আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন সুন্দরবন নিয়ে যাই। তবে সবার থেকে টিকিট হিসেবে অনেক অনেক ভোট চাই!!

আমি পার্থিব বাস্তবতায় অস্থির, অপার্থিব স্বপ্নপায়ী কেউ একজন . . . প্রথমেই বলে নেই যে, আবারো পুরোদমে শুরু হয়েছে সুন্দরবন আর কক্সবাজার কে ভোটিং এর কর্মসূচী। যারা একবার দিয়েছেন, তারা আবারো যতোবার পারবেন ভোটিং করবেন। এটা আমাদের প্রত্যেকের ওপর বিশাল একটা দায়িত্ব! প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসেবে বাংলাদেশের সুন্দরবন আর কক্সবাজারকে ভোট দিন। আর দিবেন না কেন? দেশটা "মা" না? ওপরের ছবিটা ২০১০ এর ডিসেম্বরে তোলা সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রে তোলা। সুন্দরবনেও ভোটিং ক্যাম্পেইন জোড়দার করা হয়েছে।

সবাই গিয়ে ভোটিং অফিসে ভোট দিয়ে আসে! অসাধারণ দৃশ্য! আমি সুন্দরবন দেখে অসম্ভব রূপ-আক্রান্ত হয়েছিলাম। তার একশো ভাগের এক ভাগ-ও ছবিতে এসেছে কি না জানি না। তবে দেখে এসে মনে হয়েছিল একটা পুরোপুরি অন্যরকম জগৎ থেকে ঘুরে এসেছি। এর সাথে এতোদিন যে বাংলাদেশের বাকি জায়গাগুলো ঘুরেছি, তার কোন মিল-ই নেই! পাঁচটা লঞ্চের বিশাল দল গিয়েছিলাম আমরা। সুন্দরবনে সবসময় এমন ভারী দলে যাওয়াটাই নিরাপদ।

তারপর পুরোই পানির উপর চার দিনের জিপসী জীবন! আমার অভিজ্ঞতা ছবিসহ বলবো আপনাদের। আমরা খুলনা, করমজল, কচিখালি, জামতলা, কটকা, হিরণ পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট আর সুন্দরবনের বেশ কিছু অন্ধগলি বা রাজপথ চষে বেড়িয়েছি বলা যায়। বোধহয় দু'টা পোস্ট লাগবে ছবির জন্য তাই পরপর দু'টা পোস্ট-ই দেখে ফেলেন আর অবশ্য অবশ্যই ভোট করুন যতো পারবেন! সুন্দরবনে আমাদের প্রথম ভোর... ভোর থেকে সকাল... সেই সাত সমুদ্র তের নদীর পানে... এমন গলির মতো অজস্র জল-রাস্তা এঁকে-বেঁকে গেছে সুন্দরবন চিরে। এমন সব রাস্তায় ঢুকতাম আমরা নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে। তারপর ভেতরে গেলে আরো শাখা গলি পাওয়া যেতো।

বিশাল সমুদ্রে বেঁধে রাখা ছোট্ট একটা খেয়া... এটাতে করে আমরা সুন্দরবনের অলি-গলি-রাজপথ চষে বেড়িয়েছি! ওমা কুমির!! আরেহ না! ভয় পান কেন? এটা শীতের রোদ মেখে শুয়ে থাকা এক আরামপ্রিয় ঘড়িয়াল। হিরণ পয়েন্ট টাওয়ার। এটার উপর একসঙ্গে তিনজনের বেশি ওঠা নিষেধ। বাঙালী কখনো কারো কথা শোনে নি। খুব-ই বিদ্রোহী জাতি।

যারজন্যে প্রায় ১০-১২ জন ওঠার সাথে সাথে টাওয়ার ভয়াবহভাবে ডানে-বায়ে দুলতে থাকলো! আর ছবি যেহেতু এ্যটাচ হচ্ছে না রিসাইজ করার পর-ও। সুতরাং আরো কিছু পার্ট আসিতেছে... তবে যতোটুক ঘুরলেন তার জন্য টিকিট লাগবে! ভোট করে ফেলুন! এক্ষুণী!! পার্ট দুই **ছবি সংক্রান্ত কথা : এখানের আপলোডেড ছবিগুলো সিলেকটিভ, অনেক রিসাইজড আর লো-কোয়ালিটির। নাহলে একসাথে আপলোড করতে পারতাম না। কেউ ঝকঝকে ভার্সন দেখতে আগ্রহী হলে আপনার ফ্লিকার একাউন্ট লিংক বা ইমেইল এ্যাডরেস দিবেন। আমি অরিজিনাল ছবি দেখাতে পারবো তাহলে।

সবাইকে ধন্যবাদ। **  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.