আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু কিছু মানুষের লজ্জাহীনতায় আমিই লজ্জা পাই।আমি লজ্জা পাই এই জন্য নয় যে,আমার লজ্জা মাত্রাতিরিক্ত।বরং তাদের বেসম্ভব লজ্জাহীনতাই আমার লজ্জার কারন



আজ আমি আপনাদের কিছু জঘন্য কথা বলব। হুম, জঘন্য কথা। হয়তো আপনাদের বমি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মিথ্যা কিছু বলব না। সব সত্য।

কী আজিব দুনিয়া- সত্য কথা বলব- তারপরও বমি হয়ে যাবে। হয়তো এই রকম কথা কম বেশী আপনারা সবাই জানেন। যাই হোক, সরাসরি আসল কথায় আসি। ছেলেটির নাম নোমান ( অবশ্যই ছদ্মনাম ) এই সব ক্ষেত্রে ছদ্মনাম ব্যবহার করাই নিয়ম। কিন্তু আমি কোনো কোনো জায়গায় আসল নাম এবং পদবি ব্যবহার করবো।

নোমান গ্রাম থেকে এসে ঢাকায় একটি বেসকারী কলেজে বিবিএ তে ভর্তি হয়। নোমান ভাবল, লেখা পড়ার পাশাপাশি- আমি যদি একটা পার্ট টাইম জব করতে পারি- তাহলে আমাকে আর বাবা-মা'র কাছ থেকে টাকা নিতে হবে না। নিজের লেখা পড়ার খরচ নিজেই চালাতে পারব। এখানে বলে রাখা ভালো- নোমানের বয়স ২২ বছর এবং সে দেখতে খুব সুন্দর। নোমান অনেক মানুষজন কে ধরে একটা চাকরীর জন্য।

অনেকে বলে, হুম- অপেক্ষা করো একটা ব্যবস্থা করবোই। কিন্তু কেউ ব্যবস্থা করে না। এইভাবে সময় চলে যাচ্ছে। এইভাবে, একদিন নোমানের ভার্সিটির একটা মেয়ে বলল- চলো তোমাকে একটা অফিসে নিয়ে যাই- হয়তো তুমি একটা ভালো কাজ পাবে। মেয়েটি নোমানকে একটা নাম করা পত্রিকা অফিসে নিয়ে যায়।

সেই পত্রিকা অফিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা সহযোগী সম্পাদক অথবা মনে করুন- নির্বাহী সম্পাদক কে মেয়েটি বলল- নোমানকে ব্যাথা দিয়েন না। আস্তে কইরেন- ও আমার খুব ভালো বন্ধু। মেয়েটি নোমানকে রেখে চলে যায়। নির্বাহী কর্মকর্তা চেয়ার ছেড়ে নোমানের কাছে এসে বললেন- তুমি দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্তু একটু বেশী শুকনা ।

যাই হোক কাজ চালিয়ে নিব। তোমাকে একটা পনের থেকে বিশ হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরী দিব। তার জন্য তোমাকে আমার খুশি করতে হবে। নোমান গ্রামের ছেলে-তাই ভদ্রলোকের কথা বুঝলো না। নোমান বোকার মতো বলল- আমি তো ছেলে।

ভদ্রলোক অনেক গুলো মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলল- এইসব মেয়ে অনেকবার করে আমার সাথে শুয়েছে। বিনিময়ে ওদেরকে চাকরী দিয়েছি। নোমান ছবি গুলোর মেয়ে গুলোকে চিনতে পারল- টিভিতে তাদের প্রায়ই দেখা যায়। হঠাত করে ভদ্রলোকটি নোমানের নুনু চেপে ধরে- তারপর ? বাকি নোংরা ব্যাপারগুলো আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। সেদিন বাসায় ফিরে নোমান অনেক কাঁদে।

মেসের এক বড় ভাইকে নোমান সব কথা বলে। মেসের বড় ভাই- ইন্টারনেটে নোমানকে কিছু ক্লিপ দেখিয়ে ব্যাপারটা বুঝায়। এইসব ব্যাপার দেখে বুঝে নোমানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এরপর নোমান আরেকটি চাকরীর সুযোগ পায়। এবং মনে মনে ভাবে সব মানুষ তো আর খারাপ হতে পারে না।

