আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Eastern University তে Social Business Day পালন, ডঃ ইউনুসের আগমন, গরীবদের শোষনের অভিনব কায়দা

পৃথিবী নামক রঙ্গমঞ্চে আমরা সবাই প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যাচ্ছি। যার অভিনয় যত ভালো হচ্ছে, সে তত সেরা হচ্ছে। গত বছর এর থেকে ২৮ জুলাই Eastern University তে Social Business Day পালন হয়ে আসছে Eastern University তে Social Business Club (EUSBC) এর উদ্গোগে। এই দিনে ডঃ ইউনুস তার গরীব শোষনের চমকপ্রদ মডেল নিয়ে আসেন আর গাল ভরা কিছু লেকচার দেন। যখন থেকে ডঃ ইউনুসের micro credit loan media তে controversial হয়ে পড়েছিল, সেদিন থেকে তিনি private university গুলুতে ঝাপিয়ে পড়েছেন।

ইউনুস সাহেব Nobel পেয়েছেন তাই অনেক university এই সন্মানি মানুষটিকে use করে সন্মান কুড়াতে চায়। আর সেই সুযোগের সৎব্যবহার করলেন ডঃ ইউনুস। তিনি তার economic model, student দের সামনে তুলে ধরেন। যার অন্তরালে থাকে গরীব শোষন। কিছু কিছু student তার এই model নিয়ে, student life শেষে শুরু করে social business।

because, ইউনুস সাহেব আগেই student দের ভিতরে গরীব শোষনের advantages খাইয়ে দিয়েছেন। অনেকের প্রস্ন থাকতে পারে তাহলে ইউনুস সাহেবের লাভ কি ? তিনি তার এই model এর জন্য royalty পাচ্ছেন না। ভাই, একটা কথা মনে রাখবেন, চোর সবসময় তার দল ভারী করার জন্য ভাল মানুষদের কে চোর বানায়। আমি Eastern University Social business club (EUSBC) এর একজন member (ছমকপ্রদ ad দেখে হয়েছি). আমি এখন membership cancel করার চ্ছেস্টা চালাছি। যখন জানতাম, না এরা সবাই চোর, তখন হয়েছিলাম।

ভাই চোরদের সাথে আর না। একটা লেখা পড়েছিলাম কয়েকদিন আগে। ভাল লেগেছিল বলে কপি করে রেখেছিলাম। ms.word এ কপি করেছি বলে লিঙ্ক গুলো আসেনি। আরও আসেনি লেখক এর নাম।

প্রিয়তে নিয়েছিলাম। বাট এখন খুজে পাচ্ছি না। যাই হোক, লেখাটা কপি পেস্ট দিলাম এখান থেকে। ......................................................................................................................... চাচার নোবেল কাহিনী চাচা,আপনি যেদিন নোবেল পুরষ্কার পেলেন,সেদিন আমার নিজেকে বড়ই ‘হাম ক্যায়া হোয়েগা’ মনে হচ্ছিলো। কারণ,আমার বাবা চবিতে অর্থনীতি অধ্যয়ন করার সময় আপনি তার শিক্ষক ছিলেন।

আমি এই কথা এলাকা,বন্ধু মহলে বলে বেশ পার্ট নেয়া শুরু করলাম। পড়ার ঘরের আলমারিতে আপনার একটি ছবি পেস্ট করে দিলাম এবং ওই ঘরে নামাজ পড়া বাদ দিলাম,তবুও আপনার ছবি ছিড়লাম না,কারণ আপনি আমাদের গর্ব। সত্য বলছি,নির্ভেজাল সত্য। বাকিটা আলোচনার পরে বলি,ঠিক আছে চাচা? সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিকল্প হিসাবে আপনি যে 'ক্ষুদ্র ঋণ' আবিষ্কার করলেন,তাতে আমি বিমুগ্ধ। একটি ফকির কাজ করবে না,ভিক্ষাই করবে।

সেই ভিক্ষাই যেনো সে ভালোভাবে করতে পারে সেজন্য আপনি তাকে গাড়ি কিনে দিলেন,আর সেই গাড়ি কিনার টাকার ঋণ তিনি শোধ করবেন স্বল্প কিস্তিতে,কিন্তু মাত্র ১২% সুদে(ইহাই সর্বনিম্ন)..........সেই সাথে তার যদি একটা কুঁড়েঘর করে দেয়া যায়,তা তো ভালই হয়। এখানেও সেই স্বল্প কিস্তি আর অল্প(!)সুদ। এভাবে তার মেয়ের বিয়ে দিতে আপনি তাকে অফার করলেন আরো কিছু উপকারী ঋণ। এখানেও স্বল্প কিস্তি,অল্প সুদ। এইরূপে একে একে তিনি তার চাহিদা বাড়াতে শুরু করলেন আর তাকে দিতে থাকলেন স্বল্প কিস্তি,অল্প সুদের ঋণ।

