আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পালিয়ে যাওয়া আর হলো না

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) এইতো মাত্র সেদিনের কথা, ২০০৯-১০ এর দিকে। ভার্সিটির অ্যাডমিশনের কোচিং করছি।

ক্লাস করতাম ফার্মগেটে। আম্মাকে ভয় দেখানো জন্যে বলতাম ক্লাস থেকে একদিন না বলে মামার বাসায় একা চলে যাবো, ফোন বন্ধ করে রাখবো। বাসায় যেয়ে একেবারে ফোন করবো উল্লেখ্য আমার বাসাছিল ফার্মগেটের আশে-পাশেই আর মামার বাসা জুরাইন। ক্লাশে যাওয়ার সময় জুরাইন-শ্যামপুরের বাস গুলো দেখলে ওগুলোতে চড়ে মামার বাসায় চলে যেতে ইচ্ছে হতো। একা একা যাচ্ছি ভাবতেই অন্যরকম একটা অনুভূতি আসতো।

যাইহোক আমার কথা শুনেতো আম্মার চোখ ছানাবড়া। বলে ভুলেও ও কাজ করোনা! আম্মার নিষেধাজ্ঞা শুনেও খায়েশটা পুরোপুরি যায়নি। একবার মামীরা আমাদের বাসায় এলে কথা প্রসংগে একা যাওয়ার প্লানের কথা বলছিলাম। মামী হলো আম্মার চেয়ে ভীতু। সে বলে না না খবরদার একা কোন সময়ই যাবা না, যাইতে ইচ্ছে করে তোমার আম্মুর সাথে যাবা, ভূলেও এই কাজ করবানা.... যার বাসায় যাবো সেই কিনা এই কথা বলে....শুনে আমার খায়েশের রংঙ্গিন বেলুন ঠুস করে ফুটে খায়েশগুলান সব বাষ্প হয়ে উড়ে গেল সেদিন আম্মাকে কথা প্রসংগে বলছিলাম কলেজ থেকে জুরাইন মনে হয় রিক্সায় যাওয়া যায় কারন আমার এক ক্লাসমেটকে দেখি যাত্রাবাড়ী থেকে রিক্সায় আসে।

শুনে আম্মা বলে তাইলে তো একদিন চলে যাইস ক্লাস করে। পিচ্চিগুলারে(মামাত বোনদের) দেখে আসিস। মনে মনে বলি এরেই কয় কপাল, যহন যাইতে চাইসিলাম তহন বৈধতা আর এহন মন্চায় না কিন্তু বৈধতা দেও! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.