অনেক আশা নিয়ে নোমান একজন সংবাদ পাঠক এর সাথে দেখা করে। তিনি আগে বিটিতে খবর পড়তেন এখন বেসরকারী টিভিতে খবর পড়েন। সেই ভদ্রলোক কথায় কথায় ইংরেজি বলেন। খুব নরম সুরে সুন্দর করে কথা বলেন। সে নোমানকে বলেন- অবশ্যই তোমাকে কাজ দিবো।

কিন্তু আমাকে খুশি করতে হবে। বর্তমান সময়টা হলো- গিভ এন্ড টেক, এর যুগ । তুমি আমাকে খুশি করে দাও। এমন সময় ওই টিভি চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসে বললেন- আমাকেও ভাগ দিতে হবে। একা একা কচি মাল খাবেন- তা হবে না।

তারপর তারা নোমানের গ্লাসে মদ ঢেলে দিয়ে- ঠিক করতে থাকে কে আগে নোমানের পেছনে পুশ করবে। এরপর আরও কিছু আছে- যা আমার পক্ষে লেখা সম্ভব নয় । তবে কিছুদিন আগে ফেসবুকে এই সংবাদ পাঠকের ছবি দেখলাম। তার স্ত্রী অনেক সুন্দরী একজন মহিলা। তিনি একটি বেসকারী ব্যাংকে কাজ করেন।

এরপর শোবিজ জগতে পরিচিত ও আলোচিত মুখ 'বড় ভাই', নোমানকে চাকরীর কথা বলেন এবং সরিষার তেল নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন। তবে তিনি অন্যদের মতন না। তিনি নিজেও পুশ করেন এবং তাকেও পুশ করতে অনুরোধ করেন। তবে তার কাছে যারা যায়- তাদের অবশ্যই প্রথম তিন মাস সরিষার তেল নিয়ে যেতে হয়। শোবিজ জগতে পরিচিত ও আলোচিত মুখ 'বড় ভাই' এর কাছে যারা যারা গিয়েছেন, তারা হলেন- র‌্যাম্প মডেল, মডেল, অভিনেত্রী, লাক্স সুন্দরী, উঠতি গায়ক-গায়িকা, যারা নতুন অভিনয় করতে চায়।

মিডিয়াতে চাকরী করতে আগ্রহী, মিউজিক ভিডিও করতে চায়, রিপোটার হতে চায়। এই বড় ভাইয়ের কাছে পুরুষ রমনী ভেদাভেদ নাই। সবার জন্যই সরিষার তেল। তবে তিনি সবাইকে নিয়ে আনন্দ করার পর চাকরীটা দেন। যাই হোক, আরেকটা কাহিনী দিয়ে লেখাটা শেষ করি- ডিজিটাল বাংলাদেশে এমন ঘটনা তো প্রতিদিনই হচ্ছে।

এই কাহিনীও নোমানের । যে ভদ্রলোকের কথা বলব- তিনি একজন বড় কোম্পানীর CEO । সেই CEO নোমানকে গাড়িতে করে দূরে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। ও আচ্ছা, বলে রাখা ভালো- CEO নিজেই নোমানকে খুঁজে বের করেছে এবং চাকরী দিবে বলে নিজেই যোগাযোগ করেছেন। গাড়ি চলছে উত্তরা রোডে।

ভদ্রলোক নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে। ভদ্রলোক নোমানের কোমরে হাত দিয়ে বলছে- আচ্ছা, চলবে। আহ হা, তুমি আমার কোমরে হাত দাও, দেখো দেখো। উফ... লজ্জা পাচ্ছো কেন ? দূর বোকা চাকরী তো দিবোই। কেউ জানবে না।

লজ্জার কিছু নাই। আহ- তুমি কাদছো কেন? আমি তো অন্যদের মতন ভিডিও করে রাখি না। আজকালকার দিনে এগুলো কোনো ঘটনাই না। বোকা ছেলে তুমি আমার নুনু টা দেখলে খুশি হয়ে যাবে- আট ইঞ্চি। দেখো, তোমার ভালো লাগবে।

তারপর তুমি নিজেই বারবার আমার কাছে আসবে। এই নোমান এখন আল্লাহর রহমতে- বড় একটা কোম্পানীতে চাকরী করে। ভালো টাকা বেতন পায়। এবং কিছু দিন আগে বিয়ে করেছে। সুখের সংসার।

