আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সান্ত্বনার ভাষা নেই যাদের

বুধবার সকালে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের এক অবস্থান কমসূচিতে দেখা মিললো এমনই কয়েকজনের সঙ্গে, যাদের অনেকের হাতেই ছিল ‘সন্ধান চাই’ প্ল্যাকার্ড।
পেশায় ভ্যানচালক টিটন শেখ বললেন, ওই ভবন ধসের পর তার স্ত্রী আসমা বেগমকে আর খুঁজে পাননি। তাদের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
“ছেলেডা যখন অর মায়েরে দেখতে চায়, তহন বুকটা ফাইট্টা যায়। লাশটাও পাইলাম না।

মিছা কতা কইয়া তারে বুজ দেই। তয় কয়দিন। একদিন তো জানবো। হেদিন অয় যদি অর মায়ের কবর দেখতে চায় কি বুজ দিমু?”
বাচ্চা ছেলেটাকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন টিটন।
সরকার কিংবা মালিকের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা তারা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিখোঁজদের কোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয় নাই।


গত ২৪ এপ্রিল সাভারে নয় তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে, যার বিভিন্ন তলায় পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল।
এ পর্যন্ত এই ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা অন্তত ১ হাজার ১৩০ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪শ’ ৩৮ জনকে।
খালা পান্নাকে নিয়ে নিখোঁজ মায়ের দাবি নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন আট বছর বয়সী সিরাজ। সাভারের একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে।


চার বছরের মীম এসেছিল নানির সঙ্গে। তার মা খালেদা বেগম রানা প্লাজার চতুর্থ তলার একটি গার্মেন্টে কাজ করতেন।
মীমের নানি সাজেদা বেগম বলেন, “আমার মেয়েটার লাশও যদি পাইতাম তাইলে বুজ দিতে পারতাম। ”
অন্যদের মতো তিনিও কোন ধরনের সাহায্য পাননি কোনো পক্ষ থেকে, অভিযোগ করেই বললেন সাজেদা।
স্বামী মাহমুদ হাসানের সন্ধান না পেয়ে দুই সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পড়েছেন শাপিয়া বেগম।


“পরিবারটা চলতো একজনের কামাইয়ের উপরে। গত তিন মাসে কেমনে যে চলছি! কেই যামু, জানি না। ”
সেলিনা বেগম, যিনি স্বামী সিরাজ মিয়াকে কাজে পাঠিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন ফিরবেন। বললেন, “আমার চাওয়া খুব বেশি না। লাশটা অন্তত দেন।

সাহায্য লাগবো না। ”
স্বজনের খোঁজ চান শামীমের স্ত্রী রুবীনাও।
শুধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নয় নিখোঁজের সন্ধানে সাভারে সেই রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের সামনে বুধবার ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকেই। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির ব্যানারে তারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভও করেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।