খাওয়ার জন্য ডাকি। ও জুস খেয়ে যেয়ে দেখে আমাদের মেইন গেট খোলা থেকে বন্ধ হচ্ছে রেক্ট নেই।

আমি রেঞ্জার কে বললাম বন্ধু আমার মনে হয় থানায় খবর দেওয়াটায় ভালো। রেঞ্জার আমার সাথে একমত পোষন করল। আমি রজনি কে বললাম চা দিবে এক কাপ । রজনী উঠে দাড়াল বলল নিয়ে আসছি। আমি থানায় ফোন করলাম ,অফিস ইনচার্জ বলল আমি ৩০ মিনিটের মধ্যে আসছি।

ততক্ষনে রজনী হাতের এক কাপ চা আমাকে দিল। আমি চা খেতে খেতা রেঞ্জার কে বললাম তোমারা রোবট্ রা আসলেয় হতভাগ্য। কিছ খেতে পার না। রেঞ্জার উদ্ভুত রোবটিয় কায়দায় হেসে বলল লাকি বল। এসব কাজে সময় নষ্ট হয়না।

রজনী বলল হয়েছে তোমাদের তক্ক করা আমি ভেতরে গেলাম। কিছুক্ষনের মধ্যে থানা থেকে ইন্সপেট্টর এলো। আমি ওনাকে সব খুলে বল্লাম। উনি সবকিছ পর্যবেক্ষন করলেন। এতোক্ষনে রাত ৯ টা বেজে গেছে।

ইন্সপেট্ট্রর চলে গেলেন। রেঞ্জার ও বলল ফ্রেন্ড আমার সময় শেষ আমাকে যেতে হবে। ওচলে গেল। আমি বসে বসে ভাবছি আমার অটোমেটিক কনট্রল মেইন গেট দিয়ে রেক্ট গেল কি করে। ও কি সেচ্ছায় গেছে! না ওর পোগ্রামে তো এমন কিছ নাইযে ও সেচ্ছায় চলে যাবে।

পরদিন সকালে দেখি রেক্ট ফিরে এসেছে। আমি অবাক হলাম। ওকে বললাম কোথায় গিয়াছিলে। ও বলল বাইরে। আমার হাতে সময় ছিল না বলে চলে গেলাম।

বিকালে অফিসে ফোন এলো। আমার স্ত্রী কাদতে কাদতে ফোন করে বলল মিথুন মারাত্মক ভাবে আহত। আমি অফিস থেকে হাস্পাতালে গেলাম। রজনী আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো। আমি ওর মাথায় হাত দিয়ে ডঃ কাছে গিয়া জিজ্ঞাস করলাম কি বাপার।

ডাঃ বললেন নাকটাথেতলিয়ে গেছে তবে ভয় নেই ওর জীবন বিপন্ন হবে না। নকল নাক লাগানো হতে পারে। আমি রজনীর কাছে গেলাম। রজনীর মাথায় হাত দিয়ে ওকে সান্তনা দিয়ে বললাম ভয়ের কিছ নাই ও ঠিক হয়ে যাবে। আমি বললাম কি করে হলো।

রেক্ট এর ক্লিক করা বল লেগেছে। আমি বললাম তুমি বস। আমি বাসা থেকে আসছি। বাসায় গিয়া আমি রেক্ট কে স্লিপ মুডে নিয়ে গেলাম। ওর মেমোরো চেক করলাম।

দেখনাল ওর অপহরনে বাহির থেকে এক শিশু রোবট কে ফুটবল সহ পাঠানো হয়। রেক্ট দরজা খুলে বের হয়ে ওকে অনুসরন করে একটি গাড়িতে গিয়ে ওঠে। আমি ওর পোগ্রাম বার্ন করা চিপস ও পোগ্রাম পরযবেক্ষন করে শিঊরে ঊঠি। ওর বল কিল্ক করার ক্ষমতা ২৫ গুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ ছুটি আমি রজনী উঠানে বসে গল্প করছি।

আমি জানি এই কাজে আমার স্টুডেন্ট রিট্রনের কারসাজি আছে। আর মিথুনের নকল নাকের বাপারে রজনী কিছুই জানেনা। আমি রেক্টের চিপসে পোগ্রাম মডিফাই করে দিয়েছি। এবং হাইলি প্রোটেক্টেট পাসওয়ারড মধ্যে নিরাপদ করেছি। যাতে ওকে কেও চুরি করতে না পারে আর পারলেও যেন পোগ্রাম পরিবর্তন করতে না পারে।

আমি আর রজনী জখন চা খাছিলাম তখন । মিথুন ও রেক্ট ফুটবল খেলায় ব্যস্ত ছিল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।