আমার তোলা একটা ছবি দেয়ালে বড় করে বাধিয়ে রেখেছে। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন- তাহলে নোমান চাকরীর জন্য কোনো মহিলার কাছে যায়নি কেন ? হুম, একজন মহিলার কাছেও গিয়েছিল। মহিলার বয়স প্রায় পঞ্চাশ। সেই মহিলা চাকরীর কথা বলে- প্রথম দিনই- বুকের উপর থেকে শাড়ির আঁচল সরিয়ে বলেছিল- আমাকে একটু আদর করে দাও। মহিলা জোর করে নোমানের হাত নিয়ে তার বুকের উপর রাখে।

পেটের উপর রাখে। এবং খুব অনুরোধ করে তাকে আদর করে দেওয়ার জন্য। এখানে বলে রাখি এই ভদ্র মহিলার বড় ছেলে আমেরিকা থাকে বৌ বাচ্চা নিয়ে। ( অপ্রয়োজনীয় কথাঃ মানবজাতির লিখিত ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল জুড়ে সমকামী সম্পর্ক ও আচরণ নিন্দিত হয়ে এসেছে। অধিকাংশ সমাজেই সমকামী আচরণকে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

এমনকি বহু দেশে সমকামী আচরণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধানও রাষ্ট্রিয়ভাবে চালু আছে। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে মন:স্তাত্ত্বিকরা 'সমকাম প্রবণতাকে' মনোবিকলনের তালিকা থেকে বাদ দেয়। ১৯৭৫-এ ঘোষণা করা হয় 'সমকাম প্রবণতা' কোন মানসিক বিকৃতি নয়। প্রবৃত্তি হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি "এক যৌন, স্নেহ বা প্রণয়ঘটিত এক ধরনের স্থায়ী ও প্রাকৃত প্রবণতা"। ফেসবুক বা টুইটারের কল্যানে Homosexuality বা সমকামিতা এখন অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে।

প্রাণীজগতে সহস্রাধিক প্রজাতিতে যে সমকামিতার অস্তিত্ব রয়েছে তা এখন অনেকেই জানেন। পবিত্র আল কুরআনে বলা হয়েছে আদ ও সামুদ এবং লূত (আঃ) এর কওম (বংশ) কে ধ্বংস করে দেওয়া হয় সমকামিতার অপরাধে। তারপরেও মানবজাতির লিখিত ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল জুড়ে সমকামী সম্পর্ক বা আচরণ একাধারে নন্দিত ও নিন্দিত হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ মোটামুটি রক্ষণশীল দেশ। প্রাচীন গ্রীসের পুরাণ আর ধর্ম শাস্ত্রগুলোতে সমকামী স্পৃহার উল্লেখ দেখা যায়।

সমকামীদের কামনার দেবি ছিল ভেনাস। শুক্র গ্রহের ইংরেজী নাম ভেনাস যা ভেনাস দেবীর নামে নামকরণ করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন সমকামিতাকে কে সামাজিক স্বীকৃতি দিচ্ছে তার মানে এই নয় যে এটা সব দেশেই স্বীকৃতি পাবার মত কোন বিষয়। আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে সমকামিতা বিষয়টি জেনেটিক কোডিং এর কারনে হয়। একটি সফটয়্যারকে যে ভাবে কোডিং করা হয় সেভাবেই সে কাজ করে।

তেমনি একটি মানুষের জিন কে যে ভাবে কোডিং বা ডিএনএ বিন্যস্ত করা হয় সে সেরকমই বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। কিছু মানুষ আছে যারা স্বাভাবিক জীবন যাপনের ক্ষমতা রাখা সত্বেও এই বিকৃত পথে হাটে। মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু সমকামীতার অভিযোগ ছিল। মানুষের মধ্যে প্রথম এইডস এর বিস্তার ঘটে পশুকামিদের দ্বারা। এই সব বিকৃতকামী মানুষগুলো মানব সভ্যতায় এক মরণ বীজ রোপন করে গেছে যার ফল মানব সমাজকে আরো কত শতাব্দী বয়ে বেড়াতে হবে জানিনা।

)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.