আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামি ব্যাংকের ভন্ডামি!

উসমানীয় খিলাফতের শেষের দিকে খিলাফত রষ্ট্রের মধ্যে পশ্চিমা ভাবধারায় বেড়ে ওঠা কতিপয় তথাকথিত ইসলামী ব্যাক্তিত্বের আর্বিভাব ঘটে। এদের মধ্যে খাইরুদ্দিন আত তিউনিস (১৮১০-৯৯), জামাল উদ্দীন আফগানী (১৮৩৮-১৮৯৭),রাশিদ রিদা (১৮৬৫-১৯৩৫) ও এদের বেড়ে ওঠা হাসান আল বান্না (১৯০৪-১৯৪৯) প্রমুখ। এরা সমস্যা সঙ্কুল ও ধ্বংসেন্মাখ খিলাফত ব্যবস্থাকে উদ্ধারের জন্র পশ্চিমা গণতন্ত্র, ফ্রিডম অব বিলিফ, ইত্যা্দি কনসেপ্ট এর মাধ্যমে খিলাফত ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ১৯২৪ সালে যখন খিলাফত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায় তখন এই ব্যাক্তিরা খিলাফত ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের জন্য একেক জন এক এক পদ্ধতি গ্রহন করে। কুফর শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন শিকার হয়ে ইখওয়ানুল মুসলিমিন প্রচলিত গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে আপোষ করে এক সময়ে খিলাফত পুনরুদ্ধারের সঠিক পথ থেকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে দূরে সরে যায় এই পরাজিত সৈনিকদের মানসিকতা থেকে আসতে নানান কুফরী ধারনা সমূহ আসতে থাকে।

যেমন, ইসলামী পুজিবাদি,ইসলামী গ্লোবালাইজেশন,ইসলামী ব্যাংকিং এর নীতিমালা ইত্যাদি । কারন খিলাফত পুনরুদ্ধার করা তাদের কাছে অসম্ভব ব্যাপার ছিল। ফলে একমাত্র কনসেপ্ট বাদ দিয়ে তারা সময়িক ভাল থাকার জন্য এইসব কনসেপ্টের ধারনা উৎপত্তি বেড় করেন। এসময় হকপন্থী অনেকের চিন্তাকে ও তারা ইসলামাইজেশন ধারনা দিয়ে থাকে। যার ফলে আজকের মুসলিমরা বিভিন্নভাবে দূরর্নীতিগ্রস্থ হচ্ছে।

তথাকথিত ইসলামী পন্থীদের এইচির ভ্রান্ত কনসেপ্ট গুলো কে মনে করে ইসলামী ব্যাংক আ ইসলামী বীমা কথা চিন্তা করতে থাকেন। ইসলামি ব্যাংকের ইতিহাস আমম্মেদ নাজ্জার নামে এক মিশরীয় মুসলিম ১৯৬৩ সালে মুনাফা ভিত্তি করে মিশরে মিট ঘামর শহরে সেভিংস ব্যাংক নামে প্রথম ইসলামি মোড়কের এইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান করে। এবং ১৯৬৭ সালে পর্যন্ত এই প্রজেক্ট চালু থাকে । ১৯৭২ সালে "নাসের সোস্যাল ব্যাংক" হিসাবে রুপান্তরিত হয় এবং আজও এই পর্যন্ত চলছে। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

আর প্রথম ইসমিক কমার্শিয়াল ব্যাংক হিসাবে ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু করে যার নাম ছিল " দুবাই ইসলামী ব্যাংক" এই ধারাবাহিকতায় ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় "ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ" তথাকতিত ইসলামী চিন্তাবিদগন পূর্ণাঙ্গ ইসলাম তথা খিলাফত ব্যবস্থা পূনঃপ্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা না দেখে তারা বিভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাস করতে শুরু করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.