শিরদাঁড়া নেই, বহু শরীরেই নিজেদের মানাতে মানাতে.......
বিভিন্ন দেশের পুলিশ সদস্যের ট্রেনিং চলছে আফ্রিকায়। বাংলাদেশ আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের পুলিশ আছে তার মধ্যে।
প্রত্যেক দেশের পুলিশকে আদেশ দেয়া হলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০টা করে হরিণ ধরে আনার।
প্রথমে বেরুল আমেরিকান পুলিশেরা। ১০ ঘন্টার মধ্যে তারা ধরে আনল ১০টা হরিণ, জ্যান্ত এবং পেছুনের পা দুটো বাঁধা।
এরপর বের হল বৃটিশ পুলিশ। তারা এল তিনদিন পর। সঙ্গে ১০টা হরিণ। এত সময় লাগলো কেন?
বৃটিশ পুলিশ বললোঃ নিরপরাধ হরিণগুলোর গায়ে যেন কোনো আঘাত না লাগে, এটা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেরী হয়ে গেছে।
তারপর বাংলাদেশের পুলিশদের পালা।
তারা বের হল বটে, তবে ফেরার নামটি নেই। ৭ দিন পর তারা ধরে আনল ৭টা ছাগল। সবাই তো বিস্মিত। কী করেছ! তোমাদের ধরে আনতে বলা হয়েছে হরিণ, আর কিনা ধরে আনলে ছাগল! বলো, ৭টা কেন? কেন ১০টা নয়।
এর উত্তর জানে বাংলাদেশের পুলিশ, মনে মনে।
১০টাই ধরেছিল, ৩ টাকে পথে ছেড়ে দিয়েছে, তদ্বির কিংবা টাকা খেয়ে।
আর হরিণের জায়গায় ছাগল কেন?
কে বলেছে ছাগল, এগুলোই তো হরিণ- বলল বাংলাদেশের পুলিশ।
না। অসম্ভব। এসব যে ছাগল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
না। অবশ্যই হরিণ। আর হরিণ না হলেই বা কী! এদের রিমান্ডে দেন, দুদিন পরে এরা নিজেরাই বলবে- আমরা হরিণ, আমরা হরিণ।
ফাইল হাতে পি এ ঢুকল।
তোমার হাতে ওটা কিসের ফাইল?
স্যার, আপনার পাইপ হারানো সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির ফাইলটা।
হুম, শোনো এ তদন্ত কমিটি বাতিল করো।
কেন স্যার?
কারণ, পাইপটা আমি খুজে পেয়েছি বাসায়।
কিন্তু স্যার, ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন হিসাবে ৫০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৯ জন স্বীকারও করেছে যে আপনার পাইপ তারা চুরি করেছে।
বাকি একজন এখনো স্বীকার করেনি?
না।
তাহলে তদন্ত চালিয়ে যেতে বল।
জ্বি স্যার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।