আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লজ্জা!!! ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে

বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে, ২৩শে জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি-১৫ থেকে ২০-২৫ জনের ছাত্রদলের একটি গ্রুপ মৈত্রী গাড়িতে উঠে। হাতে ব্যানার, ফ্যাস্টুন। পরে তারা গাড়ি থেকে নামে মৎস্য ভবনের সামনে। গাড়ির হেলপার বললো, একজনও কোন ভাড়া দেয়নি। বলে, তারা ছাত্রদলের লোক, ভাড়া লাগবে না।

শুধু ভাড়া না দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা। ধানমন্ডি ১৫ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত একজন যাত্রীকেউ তারা গাড়িতে উঠতে দেয়নি। পুরো গাড়ি তাদের দখলে। আমি অফিসে আসার জন্য কাটাবনে গাড়িতে উঠার চেষ্টা করি। এসময় তাদের সাথে হয় দস্তাদস্তি।

একজন হুমকি দেয়। বলে সে নাকি ধানমন্ডি-১৫’র নেতা। আমি বললাম, অফিসে যাবো ভাই গাড়িতে উঠতে দিন। অনেকটা জোর করেই আমি গাড়িতে উঠলাম। তবে অন্য কেউ আর উঠতে পারলো না।

গাড়ির হেলপার ও চালক এমনকি কোন যাত্রীদের কথাই তাদের কাছে কোন ব্যাপার হয়নি। বিষয়টি বড়ই অবাক করলো সবাইকে। গাড়ি থেকে নামার পরেই সব যাত্রী এমনকি গাড়ির হেলপার ও চালক খুবই কষ্টে বলল। ভাই দেখেন, একটি টাকাও দিলো না। ভাড়া চাইতে গিয়ে আরো হুমকি ধামকি খেয়েছি।

জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন--এই কি ছাত্র দল কর্মীদের স্বভাব। গাড়িতে উঠলে ভাড়া দিতে হয় না। আবার অন্যের গাড়িকে নিজের গাড়ি বানিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে আসা। কাউকে গাড়িতে উঠতে না দেয়া এগুলো কেমন আচরণ!!!! গাড়িতে অনেক্বেই বলছেন, এজন্যই, এসব কিছু মাস্তানদের জন্যই গাড়ি ভাড়া আজ বাড়তি। আর এই বাড়তি টাকার মাসুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এর দায়িত্ব কি নেবে ছাত্রদল। না করবে এর কোন বিহীত। না করবে ধানমন্ডি-১৫ ছাত্রদলের বিচার। কিছুই করবে না কেউই। শুধুই ভোগতে হবে জনগণকে।

আর চেয়ে দেখতে হবে এসব অবিচার। !! লজ্জা!!! ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.