বছর শেষে দেখা গেলো ১,০০০ টাকার বিনিয়গে ফকির সাহেব থেকে ১,১২০ টাকা নিয়ে নিলেন আপনি। এইরূপে নারীদের কর্মসুযোগের লোভ দেখিয়ে গরু-ছাগল দিতেও শুরু করলেন। বছর শেষে দেখা গেলো,সেখানেও ব্যাপক লাভ। ১০,০০০ টাকার গরু দিয়ে চাচা হাতিয়ে নিলেন ১১,২০০ টাকা। এখন গ্রামের ১০০ নারীকে এই গরু দেয়া প্রকল্পের সুবিধা(!) দিলে চাচার লাভ হচ্ছে মাত্র ১,২০,০০০ টাকা।

এইভাবে নানা গ্রামের কৃষক,ফকির আর অসহায় নারীদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে মুটামটি আপনি কোটি কোটি টাকা লাভ করলেন................ কিন্তু,চাচা আপনার গুণের তুলনা হয় না। বিত্তবানেরা ঋণ পরিশোধ করে বছরের ভিত্তিতে,আর আপনার গরীব গ্রাহকেরা করে সপ্তাহে সপ্তাহে। ফলে,বছরে ১২% ধরে কোনো দ্রব্যের উপর মোট সুদ ৫২ টাকা হলে,সপ্তাহে মাত্র ১ টাকা সুদ দেয়া লাগে। ১ টাকা আর এমন কি!!কিন্তু,এই ১ টাকা নিয়ে আপনি যে চাল চাললেন তাতে আমি আবারো আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম। আপনার ১২% সুদ তো চাচা যে দ্রব্য বা টাকা তাদের কাছে ১ বছর ছিল,যা তারা ১ বছর ব্যবহার করেছে,তার উপর,তাই না?কিন্তু,১ সপ্তাহে যে ১ টাকা সুদ নিলেন,তা কি তারা ১ বছর ব্যবহার করেছে?নিশ্চয় না।

এই সুদের টাকা তো চাচা আবার আরেক অসহায়কে স্বল্প কিস্তিতে দিয়ে দিলেন। সুতরাং,সেখান থেকেও সপ্তাহের শেষে যে সুদ আসবে,তা দিয়ে চাচা আরো একজনকে স্বল্প কিস্তির অল্প ঋণ দিলেন। বছর শেষে চাচা আপনার লাভ কাগজে কলমে ১২% কিন্তু,বাস্তবে চক্রবৃদ্ধি হারে লোকের পর লোক আপনার সমিতিতে যোগ দিলো,আর সপ্তাহে সপ্তাহে স্বল্প সুদ ফেরত দিলো। অংক কষে দেখা গেলো,প্রতি সপ্তাহে আপনার প্রাথমিক মূলধন বৃদ্ধি না করেই আপনি প্রতি ১০০০ জনে ২০ জন নতুন গ্রাহক পেলেন। এভাবে বছর শেষে আপনার গ্রাহক বেড়ে দাড়ালো ২০৪০ জন।

কারো ১ বছরের,কারো ১১ মাসের আর কারো ৫ মাসের সুদ আপনি পেলেন,কিন্তু তা আপনাকে হিসাবে দেখাতে হলো না। প্রতি এক টাকায় আপনার লাভ দাড়াচ্ছে মাত্র ৩.১৮ টাকা,গ্রাহক ১০০০ এবং সুদ ১২% ধরে। পরের বছরে তা আরো বাড়বে,সন্দেহ নাই। যাই হোক, চাচা তো ব্যাপক কূটনৈতিক চাল চাললেন। আমাদের মত শিক্ষিতদেরই ধরতে এতোদিন লাগলো,আর যাদের নূন আনতে পান্তা ফুরোয়,তারা কিভাবে বুঝবে!!আপনার মত কূটনৈতিকের বড়ো অভাব এই তৃতীয় বিশ্বে।

সব মাথা মোটা,মাথা গরম টাইপ। কূটনীতি কি তা ওই বুদ্ধিহীন বুদ্ধির ঢেঁকি গুলা জানেই না। এতোদিনে বুঝলাম,আপনি কেনো শান্তিতে নোবেল পেলেন। কথা শেষ হয়নি চাচা,যাবেন না এখনই। আপনার মনে পড়ে পল্লী ফোনের কথা?আপনার সমিতির লোকদের একটি মোক্ষম অস্ত্র ছিল এই পল্লী ফোন,গ্রামীন চেক,মধু আরো কত কি।

বঞ্চিতদের স্বর্দি-কাশির অসুখ হলে যে মধু খাবে,তাও আপনার সমিতির লোকেরা সাপ্লাই দিচ্ছে,কী মহৎ আপনি। মহত্বের আড়ালে আপনি আপনার লাভটাও ঠিক রাখছেন!আপনি যে দিকটা ধরতে পারলেন,তা আমরা ধরতে অক্ষম ছিলাম। মানুষ চায় উন্নত জীবন যাপন করতে। আপনি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করলেন ঠিকই,কিন্তু তাদেরকে এমন ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে নিলেন,যার জাল ছিড়ে বেরোতে পারে খুব কম লোকই। আমার দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আপনি,নিঃসন্দেহে।

