আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) কি পায়েশের নাম শুনেই জিবে জল চলে এলো আসাটাই স্বাভাবিক। বরং আমার মতন না আসাটা-ই হলো অস্বাভাবিক।
পায়েশটা কিছুদিন আগেও আমার খুব একটা পছন্দের ছিল না। তবে ইদানিংকর কথা একটু আলাদা।
পায়েশটা আমার পছন্দ না হলেও আম্মাকে রান্না করতে দেখে খুব ইচ্ছে হতো রান্না করতে। মনে হতো ইশ! আমি যদি এমন সুন্দর করে রান্না করতে পারতাম। আদৌ জীবনে পারবো কি না...ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে কল্পনা আর আফসোসের সে দিন চলে গেছে। পারতে যে আমাকে হবে-ই। আর আমারও খুব আত্ন বিশ্বাস ইনশাআল্লাহ একদিন পাঁকা রাধুনী হবো। সবাই রান্নার প্রসংশা করবে। মনে হয় না বেশী বলে ফেললাম।
প্রশংসা হলো একজন রাঁধুনীর অহংকার।
যাগগে কথা হলো, বকবক হলো এবার আসি আসল কথায়। ইদানিং পায়েশ রান্নার পেত্নী চেপেছে মাথায়। মজা করে রান্না আমাকে করতেই হবে।
প্রথমে একদিন অল্প করে ট্রাই করে দেখলাম বেশ মজা হয়েছে।
এতটাই কম ছিল যে আব্বা গরম গরম একটু টেস্ট করে বলেছেন ঠান্ডা হলে ভাল হবে খেতে। কিন্তু ঠান্ডা হলে আর দেওয়া যায়নি তাকে। গতকাল তাই আম্মা আবার করতে বললেন। আর সেই রান্নাটাই বলছি আপনাদের কাছে।
উপকরন:
দুধ: দেড় লিটার
পোলাও চাল: দেড় মুঠো পরিমান
চিনি: স্যুপের চামচের ৬-৭ চামচ(আপনার স্বাদ মতন দিবেন)
লবন: পরিমান মত
লং(লবংগ বলে মনে হয়): ৩টি
দারচিনি: ৩ইন্ঞির মতন এক টুকরো
ডিম: ১টি
প্রণালী:
ননস্টিকের একটি পাতিলে দুধ জ্বাল দিতে থাকুন।
পোলাও চাল ভিজিয়ে রাখুন। পাতিলের দুধ ফুটে উঠলে পানি থেকে ছেকে চালটা দুধে দিয়ে দিন। এবার মাঝারি আঁচে জাল দিতে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। এর মাঝেই দইয়ে দিন দারচিনি-লং।
চিনিও দিয়ে দেবেন। চাল ফুটে গেলে ডাল ঘুটনি দিয়ে ভাল করে ঘুটে দিন যাতে ভেংগে যায়। আমার কাছে আস্ত দানা থাকলে পায়েশ ভাত ভাত লাগে তাই এরকম করি।
পায়েশটা একেবারে ঘুকনো শুকনো হয়ে গেলে সেটা ক্ষীরষার মতন লাগে। আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।
এই ব্যাপারটা আমার কাছে একটু অন্যভাবে আবিষ্কার হয়েছে। যাগগে সে কথা।
মিশ্রনটা মোটামুটি ঘন হয়ে এলে লাবন-চিনি ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেবেন। এর পরে নামানোর একটু আগে ডিম ফেটে পায়েশে ঢেলে ডাল ঘুটনী দিয়ে আবার দ্রুত বেশ কিছুক্ষন ঘুটে নেবেন। মনে রাখবেন কাজটি করতে হবে খুব দ্রুত, নইলে ডিম জমাট বেধে যাবে
এবার দুই তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে পায়েশ নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
রাঁধুনীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: খেয়াল করেছেন কি পায়েশে এলাচ-তেজপাতা দেই নি! আমার আসলে এলাচ তেজপাতা ছিল না। দোকানেও পায়নি। সত্যি বলছি স্বাদ এর জন্যে খুব একটা কম হয়নি। তবে স্বেচ্ছায় এ কাজ কেউ করবেন না।
দারচিনি-লং এর সাথেই এলাট টা দিয়ে দেবেন তবে যে পরিমান দেবেন তার অর্ধেকটা।
মানে যদি আপনি ছয়টা এলাচ দিতে চান তবে ৩টা দেবেন মাথাটা একটু ফাটিয়ে আর বাকীগুলো গুড়ো করে রাখবেন। নামানোর আগ মুহুর্তে সেই গুড়োটুকু দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নেবেন। দেখবেন সুন্দর ঘ্রান বের হচ্ছে।
সবাই নিশ্চই ক্লান্ত এতক্ষন আমার ধারা ভাষ্য শুনে
ক্লান্তু হলে যে চলবে না! পায়েশ রান্না করতে হবে যে
ছবি: নেট থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।