আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের বন্ধু ডলফিন

বুদ্ধির দিক দিয়ে শিয়ালকে আমরা চালাক বলে থাকি। তবে কুকুর, বানর, হাতি, ঘোড়াও কিন্তু চালাকিতে পিছিয়ে নেই। এদের বুদ্ধিমত্তার নজির আমরা সব সময় দেখি। সার্কাসে এরা খেলা দেখিয়ে মানুষকে অবাক করে। এই ধরনের একটি বুদ্ধিমান প্রাণীর নাম ডলফিন।

এরা হলো জলের বাসিন্দা। বুদ্ধিমত্তা, ক্রীড়া দক্ষতা ও বন্ধুসুলভ স্বভাবের জন্য ডলফিন খুবই জনপ্রিয়। জলতলের সংবাদ পৌঁছানো, আহত ডুবুরিদের উদ্ধার ও তাদের হাঙ্গরের শিকার থেকে রক্ষা এবং ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্যও ডলফিন ব্যবহৃত হচ্ছে। ডলফিন দীর্ঘদিন ধরে এসব কাজ সফলভাবে করে যাচ্ছে। এজন্য ডলফিনকে মানুষের এখন বন্ধু বলা হয়।

তাই ডলফিনের গুরুত্ব এখন বেড়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০টি জলক্রীড়া কেন্দ্রে ডলফিন ব্যবহৃত হচ্ছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাও করা হচ্ছে। সাধারণত ডলফিন গড়ে ২.৪ মিটার লম্বা ও ওজন ৭৫ কেজি। এদের গড় আয়ু প্রায় ৫০ বছর। প্রতিটি ডলফিন আলাদাভাবে শিস বাজাতে পারে।

এ শিসের সাহায্যে ডলফিন নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান করে থাকে। ডলফিন বাচ্চা প্রসবের কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চাদের এ শিস শেখায়। এ শিসের মাধ্যমে তারা তাদের মাকে সনাক্ত করে। ডলফিন শব্দের প্রতিধ্বনির মাধ্যমে আশেপাশের বস্তুর আকার, অবস্থা ও প্রকৃতি সম্পর্কে নিখুঁত তথ্যাদি সংগ্রহ করে। ডলফিন অর্থ ঠোঁট, এদের নাক ঠোঁটের মত।

শরীর লম্বাটে। সামুদ্রিক ডলফিন প্রজাতির সংখ্যা ৩২। স্বাদু পানির ৫। এরা দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার নদীর বাসিন্দা। সিন্ধু নদীর ডলফিনরা পিঠ সাঁতারে সিঙ্গি-মাগুর শিকার করে।

বাংলাদেশে ৪ প্রজাতির সামুদ্রিক ও ১ প্রজাতির স্বাদু পানির ডলফিন আছে। অধিকাংশ ডলফিন দলবদ্ধভাবে চলে ও প্রধানত মৎস্যভুজ। তারা পিঠের একটি ছিদ্র দিয়ে শ্বাস নেয়। গড়ন মাছের মতো। শরীর লম্বাটে, লোমহীন।

এদের ১৬০-২০০ টি ধারালো দাঁত থাকে। ডলফিনের পিঠ কালো, বুক সাদা। ডলফিন একবারে একটি বাচ্চা দেয়। লেজ পাখনার সাহায্যে এরা পানির তলায় ও উপরে স্বচ্ছন্দে বিচরণ করে এবং সামনের ও পিঠের পাখনাগুলো হালের কাজ করে। চর্বির একটি স্তর তাদের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচায় ও ক্ষত ভরাট করে।

সুইডিশ জীববিজ্ঞানী লিনিয়াস তিমিও ডলফিনকে স্তন্যপায়ী হিসেবে প্রথম সনাক্ত করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.