কাল মার্ক্স একটা মাথা মোটা লোক ছিল। সে যে অর্থনৈতিক মডেল দাড়া করালো,তা মানুষের মধ্যে কর্মস্পৃহা কমিয়ে দিলো। ব্যাক্তিগত সম্পদ আড়োহন মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তা অস্বীকার করে যে মডেল তিনি দিয়ে গেলেন তা বাস্তবায়ন করতে লেনিন সাহেবকে ৫ মিলিয়ন আর স্ট্যলিন সাহেবকে ৩০ মিলিয়ন লোক মারতে হলো। অথচ,আপনার স্বল্প ঋণে মানুষতো মারা গেলই না,বরং তাদেরো জীবনযাত্রা উন্নত হলো,আর আপনারো পকেট ভরলো।

সবারই আপেক্ষিক লাভ হলো,কি শান্তি!!! গরীব ঠকানোর মাধ্যমে কোটি টাকাযে হাতানো যায়,তা চাচা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। আগে বুঝতাম না ইসলামে কেনো সুদ হারাম করা হয়েছে। এখন বুঝলাম,এটি গরীবের টাকা ধনীর মধ্যে সঞ্চারন করে সমাজে বৈষম্য তৈরি করে একটি সাধারন ক্যালকুলেশন দেখিঃ ধরুন আমরা ব্যাঙ্কে টাকা রাখলাম ৪% সুদে। এখন,যিনি বিনিয়োগ করবেন,তিনি তিনটি ব্যাঙ্কে গেলেন এবং ১০%,১৫% আর ২০% সুদ দেখলেন। চালাক লোক,তাই তিনি ১০% এর টাই নিলেন,কারণ রিস্ক কম।

তিনি ব্যবসা শুরু করলেন। যেহেতু তাকে প্রতি ১০০ টাকায় ১০ টাকা গচ্চা দিতে হবে,সুতরাং তিনি তার দ্রব্য অন্তত ১১৭-১১৮ টাকায় বিক্রি করবেন যেনো ৭-৮% লাভ হয়। পাইকারী-খুচরা বিক্রেতা ঘুরে আপনার আমার কাছে যখন দ্রব্যটি আসে তখন তা ১২৫ টাকায় দাঁড়ায়। ব্যাঙ্ক থেকে আমি আপনি পেলাম ১০৪ টাকা,আর এদিকে ১০০ টাকার দ্রব্য কিনলাম ১২৫ টাকায়। কি,৪ টাকা লাভ করলেন??না কি ২১ টাকা খুইয়ে বসলেন?? লাভটা তাহলে কে করলো?বাকী টাকাটা কাদের থেকে আসলো?আপনারাই বের করেন।

সব আমিই বলে দিলে কিভাবে হবে? কোরআনে আল্লাহ বলেন, “তোমাদের ধন-সম্পদ যেনো বিত্তশালীদের মধ্যে আবর্তিত না হয়। [সূরা হাশরঃ৭]... একটি জরিপে দেখলাম বিশ্বের মাত্র ৫% লোক ৭২% সম্পদ দখল করে বসে আছে। সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এটিই নিশ্চিত করে,কোনো সন্দেহ নেই। তারা আরবের লোকেদের মতই আবার দাবি করবে আমরা তো ব্যবসা করছি। কিন্তু না।

কোনটা ব্যবসা আর কোনটা সুদ তা সবাই যানে। আল্লাহ বলেন, “যারা সুদ খায় তারা দাড়াতে পারে তার মত ছাড়া যাকে শয়তান তার স্পর্শের দাড়া পাতিত করেছে। কেনোনা তারা বলে,“সুদ তো ব্যবসার মতই”.. অথচ আল্লাহ তোমাদের জন্য ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। যারা তার প্রতিপালকের নির্দেশ পাওয়ার পরে সুদ খাওয়া ছেড়ে দিলো তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে না অতীতের জন্য,কিন্তু যারা জানার পরেও সুদ খাওয়া ছাড়লো না,তারাই হবে আগুনের বাসিন্দা যেখানে তারা চিরকাল থাকবে”[সূরা বাকারাঃ২৭৫] ... আবারো চাচা কাহিনী। আমরা জানি না আপনি কি করেছেন না করেছেন,তবে উপরের হিসাব সত্য হলে বুঝতে হবে যে আপনি একটি জিনিয়াস।

আপনি আপনার পুঁজিবাদি অর্থনীতিকে আরো উচ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বুদ্ধি বের করলেন,তা সত্যই প্রশংসার দাবিদার। যতদিন আমি উদার গণতন্ত্রে এবং পুঁজিবাদি অর্থনীতিতে বিশ্বাসি ছিলাম ততদিন আমি এই চিন্তাধারার সকল মানুষের মতই আপনাকে বস মানতাম কিন্তু,এখন আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ‘লা ইলাহা ইল্লা আলাহ’ এই বাক্যটিএই বাক্য মানার মানে এডাম স্মিথ,কাল মার্ক্স বা আপনার অর্থনৈতিক মডেল বাদ দিয়ে আল্লাহর দেয়া অর্থনৈতিক মডেল মেনে নেয়া সুতরাং, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন। ……………………………………………………………………………………………… ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।