আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খন্ডকাব্যের ব্লগিং শেখার প্রয়াসে জনপ্রিয় ব্লগারদের সাথে সক্ষাৎ

.............................. কাব্য বেচারা মহা সংকটের মধ্যে আছে। কোন কিছুই ভাল লাগেনা , আজকাল সে বড়ই উদাসী হইছে। কোন কাজেই মন বসেনা তার, খালি এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে। আগে যাও এক আদটু লিখতে পারতো এখন সেইটাও বন্ধ। দুইটা কিবোর্ড ভাইঙ্গা সিদ্ধান্ত নিল সে আর লিখবেনা বরং অন্যরা কিভাবে লিখে সেটা দেখবে আর পারলে স্বনামধন্য ব্লগারদের থেকে টিপস নিবে।

তো সেই উদ্দেশ্যে বেরিয়েই পত্তুম দেখা রাজসোহানের সাথে। কাব্য ভাবল ভাগ্য মনে হয় আজ তার সাথে এরকম জনপ্রিয় ব্লগার থেকে টিপস নিতে পারলে লেইখা হিট হইয়া যাইব। এই ভেবে দিল হাটা রাজাস এর সাথে পথে একটা জেব্রা ক্রসিং পড়ল আর তাতেই দেখা দিল বিপত্তি। ফোনটা বের করে রাজাস কাকে জানি চরম নরম ভাষায় কান গরম করা কথা শোনানো শুরু করল। কাব্য বেচারা আর কি করবে অধৈয্য হয়ে রাজাস কে রেখে একলাই এগুতে লাগল।

রাজাস তখনো জেব্রা ক্রসিংয়ে দাড়িয়ে ফোনে বলছে লাভিউ জান । কাব্য ভাবল এভাবে হবেনা গুরুজন ধরতে হবে। এই ভেবে সে ছুটল জিসান চাচার খোঁজে। অনেক কষ্টে উনাকে পেয়ে কাব্যতো খুশিতে আগডুম বাগডুম আজ ব্লগিংয়ের এ টু জেড শিইক্ষা ফেলবে। কিন্তু তাহার এই খুশি বেশিক্ষন টিকিল না জিসান চাচ্চু আজকালকার পোলাপাইন, রাজনীতি আর মডুর চোদ্দগুষ্টি উদ্দারে এমন ক্যাচাল শুরু করিলেন যে কাব্যর মাথায় পুরা পেচগি লাগিয়া গেল।

বেচারা কাব্য তার মাথার ধারন ক্ষমতা এত কম কেন ভাবিতে ভাবিতে দেখা হয়ে গেল মাহী ফ্লোরার সাথে। ভাবিল ক্যাচাল মনে হয় এইবার দূর হইবে কিন্তু মাহীর কাব্যমাখা কথা ঠিক ক্যাচ করিতে না পারিয়ে দ্রুত পলায়ন করিল। পথিমধ্যে দেখে বৃষ্টিধারা রাস্তায় দাড়িয়ে। কাব্যকে দেখিয়ায় একখান দুষ্ট হাসিয়া কহিল বাসায় চলেন আড্ডা দেয়ার জন্য কাউকে পাচ্ছিনা। কাব্য আগের বার পটল ভাই সহ বাসায় গিয়ে কি ধরাটা খাইছিল তা ভাবিয়া আর সাহস করিল না।

ব্যস্ততা দেখিয়ে আরেক দিন আসার পণ করিয়া দুষ্টুধারার হাত হইতে বাঁচিল। ব্লগিং শিখতে না পারার দু:খে আর প্রচ্ন্ড ক্ষিদা নিয়ে সে হাজির হইল রেজু আপুর বাসায় ভাবিল এবার নিশ্চয় তার একখান গতি হইবে। কিন্তু রেজু আপু ব্লগিং এর ব এর মধ্যেও না যাইয়া কাব্যকে গিনিফিগ বানিয়ে ছাড়িল। বেচারা কাব্য উনার নতুন রেসিপি "হট সস উইথ গ্রীন চিলি" টেষ্ট করিয়া নাকের পানি চোখের পানি এক করিয়া পলায়নের পথও খুঁজে পাইলোনা। দিশা হারিয়ে কাব্য সবাইকে একটা শিক্ষা দেয়ার ফন্দি তৈরীতে চলিল সকাল ভাই এর খোঁজে।

কিন্তু একি সকাল ভাই দেখি গার্লস কলেজের সামনে কাচুমাচু মুখে দাড়িয়ে। বিষয় কি জানতে চাইলে এডিয়ে গেলেন এবং কাব্যকে পরে একখান সেরকম হিট টিপস দিবেন বলিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। পরে কাব্য দূর হইতে যাহা বুঝিতে পারিল সকাল বাবু গার্লস কলেজের সামনে দাডিয়ে বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে খুজিতেছেন। বেচারা সকাল ভাইকে মেয়ে দেখার সুযোগ দিয়ে কাব্য সামনে এগুতে লাগল। হঠাৎ দেখে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে মনমরা হয়ে বসে আছে রিয়েল ডেমোন।

ভাবলাম এবার রোমান্টিক গল্পের একটা প্লট বাগানো যাবে হয়ত। কাব্যকে দেখিয়া রিয়েল ভাইয়ের মুখখানা পান্ডুর বর্ন ধারণ করিল। ঘটনা কি উদঘাটন করিতে কাছে গিয়ে দেখি মুখের একপাশ লাল হইয়া আছে। কিভাবে হইল জিঙ্গেস করিতে যা বলিল তাহাতে কাব্য একটু হোচট খাইল। রিয়েল ভাই বিড়ি টানতে গিয়ে হাতেনাতে জিএফের কাছে ধরা খাইছে যাহার ফলাফল যাচ্ছেতাই ঝাড়ি আর হালকা উত্তম মধ্যম।

এহেন কান্ডকির্তন দেখিয়া কাব্যের মাথা পুরাই আউলাই গেল। মাথার এলোমেলো ভাব দুর করতে কাব্য ভাবিল এবার রসালো কিছু শিখা দরকার। এই ভাবিয়া কাব্য ছুটিল ডিস্কো বান্দরের সন্ধানে উনার প্রতিটি লিখা রসে টইটম্বুর ভাবল উনার কাছ থেকে রসবোধ কিছুটা যদি নেয়া যায় । বান্দর ছোটে ডালে ডালে কলার সন্ধানে আর আমাদের ডিসকো বান্দর ছুটছেন শহরের চিপায় চাপায় চাকরির সন্ধানে। ডিস্কোর পেছনে ছটতে ছুটতে কাব্যর জান শেষ অবশেষে নিশি রাইতে যাও উনার বাসা খুজিয়া পাইল তাও দেখা করার সোভাগ্য হইল না কারন উনি তখন জিগি জিগিতে ব্যাস্ত।

বেচারা ক্লান্ত বিদ্ধস্ত কাব্য পারলে রাস্তায় ঘুমায় পড়ে। নিজের ভাগ্যকে চরম গালাগারি করিয়া কোনোরকম বাসায় ফিরিয়া ঘুমাতে যাওয়ার সময় বুঝিতে পারিল ব্লগিং তাহার জন্য আসে নাই । বি:দ্র: ইহা একটি নিচক ফানপোষ্ট, বাস্তবতার সাথে ইহার কোনরূপ মিল মহব্বত নাই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।