আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিগত সাড়ে চার বছরে সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য

আমি একজন ছাএ  পাঠ্যনীতির ইতিবাচক ও যুগোপযোগী পরিবর্তনঃ বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের দিয়ে খসড়া ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন করে এবং তা জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত প্রস্তাবের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উদ্ভাসিত এবং আলোকিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’-এর বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।  পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা প্রচলন ও সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি প্রবর্তন করে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় পরির্তন এনেছে।  প্রাথমিক গন্ডী পেরিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরনঃ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী ও পড়াশোনার প্রতি অধিক আগ্রহী করে তোলার জন্যবর্তমান সরকার বছরের শুরুতেই ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু করে এ পর্যন্তপ্রায় ৪২ কোটি পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সবপ্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝেসরবরাহ করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া, বছরেরপ্রথম দিন থেকে ক্লাস শুরু, পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা, দ্রুততম সময়ে ফলপ্রকাশ, পরবর্তী ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত ও দ্রুততর করার মাধ্যমে বর্তমানসরকার একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচিয়ে সেশন জট হ্রাস করেছে তেমনিশিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।

 পাঠ্যবইগুলোর অনলাইন সংস্করণঃ ভিশন-২০২১-কে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারকর্তৃক ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে সব রকম শিক্ষা-শেখানো সামগ্রী ওপাঠ্যপুস্তক আপলোড করা হয়েছে। এ ওয়েবসাইটে মাধ্যমিক স্তরের ৫০টি বাংলাভার্সন ও ২৬টি ইংরেজি ভার্সন এবং প্রাথমিক স্তরের ৩৩টি পাঠ্যপুস্তক আপলোডকরা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০৬টি পাঠ্যপুস্তকের ই-বুক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।  বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটালবাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার তথা শিক্ষামন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যেমন অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, শিক্ষক নিয়োগ ও নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফলওয়েবসাইটে, মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলের মাধ্যমেঅতিদ্রুত প্রকাশ করা হচ্ছে।

তা ছাড়া মোবাইল ফোনের এসএমএস প্রযুক্তি ব্যবহারকরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করারব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষা প্রসারের জন্য ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ঢাকা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এবং পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষাপ্রসারের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রাঙামাটিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালে বরিশালবিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এছাড়াও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামেরবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।  বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধিরলক্ষ্যে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমেপ্রচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে এক নবদিগন্তের সূচনাকরে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।