আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈমান ইসলামকে মুছে ফেলার এজেন্ডা, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা মুছে ফেলার নামান্তর

হট নিউজ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা' মুছে ফেলার বিষয়টি কোনো যুক্তিবুদ্ধিতে আসে না। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের ঈমান থাকে কি না? দেশের নানাবিধ জীবনঘনিষ্ঠ ভয়াবহ সমস্যাবলীর কষাঘাতে যেখানে জনগণের জীবন ওষ্ঠাগত, অনেক ক্ষেত্রে মানুষ দিশেহারা অবস্থায়, সেক্ষেত্রে ঐসব সমস্যা সমাধানের চাইতে ক্ষমতায় এসেই শুরু থেকে সংবিধান থেকে ঈমান, ইসলাম, আল্লাহর নাম ইত্যাদি মুছে ফেলার জন্যে নানা পায়তারা। আওয়ামী লীগ এসব স্বাথান্বেষী বিদেশী প্রভূদের খুশির জন্য করছে। যদিও বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের নির্বাচিত করেছে। আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা মুছে ফেলার জন্য নয়।

তারা আল্লাহর উপর আস্থা মুছে ফেলার যে ব্যবস্থা করেছে, দেশের জনগনও তাদের ডাষ্টবিনে নিক্ষেপের সমস্থ ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে। আওয়ামীলীগ ভুল পথে হেটে অভ্যস্থ। অতীত তারা সহজের ভুলে যায়। ভয়াবহ পরিনতির জন্য তারাই দায়ী ছিল এবং হবে। এদেশের কোটি কোটি তওহীদি জনতার ধারণা কি হবে, এমনকি খোদ তার দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী বিষয়টিকে কিভাবে নিবেন, সে স মতামত উপেক্ষিত হবার অর্থই হলো, এ সরকার কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বললেও এর প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।

অন্যথায় যেই মুষ্টিমেয় লোক সরকার ও সরকার প্রধানকে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা বাদ দেয়ার কথা বলছে, তিনি কেন তাদেরকে একথা বলতে পারছেন না যে, -এটা রেফারেন্ডামের মাধ্যমে শাসনতন্ত্রে সংযোজিত হয়েছিল, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সেখান থেকে এটা মুছে ফেলতে হলে রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠান করতে হবে। তা না বলে এমনিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংবিধান থেকে বাদ দেয়া এবং তাতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ পুনঃসংযোজনের সুপারিশকে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়ার অর্থই হলো সরকার কর্তৃক এদেশের কোটি কোটি মুসলিম জনতার মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আর এই অবস্থান নেয়াটা জাতীয় সংহতির জন্যে যে কত ক্ষতিকর ও ভয়াবহ ইতিমধ্যেই তার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে। যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনার জন্যেই নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকরীরা এই নন ইস্যুটাকে ইস্যু বানিয়ে জাতির মধ্যে অনৈক্য ও হিংসা-বিদ্বেষের আগুন ছড়িয়ে দিয়ে আসছে। মোটকথা আমরা বলতে চাই দেশের আঙ্গুলে গোনা গুটিকতক লোক যারা ঈমান, ইসলামের ব্যাপারে আস্থাহীন, আন্তর্জাতিক বৈরী শক্তির ক্রীড়নক হয়ে মুসলিম দেশ স্পেনের মতো বাংলাদেশ থেকেও ঈমান ইসলামকে মুছে ফেলার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে, সরকারের উচিত তাদের খপ্পর থেকে বের হয়ে আসা এবং ইসলাম পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা।

এদেশকে পরাধীনতার অক্টোপাশে আবদ্ধ করার দুরভিসন্ধিই সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে। যেমনটি ঘটেছিল ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্র কাননে। এ বাংলা ঐ বাংলার মানুষ এক ভাষায় কথা বলা, একই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা সত্বেও তাদের মধ্যে যেই স্বাতন্ত্র্য বোধটি স্বতন্ত্র ভৌগোলিক সীমান্ত সৃষ্টিতে তাগিদ দেয়াতে একই বাংলা ভাষীরা আজ ভিন্ন স্বাধীন দুই রাষ্ট্রের অধিকারী, সেই বোধটি হলো ঈমান ও ইসলামসঞ্জাত। এ কারণে এ দেশবাসীর স্বাতস্ত্র্যবোধের সেই উৎসকে জাতীয় সংবিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে, তা হলে একই রাষ্ট্রের বাসিন্দা হতে বাধা থাকবে না। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আলাদা সীমান্ত রেখার থাকবে না কোনো প্রয়োজন।

সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস কথাটি বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা পুনর্বহালের পেছনে তথা কথিত ঐ রামবাম ও নাস্তিক্যবাদীরা উঠেপড়ে লাগার কারণ এখানেই নিহিত। আওয়ামী নেতারা যত তাড়াতাড়ি এটা ও এর পরিণতি উপলব্দি করবেন ততই মঙ্গল। এই ভেবে সত্যিই বিস্ময় জাগে যে, '৪৭ পূর্ব অবিভক্ত বাংলা, অবিভক্ত ভারতে যেখানে হিন্দু, মুসলমানসহ অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর লোকেরা একত্রে বসবাস করছিল, এমনকি তার পূর্বে যখন গোটাভারত মুসলমানরা দীর্ঘ প্রায় ৮শ বছর শাসন করেছে। ইংরেজরা ভারত ছাড়ার প্রাক্কালে কাদের বৈষম্যমূলক সংকীর্ণ চিন্তা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার দরুন মুসলমানরা আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তুলতে বাধ্য হয়েছিল সে বিষয়টি প্রথম সৎসাহস নিয়ে অনেকেই আলোচনায় আনতে চায় না। বলাবাহুল্য, সেই অভিন্ন মানসিকতার উত্তরাধিকারী ও তাদের স্থানীয় তলপী বাহকরাই আজ অদূরদর্শিতা বা অজ্ঞতাবশত কিংবা স্বার্থান্ধ হয়ে মুসলিম প্রধান স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস মুছে ফেলার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।