আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেপালের জন্য শুরু হোক সমন্বিত আন্দোলন

যারা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত তাদেরকে পেপালের গুরুত্ব বুঝিয়ে বলার কোন দরকার নেই। সত্যি বলতে কি আমাদের দেশে এখনো হাজার হাজার তরুণের মন পেপালের জন্য কাদছে এবং আমরা প্রার্থনা করছি যেন তারাতারি আসে। তবে এর জন্য একদিকে পেপাল এবং অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার এ দুই পক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। তাদেরকে উদ্যোগী করার কাজটা এত সহজ নয় এবং এজন্য আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। বেসরকারি সংগঠনের মধ্যে বেসিসকে আমাদেরই চিন্তা-ভাবনা জানাতে হবে এবং অন্যদিকে সরকারী প্রতিস্থানের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককেও আমাদের চাহিদার কথা বলতে হবে।

এজন্য আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। ফেইসবুকের মাধ্যমে এই ধরণের আন্দোলনের চেষ্টা করাটা খুব কঠিন নয়। সবাইকে যত বেশি সম্ভব তরুণকে এই ব্যপারটি জানাতে হবে এবং তাদেরকে বোঝাতে হবে তারা যদি একদিকে পেপালকে ই-মেইল করেন তাহলে পেপাল যখন বুঝবে যে বাংলাদেশে তারা একটি বড় বাজার হারাচ্ছে তবে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। যদি আমরা পেপালে ৫০ হাজারটি ই-মেইল পাঠাতে পারি তবে স্বভাবতই তারা এ মার্কেটটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিবে। এটা করা খুব বেশি অসম্ভব নয় কেননা হাজার হাজার তরুণ এখন ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে সরকারকে বোঝানোর জন্য আমরা সবাই চিঠি লিখতে পারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যদি একইভাবে ৫০ হাজার লোক চিঠি পাঠাই যে আমাদের পেপাল দরকার তবে অবশ্যয় বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে বাধ্য হবে। তাছাড়া গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকে ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার ও লেনদেনের জন্য ই-কমার্স তারাতারি চালুর জন্য বেশ সচেষ্ট। তাই আমার মনে হয় না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বা নীতিনির্ধারকদের পেপালের গুরুত্ব বোঝাতে খুব বেশি কঠিন হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।