আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তানী শিবির বাহিনী

আমি পূর্ণয় একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে জামাত-শিবির ইদানিং আর্মীদের খুব তেলাইতে ব্যস্ত এই যেমন ধরেন বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে এই বছর তাদের শোক পালন দেইখা আমার নিজের চোখেই জল এসেছে যদিও গত বার তাদের কোন খোজ খবর ছিল না। তাদের প্রোফাইলের ওল্ডার পোষ্ট দেখলেই তা দেখা যায়। খুব সুন্দর সুন্দর ছবি আপলোড করে তারা আর্মীদের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে। তারা কি ভাবে আর্মীরা কি মূর্খ ? আর্মীরা ক্ষমতায় গেলে আওয়ামীলীগের পক্ষ নিবে না কিন্তু জামাত-শিবির কি আশা করে আর্মী তাদেরকে মাথায় তুলে নাচবে ? সে যাইহোক জামাত-শিবির আওয়ামীলীগ বিএনপি দের মত রাম ছাগলে পরিপূর্ণ দল নয়। তারা কিন্তু গত এক মাস তাদের নিজেদের সমর্থন খুজে বেড়ায়নি বরং তারা খুজেছে প্রজন্ম চত্বরের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরী করার চেষ্টা।

আর প্রজন্ম চত্বরের কিছু মানুষের বিতর্কিত কথায় আজ অনেকেই এবং শিবিরের অপপ্রচার দেখে প্রজন্ম চত্বর এখন আগের চেয়ে বেশ সমর্থন হারিয়েছে। আর আরেক হালার নাম বিটিভি। বাংলাদেশের সকল মূর্খ রাও জানে যে বিটিভি যারে তেল মারবো ওইটা হইল ভন্ডামী। বিটিভির প্রজন্ম চত্বরে এতো পাম্পিং করছে যে এখন প্রজন্ম চত্বরকে অনেকেই বলছে আওয়ামীলীগের নাটক। প্রথম দিকে ইমরান কইল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং জামাতের রাজনীতি বন্ধের কথা।

কিন্তু পড়ে আবার কইল ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি চলুক কিন্তু জামাতের রাজনীতি বন্ধ করা হোক। তার এই কথায় জামাতেরই বিজয় হল। কারণ জামাতের প্রেসারেই তারা তাদের দাবির পরিবর্তন করেছে। মূলত আমিও চাই ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হোক। কারণ আমার মতে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি মানে ধর্মের ঘাড়ে পা রেখে নিজেদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা।

রাজাকারদের ফাঁসী অবশ্যই দিতে হবে এবং এর সাথে প্রজন্ম চত্বরে দেশের রাজনীতি সংস্কারের দাবী গড়ে উঠুক। রাজনীতিবিদ দের দুর্নীতির কথা এখন উঠে আসুক মানুষ এক হয়েছে এখন মানুষের অন্যান্য দাবি না উঠালে আগামী নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরা দেখব রক্তাক্ত আওয়ামীলীগকে আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে আমরা দেখবে রক্তাক্ত বিএনপি কে। বিএনপির আমাদের দেশী দল তারা পাকিস্তানী শিবির বাহিনীর পক্ষ নিয়েছে বলে তাদের যদি রাজাকার বলা হয় তাহলে তো নতুন প্রজন্মও সেই নিজের ধৈর্যের পরীক্ষায় হেরে গেল। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসীর দাবির জন্য যেমন গণস্বাক্ষর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছিল তেমন ভাবে যদি রাজাকারদের দল পরিত্যাগ করার জন্য একটি গণস্বাক্ষর বিএনপিকে দেয়া হত তাহলে হয়ত আজ আওয়ামীলীগ বিএনপি-এর এর উপর নির্যাতন চালাতে পারত না। কারণ আওয়ামীলীগ ভাবে যে প্রজন্ম চত্বর হল তাদের সম্পত্তি।

কিন্তু প্রজন্ম চত্বর সকল বাংলাদেশীদের সম্পত্তি। কিন্তু আওয়ামীলীগ মুখী সিদ্ধান্ত এভাবে যদি প্রজন্ম চত্বর নেতারা নিতে থাকে তাহলে এটা তার নিরপেক্ষ তা হারাবে। এখনই তাদের উচিত বিএনপিকে প্রজন্ম চত্বরের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো আনুষ্ঠানিক ভাবে। বিএনপির আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত পরিত্যাগের জন্য সকল তরুণের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো। এর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠি ও গণস্বাক্ষর তাদের কাছে পেশ করা।

বিএনপি আমন্ত্রণ গ্রহণ করুক বা না করুক তারাও বাংলাদেশী তারা আমাদেরই ভাই। তাদের সাথে সাথে প্রজন্ম চত্বরের নেতাদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক কামনা করছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.